প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন -কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যেভাবে বেছে বেছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা দানবীয় কায়দায় ধ্বংস করা হয়েছে, তা চোখে না দেখলে যায় না। যেসব স্থাপনা মানুষের জীবনযাত্রা সহজ করেছে, সেগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। আজ মিরপুর -১০ মেট্রো রেল স্টেশন পরিদর্শন শেষে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে সরকারি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করার জন্য দেশবাসীর কাছে বিচার চেয়েছেন। তিনি বলেন - আমি এই অপরাধীদের বিচার চাই জনগণের কাছে। এই ধ্বংস

লীলার বর্ণনা দেওয়ার ভাষা আমার নেই। স্টেশনের ভিতরে ডিজিটাল ইলেকট্রনিক সম্পূর্ণ ধ্বংস করা হয়েছে। কতদিনে ঠিক হবে কষ্টে গড়া মেট্রোরেল।
মিরপুর- ১০ নম্বর মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলতে বলতে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী। এই মেট্রোরেলে সরকারের মন্ত্রী, এমপি, কিংবা সরকারি পদস্থ কর্মকর্তারাই শুধু যাতায়াত করবেন না, যাতায়াত করবেন সাধারন জনগণও।জনগণের এই সুবিধা যারা নষ্ট করল, দেশের সম্পদ নষ্ট করল, তাদের বিচার জনগণ করতে হবে।
মেট্রোরেল করতে যে অনেক বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করতে হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই মেট্রোরেল করতে সক্ষম হয়েছি। অফিসগামী মানুষের কষ্ট লাঘব হয়েছে। গত ১৭ জুলাই থেকে যে ধ্বংসযজ্ঞ করা হলো, কাদের কল্যাণে এসব করা হলো? এ প্রশ্ন রাখছি আপনাদের কাছে। এখন আপনাদের সেই আগের মত কষ্ট করে ট্রাফিক জামে পড়ে যাতায়াত করতে হবে। তারা শুধু স্থাপনাগুলো ধ্বংস করেনি, ব্যাপক লুটপাট চালিয়েছে। আধুনিক এ গণপরিবহনের সিসি ক্যামেরা এলইডি মনিটর, টিকিট কাটার মেশিন সহ সব মূল্যবান জিনিসগুলো লুটপাট হয়েছে। আগে বাংলাদেশের মানুষকে ভিক্ষুকের জাতি হিসেবে মনে করত বিদেশীরা
।এখন দেশের এসব অভূতপূর্ব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য আজ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ যে কোন দেশে মর্যাদা পাচ্ছে।
আমি কোটা আন্দোলনকারীসহ সকলকে ধৈর্য ধারণ করতে বলেছিলাম। কিন্তু আমাদের শিক্ষার্থীরা ধৈর্য্য ধারণ না করে আন্দোলনে নেমেছিল। তাদের আন্দোলনের ওপর ভর করে দুষ্কৃতকারীরা দেশের ব্যাপক ক্ষতি করেছে।শেষ পর্যন্ত বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়েছে আদালতের মাধ্যমে। ইতিমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে কোটা সংস্কারের জন্য আপিল করা হয়েছিল।
এই মেট্রোরেল করতে অনেক কষ্ট করেছি। তিনি বলেন জনগণের নির্বিঘ্নে চলাচলের যারা ক্ষতি করেছে, তাদের বিচার এদেশের জনগণ করতে হবে।