কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের অনাকাক্সিক্ষত হতাহতের সুষ্ঠু বিচারের দাবি এবং দেশব্যাপী পরিকল্পিত নৈরাজ্য, অগ্নিসন্ত্রাস ও ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ^াসী চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ^বিদ্যালয়ের (সিভাসু) শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় বিশ^দ্যিালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে তাঁরা এ কর্মসূচি পালন করেন।
বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এএসএম লুৎফুল আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন বিশ^বিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো: কামাল, ফুড সায়েন্স ও টেকনোলজি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ফেরদৌসী আকতার, ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. শেখ আহমাদ-আল-নাহিদ, বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ডা. মো: সফিকুল ইসলাম খান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মো: মাসুদুজ্জামান, প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের সভাপতি প্রফেসর ড. শারমীন চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শিক্ষক ফোরামের সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: জামাল হোসেন ও কর্মচারী প্রতিনিধি গোপাল চন্দ্র রায়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) প্রফেসর ড. মো: আশরাফ আলি বিশ^াস।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. এএসএম লুৎফুল আহসান কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়ে বলেন, শিক্ষার্থী হারানোর বেদনায় আমরা গভীরভাবে মর্মাহত। আমরা সকল হতাহতের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।
উপাচার্য বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে বিটিভি, মেট্রোরেল, সেতু ভবন, এক্সপ্রেসওয়ে ও মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের টোলপ্লাজাসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠানে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও সম্পদহানিতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা এধরনের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে আন্দোলনের মধ্যে সংঘর্ষে প্রাণহানি ও সহিংসতার সুষ্ঠু তদন্তে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও তিনি তদন্ত কাজে জাতিসংঘের সহযোগিতা চেয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আহতদের খোঁজখবর নিয়েছেন ও তাদের চিকিৎসার ভার গ্রহণ করেছেন। তিনি নিহতদের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন ও আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সার্বক্ষণিকভাবে হতাহতদের পরিবারের পাশে থাকার আশ^াস দেন এবং শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার অনুরোধ জানান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ সমস্ত উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।
উপাচার্য বলেন, সরকারের প্রজ্ঞাপনে কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের দাবি প্রতিফলিত হয়েছে। তারপরও স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামাত সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের উপর ভর করে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ^াস করি তাদেরকে এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখা, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ এবং ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তাবয়নে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ।