আজঃ শুক্রবার ২০ জুন, ২০২৫

গুজব সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টিতে শিক্ষকদের ভূমিকা রাখতে হবে: মেয়র রেজাউল

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

কোটাবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গুজব সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সচেতন করার মাধ্যমে দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় শিক্ষকদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র (প্রতিমন্ত্রী) বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। কোটাবিরোধী আন্দোলনের কারণে বন্ধ থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুললে একাডেমিক কার্যক্রম স্বাভাবিক করার বিষয়ে শিক্ষকদের প্রস্তুতি জানতে গতকাল বৃহস্পতিবার লালদীঘিপাড়স্থ চসিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনে চসিক পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষক নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। মেয়র বলেন, আমি কোটাবিরোধী আন্দোলনের শুরু থেকে মাঠে ছিলাম। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রতি আমার কোন অভিযোগ নেই। শিক্ষার্থীদের সরলতার সুযোগ নিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি দেশে নাশকতা চালিয়েছে। তাদের ষড়যন্ত্র টের পেয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঘরে ফিরে গিয়েছে। রাষ্ট্রও শিক্ষার্থীদের দাবি অনুসারে কোটা সংস্কারে পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে, নাশকতায় জড়িতরা যাতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে দেশে অশান্তি সৃষ্টি করতে না পারে সে ব্যাপারে শিক্ষকদের ভূমিকা রাখতে হবে। “শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিং করুন। অভিভাবকদের সাথে কথা বলুন। সহকর্মীদের শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিং করতে বলুন। শিক্ষার্থীরা যাতে স্বাধীনতাবিরোধীদের প্ররোচণায় নিজের সোনালী ভবিষ্যৎ ধ্বংস না করে সে ব্যাপারে শিক্ষকদের ভূমিকা রাখতে হবে। আমি মনে করি, বর্তমান পরিস্থিতির জন্য আমাদের সংস্কৃতি চর্চার ঘাটতি দায়ী। এজন্য প্রতি সপ্তাহে একাডেমিক কার্যক্রমের একটি অংশ রাখা উচিৎ শিশুদের জন্য সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে মানসিক বিকাশের জন্য।”
মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত হওয়ার ক্ষোভ থেকে স্বাধীনতাবিরোধীরা দেশে নাশকতা চালিয়েছে মন্তব্য করে মেয়র বলেন, এই কোটাবিরোধী আন্দোলনকে কাজে লাগিয়ে স্বাধীনতাবিরোধীরা আন্দোলনের নামে দেশ ধ্বংসের রূপরেখা বাস্তবায়নের চেষ্টা চালিয়েছে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বিভিন্ন সুযোগে নাশকতা চালিয়ে বাংলাদেশকে ব্যর্থ প্রমাণ করতে চায়। মত-পথের পার্থক্য থাকবেই। সবাই আমার দল করবে এমন কোন কথা নেই। কিন্তু দেশতো সবার। নাহলে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে এমন সব স্থাপনায় হামলা কেন? নাশকতাকারীরা পুলিশ সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে। মুরাদপুরে ৬তলা ভবন থেকে স্বাধীনতার পক্ষের ছাত্রদের নির্মমভাবে ফেলে হতাহত করেছে। ওরা দেশের গুরুত্বপূর্ণ ও জনগণের স্বপ্নের স্থাপনাগুলোকে বেছে বেছে হামলা চালিয়েছে। এগুলো কি ছাত্ররা করেছে?
সভায় মেয়র নাশকতাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন বলেন, এদের সমূলে উৎপাটন করার মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা সুরক্ষিত করতে হবে। এদের দোসর, অর্থায়নকারী, সহায়তাকারীদেরও চিহ্নিত করতে হবে। এরা শাস্তি না পেলে বারবার এরা আমাদের দেশের স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলবে। আমি নাশকতাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি।
সভায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা জানান, আন্দোলনের কারণে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শিক্ষা কার্যক্রমের গতি বাড়াতে হবে, প্রয়োজনে বন্ধের দিনগুলোকেও কাজে লাগাতে হবে। শিক্ষক-ছাত্রদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সতর্কতা প্রয়োজন। কোন ছাত্র সন্দেহজনক আচরণ করলে তাকে মনিটরিং এ রাখতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুললে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের সাথে বসে রাষ্ট্রবিরোধী যে কোন অপপ্রচারের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে শিক্ষকদের। কোন শিক্ষক বা শিক্ষার্থী প্ররোচণামূলক কোন কার্যক্রম চালালে তা প্রশাসনকে অবহিত করতে হবে। একাডেমিক কার্যক্রমের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে দেশপ্রেম জাগিয়ে তুলতে হবে। শিক্ষার্থীদের জানাতে হবে মুক্তিযুদ্ধের সোনালী ইতিহাস।
সভায় চসিক সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন, প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুম এবং মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেমের সঞ্চালনায় শিক্ষাক নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

সরকার ১৮ কোটি ভোক্তার স্বার্থ সুরক্ষার প্রচেষ্টায় অব্যাহত রেখেছে।

: জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১), আলীম আখতার খান বলেছেন, সরকার সীমিত সামর্থ ও লজিস্টিক দিয়ে দেশের ১৮ কোটি ভোক্তার স্বার্থ সুরক্ষায় প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। তারপরও নানা আইনগত জঠিলতার কারণে দেশের মানুষের আশা আকাংখার প্রতিফলন ঘটানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে ব্যবসায়ীরা যদি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হন, সাধারণ ভোক্তারা যদি আইন জেনে নিজেরা তাদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার হন তাহলে ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব।

তবে ভোক্তা সংরক্ষন আইন ২০০৯ সালে প্রণীত হয়েছে। সেসময়ে অনেক বিষয়কে আমলে নিয়ে আইনটি প্রণীত হলেও কালের পরিবর্তনের সাথে খাপখাওয়ানোর জন্য আইনকে যুগোযোগী করা হচ্ছে। আইনটি সংশোধনের জন্য ইতিমধ্যিই কমিটি গঠন করা হয়েছে। দ্রুত সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। প্রশাসনিক জঠিলতায় অধিদপ্তরের লোকবল নিয়োগে বিলম্বের কারণে ২৪টি জেলায় কর্মকর্তার পদ শুণ্য আছে। যার কারনে ঐ জেলায় ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা ব্যাহত হচ্ছে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় এর উদ্যোগে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় এর সহযোগিতায় সার্কিট হাউজ, চট্টগ্রাম এর সম্মেলন কক্ষে “ভোক্তা স্বার্থ রক্ষায় চ্যালেঞ্জ ও করণীয়” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত মন্তব্য করেন।

চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো: জিয়াউদ্দীনের সভাপতিত্বে সেমিনারে আলোচক ছিলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম ও ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক ফয়েজউল্যার স্বাগত বক্তব্যে সেমিনারে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সহকারী অধ্যাপক সাইদ আহসান খালিদ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

আলোচনায় অংশনেন সিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার মাহমুদা বেগম, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আলমগীর, জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা ফারহানুল ইসলাম, সিভিল সার্জন অফিসের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা থোয়াইনু মং মার্মা, চট্টগ্রাম উইমেন চেম্বারের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আইভি হাসান, ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, কাজীর দেউরী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবদুর রাজ্জাক, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি সালেহ আহমদ সোলেমান, চট্টগ্রাম রেস্তোরা মালিক

সমিতির সভাপতি ইলিয়াছ আহমদ, বারকোট রেস্টোরেস্ট এর স্বত্ত্বাধিকারী মনজুরুল হক, বনফুলের জেনারেল ম্যানেজার আনামুল হক, ফুলকপির জেনারেল ম্যানেজার আবদুর সবুর, ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের যুগ্ন সম্পাদক মোঃ সেলিম জাহাঙ্গীর, চট্টগ্রাম ড্রিংকিং ওয়াটার ম্যানুফেকচার ওয়ানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফয়সল আবদুল্লাহ আদনান, ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, যুব ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি আবু হানিফ নোমান, যুব ক্যাব চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি রাব্বি তৌহিদ ও সাধারন সম্পাদক খাইরুল ইসলাম প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো: জিয়াউদ্দীন বলেন, একটি সমাজ পুরোপুরি পুরিশুদ্ধ হতে হলে সকল পর্যায়ের মানুষের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। না হলে সমাজে বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করবে। আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় এখনো মুষ্ঠিমেয় অসাধু লোকের প্রভাব বলয় থেকে সমাজ ও পরিবেশ মুক্ত নয়। তারা সমাজকে কলুষিত করে, সেখানে আইনের শাসন ও প্রথা সেভাবে কার্যকর নয়।

তাই ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা দিতে হলে সকলকে একযোগে কাজ করার বিকল্প নাই। কারণ যিনি একটি পণ্যের ব্যবসায়ী, তিনি আরও দশটি পণ্যের ক্রেতা। সেকারণে সে যদি একটি পণ্য বিক্রি করে মানুষকে প্রতারিত করে থাকেন। তাহলে আরও দশটি পণ্য কিনে ঠকতে হচ্ছে। এটি কোনভাবেই একটি সভ্য সমাজে চলতে দেয়া যায় না।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, জেলা প্রশাসন ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায় যাবতীয় কর্মকান্ডে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তবে বানিজ্যিক হাব হিসাবে যেভাবে বিষয়টির প্রতিগুরুত্ব প্রদান করা দরকার প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাবে সেভাবে করা না গেলেও জেলা প্রশাসনের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।

ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, আইনের দুর্বলতার পাশাপাশি সাধারন ভোক্তাদেরকে সচেতন করতে সরকারী-বেসরকারী উদ্যোগের সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে সরকারকে ব্যবসায়ী তোষণনীতির পরিবর্তে ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার আহবান জানান। ব্যবসায়ীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ টিভি ও পত্রিকায় একতরফা বিজ্ঞাপন দিয়ে পণ্য বিক্রি করলেও ভোক্তারা প্রতারিত হচ্ছেন। যার কারণে দেশে ন্যায্য ব্যবসা বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের পৃষ্টপোষকতা প্রদানে রাজনৈতিক দল ও সরকারকে সতর্ক হবার আহবান জানিয়ে দেশের স্বার্থে সাধারণ মানুষের বিষয়গুলোর প্রতি আরও যত্নবানে হবার অনুরোধ করেন।

মুল প্রবন্ধে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সহকারী অধ্যাপক সাইদ আহসান খালিদ ভোক্তা সংরক্ষন আইন, নিরাপদ খাদ্য আইন ও ওষুধ ও কসমেটিক আইনে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ বিশেষ করে সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তি সরাসরি আদালতে মামলা করতে বাধার বিষয়টি দূর করা দরকার। এছাড়াও আইন প্রয়োগে অধিকাংশ জায়গায় শিথিলতার কারণে মানুষ আইন না মানার সংস্কৃত বন্ধে জোর দেন। একই সাথে আইন ও অধিকার সম্পর্কে জনগনকে সচেতন করার ওপর গুরুত্বরোপ করেন।

এছাড়াও ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যকার বিরোধ নিস্পত্তিতে শালিসী কার্যক্রম জোরদার, পণ্যের মান পরীক্ষায় সুযোগ সুবিধা ও জনবল বাড়ানোর সুপারিশ করেন। সেমিনারে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন স্তরের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, ছাত্র প্রতিনিধি, ক্যাব চট্টগ্রাম এর প্রতিনিধিসহ সাংবাদিক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা অংশনেন।

চট্টগ্রামে ভোট দিতে কি পারবে তিন লাখ নতুন ভোটার ?

চট্টগ্রামে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে তিন লাখ নতুন ভোটার। এরমধ্যে রয়েছে ১৭ বছর বয়সী তরুণ নাগরিকও। আগামী বছরের মার্চ মাসে ১৮ বছর পূর্ণ হলে তারা ভোটার হিসেবে গণ্য হবে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তরুণদের ভাগ্যে কী হবে-এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

গত শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে। এরপর নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয় নিয়ে ওই দিন শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের ঢাকা ও চট্টগ্রামের অন্তত ৫ জন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয়।
তারা জানালেন, নির্বাচনের প্রাথমিক প্রস্তুতি গুছিয়ে রেখেছে নির্বাচন কমিশন। বিশেষ করে ভোটার তালিকা ও ভোটকেন্দ্রের তালিকা করা রয়েছে। যাচাই-বাছাই করে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ, ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রস্তুত করা হবে। তবে বড় কাজ সরঞ্জাম কেনা।

সরকারের সংকেত পেলে নির্বাচনী সরঞ্জাম কেনাকাটার কার্যক্রম শুরু করবে কমিশন। এছাড়া নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ মতে নির্বাচনী আইনের কিছু সংস্কারের সিদ্ধান্ত রয়েছে কমিশনের। তারমধ্যে ১৭ বছর বয়সী তরুণদের ভোটার করার চিন্তা-ভাবনা রয়েছে সরকারের। সরকারের নির্দেশনা পেলে তাদের ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার কাজ শুরু করবে নির্বাচন কমিশন।

বাংলাদেশের আইন মতে, ১৮ বছর পূর্ণ বাংলাদেশের যেকোন নাগরিক ভোটার হিসেবে গণ্য হবে। কিন্তু গত জানুয়ারি মাসে অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী ভোটার হওয়ার বয়স ১৮ বছর হলেও, তা কমিয়ে ১৭ বছর করা উচিত।

চট্টগ্রাম জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. বশির আহমদ বলেন, আগামী বছরের মার্চ মাসে ১৭ বছর বয়সী তরুণদের ১৮ বছর পূর্ণ হবে। আইন অনুযায়ী তখনই তারা ভোটার হবেন। এখন আইন সংশোধন করে ১৭ বছর বয়সী তরুণ নাগরিকদের ভোটার করার পরিকল্পনা রয়েছে। সরকার যেভাবে নির্দেশনা দেবে, সেভাবে কাজ করবে নির্বাচন কমিশন।তিনি বলেন, তরুণদের (ছাত্র-জনতা) গণ-অভ্যুত্থানে দেশে নির্বাচনের সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে তাদেরও দাবি রয়েছে। তাদের দাবি মানা যুক্তিযুক্ত।

মো. বশির আহমদ আরো জানান, ভোটের কার্যক্রম অনেকটা গুছানো রয়েছে। ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যবহৃত ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করে তালিকা করা হয়েছে। কিছু কেন্দ্র পরিবর্তন করা হতে পারে। ভোটারদের কাছ থেকেও আবেদন-আপত্তি গ্রহণ করা হবে। সব যাচাই-বাছাই করে ভোটকেন্দ্র প্রস্তুত করা হবে।

জানা গেছে, হালনাগাদ তিন লাখ ৪ হাজার ২৮৩ জন ভোটার। ২০২৬ সালের মার্চের আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে নতুন ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন না। কারণ ২ মার্চ ভোটার তালিকা ঘোষণা করা হয়। আইনে সংশোধন আনা হলে তারা ভোট দিতে পারবেন।

২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামে ভোটার ছিল ৬৩ লাখ ১৪ হাজার ৩৯৩ জন। সেই ভোটার তালিকা থেকে হালনাগাদে ৯৩ হাজার ৮৩৭ জন মৃত ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। আর ২৪ হাজার ৭৯৯ জন ভোটার স্থান বদল করেছেন।
গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ছিল ২০২২টি। ভোটকক্ষ ছিল ১৩ হাজার ৮৫৭টি। গত নির্বাচনে ব্যবহৃত ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করে ২৭৫টি কেন্দ্র জরাজীর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সম্ভাব্য এসব ভোটকেন্দ্রের দরজা-জানালা, বিদ্যুৎ, পানি, রাস্তাঘাটসহ সার্বিক অবস্থা সংস্কার-মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কাছে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ