আজঃ শুক্রবার ১৩ জুন, ২০২৫

গৌরীপুরে সড়কের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছে শিক্ষার্থীরা

ওবায়দুর রহমান, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি ঃ

ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌর শহরে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শনিবার (১০ আগষ্ট) দুপুর থেকে শহরের বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে যানজট নিরসনের জন্য তাদের কাজ করতে দেখা গেছে। শিক্ষার্থীদের পানি, বিস্কুট ও খাবার প্রদান করে সহযোগিতা করছেন অনেকেই।
শনিবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গৌরীপুর পৌর শহরের উত্তর বাজার, মধ্যবাজার, পাটবাজার মোড়, গৌরীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মোড়, ঝলমল সিনেমা হল মোড়সহ সড়কের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিতে ভিজে অবস্থান নিয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছেন শিক্ষার্থীরা। মাইটি-১৭, ২০১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের সদস্যবৃন্দ, বিএনসিসি, রোভার স্কাউট, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্যবৃন্দ। তাদের কারো হাতে লাঠি, মুখে বাঁশি। ট্রাফিক পুলিশের মতো ইশারা-ইঙ্গিতের মাধ্যমে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছেন তারা।
পানির বোতল, বিস্কুট ও খাবার দিয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণকারীদেরকে সহযোগিতা করছেন উপজেলা ন্যাশনাল সার্ভিস পরিষদের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন ব্যক্তি।
মাইটি-১৭’র শিক্ষার্থী ইমন ইসলাম আকাশ বলেন, ‘আজ শনিবার হাটবার। বাজারে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করতেই আজকে দুপুর থেকেই রাত দশটা পর্যন্ত আমরা গৌরীপুর পৌর শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও স্থানগুলোতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছি, যাতে যানজট না হয়।’
২০১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাখাওয়াত ইবনে আলী সায়েম বলেন, আমাদের একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার জন্য যে সকল শিক্ষার্থী ভাইয়েরা রাজপথে শহীদ হয়েছেন সেই সুন্দর দেশ নির্মাণের জন্য আমরা কাজ করছি। আমাদের বাজারটি একটি মূল সড়কের উপর অবস্থিত। হাটের দিন বাজারে অনেক যানজট লেগে থাকে। সেই যানজট নিরসনে ও ব্যবসায়ীরা যাতে অবাধে ব্যবসাটা করতে পারে সেইজন্যই আমরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি।
বিএনসিসির ক্যাডেট সৌরভ জানান, বাজারের যানজট নিরসনে ও জনসাধারণের দূর্ভোগ লাঘবে আমরা সিনিয়র স্যারদের ও প্লাটুন কমান্ডারের পরামর্শে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি। এই কাজে তিনি সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন।
গৌরীপুর উপজেলা ন্যাশনাল সার্ভিস পরিষদের সভাপতি শওকত হোসেন সুমন বলেন, দেশের ক্রান্তিলগ্নে যে সকল শিক্ষার্থী ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন তাদেরকে শুভেচ্ছা জানাই। আমরা এই সকল শিক্ষার্থীদেরকে সামান্য পানি ও খাবার দিয়ে একটু সহযোগিতা করছি।
ব্যবসায়ী দুলাল দেবনাথ বলেন, ছাত্রদের এই কাজটি খুবই ভালো লেগেছে। এই মোড়টিতে আগে সব সময় যানজট লেগে থাকতো। কিন্তু ছাত্ররা ট্রাফিকের কাজটি করাতে যানজট নেই। আমরা অত্যন্ত খুশি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাকিল আহমেদ বলেন, বাজারে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগটি খুবই মহৎ। এতে করে ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা ও পথচারীরা নির্বিঘেœ চলাচল করতে পারছে। ছাত্রদের এই কার্যক্রমে ছাতা ও বাঁশি দিয়ে সহযোগিতা করেছি।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে ৬০ গ্রামে ঈদুল আজহা পালিত।

দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ, সাতকানিয়া ও আশপাশের অন্তত ৬০টি গ্রামের মানুষ পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন শুক্রবার (৬ জুন)। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে গ্রামগুলোতে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।

এ উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট দরবার শরীফ ও গ্রামগুলোতে প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী মির্জাখীল দরবার শরীফ (সাতকানিয়া) ও জাহাঁগিরিয়া শাহছুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফ (চন্দনাইশ)–এর অনুসারীরা সৌদি আরবের চাঁদ দেখার ভিত্তিতে ঈদসহ ইসলামি সব ধর্মীয় অনুশাসন পালন করে আসছেন। এই ধারার প্রবর্তক ছিলেন সুফি সাধক মাওলানা মোখলেসুর রহমান (রহ.), যিনি প্রায় ২০০ বছর আগে এ রীতির প্রচলন করেন।দরবার শরীফের দায়িত্বশীলরা জানান, তাদের অনুসারীরা হানাফি মাযহাব অনুসরণ করেন এবং আরব বিশ্বের সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করে থাকেন।

চন্দনাইশ পৌরসভা ও উপজেলার বুলার তালুক, হরিনারপাড়া, জামিজুরি, কুন্দুপাড়া, মোহাম্মদপুর, সাতবাড়িয়া, বরকল, বাইনজুরি, ধোপাছড়ি, কাঞ্চননগর, জুনিঘোনা, কেশুয়া, শ্রীমাই, রুপকানিয়া, গুনাগরি, বারখাইন, তৈলারদ্বীপ, চরণদ্বীপ, খরণদ্বীপ, চুনতি, পুটিবিলা, ছৈয়দাবাদ, উত্তর হাশিমপুর, বড়হাতিয়া, বাজালিয়া, কাঞ্চনা, পুরানগড়সহ প্রায় ৬০টি গ্রামে লক্ষাধিক অনুসারী শুক্রবার ঈদের নামাজ আদায় করবেন।

এছাড়াও বোয়ালখালী, হাটহাজারী, ফটিকছড়ি, বান্দরবানের আলীকদম, কক্সবাজার, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, নোয়াখালী, চাঁদপুর, মুন্সিগঞ্জ, বরিশাল, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, খুলনা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী ও রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা মুরিদানরাও একই দিন ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন।

ঈদের জামাতের সময়সূচি অনুযায়ী, চন্দনাইশের জাহাঁগিরিয়া শাহসুফি মমতাজিয়া দরবারের পীর সৈয়্যদ মো. আলীর ইমামতিতে সকাল ৭টায় ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল আজহার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে সাতকানিয়ার মির্জাখীল দরবার শরীফে সকাল ৯টায় প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সৈয়্যদ মাওলানা মুহাম্মদ আবদুর রহমান শাহ জাহাঁগিরীর ইমামতিতে এবং সকাল সাড়ে ৯টায় দ্বিতীয় জামাত পরিচালনা করবেন ড. সৈয়্যদ মাওলানা মুহাম্মদ মকছুদুর রহমান জাহাঁগিরী।

চট্টগ্রামগামী তূর্ণা এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন বিকলে যাত্রীদের দুর্ভোগ, পরে স্বাভাবিক।

চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর তূর্ণা নিশিতা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে সোমবার ভোররাতে কুমিল্লার লাকসাম-নাউটি সেকশনে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। দীর্ঘ চার ঘণ্টা ট্রেনটি আটকে থাকায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। পরে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী লোকোশেড থেকে রিলিফ ইঞ্জিন এনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত ৩টা ২০ মিনিটে ৭৪২ নম্বর তূর্ণা নিশিতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি লাকসাম থেকে নাউটি সেকশনে পৌঁছালে ট্রেনের ৩০০০ সিরিজের ইঞ্জিনটি হঠাৎ বিকল হয়ে যায়। ফলে ট্রেনটি ওই সেকশনে দাঁড়িয়ে পড়ে এবং সড়কের অন্য ট্রেন চলাচলেও প্রভাব পড়ে।

খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী লোকোশেড থেকে একটি রিলিফ ইঞ্জিন পাঠানো হয়। ভোর ৭টা ৩০ মিনিটে বিকল্প ইঞ্জিনটি এসে সংযুক্ত করার পর ট্রেনটি নাউটি থেকে ছেড়ে সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে নাঙ্গলকোট পৌঁছায়।

সেখানে সান্টিং প্রক্রিয়া (ইঞ্জিন পুনঃসংযুক্তি ও প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম) সম্পন্ন করে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ট্রেনটি চট্টগ্রামের উদ্দেশে পুনরায় যাত্রা শুরু করে। শেষ পর্যন্ত সকাল ১০টা ২০ মিনিটে ট্রেনটি চট্টগ্রাম স্টেশনে পৌঁছায়।

এ বিষয়ে লাকসাম স্টেশন মাস্টার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ইঞ্জিন বিকলের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং রিলিফ ইঞ্জিন পাঠিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।

রেলওয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ইঞ্জিনটি পুরোনো হওয়ায় মাঝে মধ্যেই ত্রুটি দেখা দেয়। এই ধরণের ঘটনা রোধে রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ