
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের অব্যাহতি চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর চিঠি দিয়েছেন। এছাড়া চবির রেজিস্ট্রার বরাবরও পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। গতকাল সোমবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কেএম নূর আহমদ। তিনি বলেন, রোববার রাতে তিনি (ড. মো. আবু তাহের) পদত্যাগপত্রটি মেইলে পাঠিয়েছেন। এছাড়া অব্যাহতি চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর চিঠি দিয়েছেন।
এছাড়া দুই উপ-উপাচার্য (প্রোভিসি) পদত্যাগ করেছেন। তারা হলেন- শিক্ষা বিভাগের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক বেণু কুমার দে এবং প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করে আসা অধ্যাপক মো. সেকান্দর চৌধুরী। এদিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নুর আহমেদের কাছে উভয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
জানতে চাইলে চবি’র ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমেদ বলেন, দুই উপ-উপাচার্য কিছুক্ষণ আগে আমার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে উনারা দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিলেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক বেণু কুমার দে ২০২১ সালের ৬ মে এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক মো. সেকান্দর চৌধুরী চলতি বছরের ৬ মার্চ উপ-উপাচার্য হিসেবে পরবর্তী চার বছরের জন্য নিয়োগ পেয়েছিলেন।
এর আগে, রোববার (১১ আগস্ট) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবু তাহের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়ে আচার্যের কাছে আবেদনপত্র পাঠান। এছাড়া বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডিসহ, সব হলের প্রভোস্ট পদত্যাগ করেন।
এর আগে বর্তমান প্রশাসনকে স্বৈরাচারের সহযোগী উল্লেখ করে ৬ আগস্ট থেকেই সবার পদত্যাগের দাবি জানায় চবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। পরে এই দাবি আন্দোলন ও আলটিমেটামে রূপ নেয়। গত রোববার থেকে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে আজীবনের জন্য ক্যাম্পাসে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন। এরপর দুই উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যান শিক্ষার্থীরা।