আজঃ সোমবার ১২ মে, ২০২৫

সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার উসকানি দাতাদের বিচারের দাবি ইসলামী ফ্রন্ট’র

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

ইসলামী ফ্রন্ট

সারা দেশের মাজার, মসজিদ, মন্দিরসহ ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলার সুষ্ঠু বিচার চেয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরবর্তীতে উদ্ভূত পরিস্থিতিসহ সার্বিক বিষয়ে গতকাল সোমবার সংবাদ সম্মেলনে এ বিচার চায় দলটির নেতৃবৃন্দ। দুপুর ১১টার দিকে চট্টগ্রামস্থ দলীয় কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র আন্দোলনে শাহাদাতবরণকারী সব বীর শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকার্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চেয়ারম্যান মাওলানা এম.এ মতিন। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট মহাসচিব স.উ.ম আবদুস সামাদ।
ইসলামী ফ্রন্ট চেয়ারম্যান এম এ মতিন বলেন, হাজারো বিপ্লবী ছাত্রের রক্তের বিনিময়ে সরকারের পতনের পর নবীন- প্রবীণের সমন্বয়ে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। কিন্তু এ বিজয়কে বিতর্কিত করার জন্য একটা মহল নানা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না মসজিদ-মাজার-মাদ্রাসা- মন্দিরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।
তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলায় অসংখ্য মাজার মসজিদে হামলা করেছে চিহ্নিত মহল। চট্টগ্রামের বিভিন্ন মসজিদসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার মসজিদে নিয়োগকৃত আহলে সুন্নাত মতাদর্শী খতিব ইমামদের বিনা কারণে মসজিদে নামাজ পড়াতে দিচ্ছে না তারা। স্বাধীন বাংলাদেশে কারা এ বিভেদ সৃষ্টি করছে, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার উসকানি দিচ্ছে তা খতিয়ে দেখে অপরাধীদের বিচারের দাবি জানান।
মহাসচিব স.উ.ম আবদুস সামাদ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার নেতাকর্মীরা জানবাজি রেখে অংশ নিয়েছে। এ আন্দোলনে অংশ নেয়ার কারণে গুলিবর্ষণসহ হামলার শিকার হয়েছে তারা। তিনি নিরীহ জনসাধারণের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের বিচার, ছাত্রদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক সব মামলা প্রত্যাহার করার দাবিসহ ১১ দফা দাবি উপস্থাপন করেন।
দাবিগুলো হল : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শাহাদাতবরণ করা বীর শহীদদের সঠিক তালিকা প্রণয়ন পূর্বক প্রত্যেক পরিবারকে দ্রুত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং প্রতিটি শহীদ পরিবার থেকে ন্যূনতম একজনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
মাজার-মসজিদ-মন্দিরসহ ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক দোষীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। সকল নিরীহ জনগণের সুরক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। গ্রহণযোগ্য তদন্ত কমিশন ও স্বতন্ত্র ট্রাইব্যুনাল গঠন করে জুলাই গণহত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে।জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি এবং তাদেরকে নির্বাচন থেকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ ও নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে। সব দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে। বিদেশে পাচারকৃত সব অর্থ দেশে ফেরত আনার ব্যবস্থা করে দুর্নীতিবাজদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হবে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, বিচার বিভাগসহ প্রজাতন্ত্রের যে সব কর্মচারী আইন, সংবিধান, শপথ লঙ্ঘন করে অপেশাদার আচরণ করেছেন তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। নির্বাচন কমিশন পুনঃগঠন ও ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে হবে এবং আগামী নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয় এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে হবে।
সরকার পরিবর্তনের পর থেকে অদ্যাবধি দেশব্যাপী সন্ত্রাস, লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগ, ডাকাতি- চর দখলের মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জবর দখলের যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে তা কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।
পুলিশ বাহিনীর কর্মবিরতির সুযোগ নিয়ে সারাদেশে মাদক কারবারি,ছিনতাইকারী ও ডাকাতদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। তাদের কঠোর হস্তে দমন করাসহ পুলিশবাহিনীকে ঢেলে সাজাতে হবে।
ছাত্র আন্দোলন এককভাবে কোনো রাজনৈতিক দলের আন্দোলন নয়। দেশের সর্বস্তরের মানুষ ছাত্রদের ডাকে সাড়া দিয়ে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়েছে। ছাত্র- যুব- জনতার এ মহাবিজয়কে কোনো রাজনৈতিক গোষ্ঠীর বিশেষ উদ্দেশ্য পূরণের হাতিয়ার বানানোর প্রচেষ্টাকে রুখে দিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা তৈয়ব আলী, এডভোকেট আবু নাছের তালুকদার, এম. সোলাইমান ফরিদ, পীরজাদা গোলামুর রহমান আশরফ শাহ, যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ আব্দুর রহিম,মাওলানা রেজাউল করিম তালুকদার, আন্তর্জাতিক সচিব অধ্যাপক সৈয়দ জালাল উদ্দিন আজাহারী, সহ-দপ্তর সচিব ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ নূর হোছাইন, শ্রম ও কৃষি বিষয়ক সচিব এম.মহিউল আলম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সদস্য মোহাম্মদ আব্দুন নবী আলকাদেরী, নাছির উদ্দিন মাহমুদ, আলমগীর বঈদি প্রমুখ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

আমরা কঠিন ও অস্বাভাবিক সময় অতিবাহিত করছি।

আমরা কঠিন ও অস্বাভাবিক সময় অতিবাহিত করছি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, হাসিনা পালিয়ে গেছে, তার প্রেতাত্মারা এখনো আছে। তারা এখনো ষড়যন্ত্র করছে, কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র সফল হবে না। দুর্ভাগ্য আমরা যাদের দায়িত্ব দিয়েছি, আমাদের দেশকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য, তারা সঠিকভাবে এখনো কাজটি করতে পারছে না। ফলে মাঝে মাঝেই সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে, তাদের আরও শক্তিশালী করার সুযোগ করে দিচ্ছে।

শনিবার চট্টগ্রাম পলোগ্রাউন্ড মাঠে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা বিভাগের যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের সমন্বয়ে ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার’ প্রতিষ্ঠার সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, আজকে এখানে সমাবেশ হচ্ছে, আরেকটি হচ্ছে নিউমার্কেটে এবং আরেকটি হচ্ছে ঢাকায়। দাবিটা কী? আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে তাই না? আমরা মাঠে যারা আছি তারা শুধু নয়, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ আওয়ামী লীগকে দেখতে চায় না। কারণ আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের মানুষের ওপর নির্যাতন করেছে।

গণতন্ত্র ধ্বংস, একদলীয় শাসন ব্যবস্থা ও বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছে।আপনারা সংস্কার সংস্কার বলছেন, কিন্তু প্রথম সংস্কার করেছিলেন শহীদ জিয়াউর রহমান’ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শাহাদাতের পর নয়টি বছর পথে-ঘাটে ঘুরে ফিরে আমাদের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছিলেন। কিছু কিছু মানুষ সব ভুলে যায়। শুধু সুন্দর সুন্দর মুখরোচক কথা বললেই জাতি বোধ হয় সব ভুলে যাবে। তাদের বলব, আজকে সমাবেশটা দেখে যান, আপনাদের সম্বিৎ ফিরে এলে জাতি উপকৃত হবে। সোজা হিসাব বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র ও অধিকারকে প্রয়োগ করতে চায়। আমাদের তরুণরা চাকরি, ব্যবসা ও কর্মসংস্থান চায়। আমাদের মায়েরা ছেলেদের লেখাপড়া শেখাতে চায়।

তরুণরা জেগে উঠেছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, মাথা ঠান্ডা রেখে সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিতে হবে। আধুনিক ও উপযোগী একটি বাংলাদেশ করার শিক্ষা দিচ্ছেন আমাদের নেতা তারেক রহমান। এই দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিক্রি করে আমরা কোনভাবেই কোনো কিছু করতে দেব না। বাংলাদেশের প্রশ্নে আমরা আপোস করবো না। তাই আমাদের নেতা বলেছেন, সবার আগে বাংলাদেশ। তিনি বলেছিলেন, ফয়সালা হবে রাজপথে।

স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানীর সভাপতিত্বে এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনয়িক তামিম ইকমাল, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এস এম জিলানী, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মো. এরশাদুল্লাহ, সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান নাজিম প্রমুখ।

সমাবেশে বাংলাদেশে নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে এবং কেউ বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, গণতন্ত্রের পথে কেউ যাতে রুদ্ধ করতে না পারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
আমীর খসরু বলেন, আজকে এখানে তামিমকে দেখে বলতে ইচ্ছে হচ্ছে চট্টগ্রামের তরুণরা আজকে ছক্কা মেরে দিয়েছে। এ-ই তরুণরা ফ্যাসিস্ট হাসিনা হঠানোর মূল শক্তি। ওয়াসিম আকরামের জীবন দিয়ে এ আন্দোলন সফল করেছে। সেদিন ছাত্রদল যুবদল বুক পেতে দিয়েছে গুলির সামনে। গণতন্ত্র, মানুষের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য তরুণরা লড়াই করেছে, সব অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য লড়াই করেছে।

বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, আমরা ১৬-১৮ বছর আন্দোলন করেছি। মামলা, হামলা, গুম ও খুনের শিকার হয়েছি। পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু হয়েছে অনেক নেতাকর্মীর। আমাদের নেতাকর্মীরা যার জন্য এত ত্যাগ স্বীকার করেছে, সেই গণতন্ত্র যেন কেউ জিম্মি করতে না পারে। এ রকম একটি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
আমির খসরু বলেন, কারো যদি দর্শন থাকে, ভাবনা থাকে, কর্মসূচি থাকে তাহলে তাদেরকে জনগণের কাছে যেতে হবে। কিন্তু কারো স্বার্থের জন্য দেশকে জিম্মি করা যাবে না। মানুষের মধ্যে নতুন যে ভাবনা এসেছে তা বুঝতে হবে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে ৩১ দফা বাস্তবায়ন করে সে আকাঙ্খা বাস্তবায়ন করতে হবে। নতুন

রাজনৈতিক বন্দোবস্ত কথা শুনি, ৩১ দফার মধ্যে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত কথা অনেক আগে বলেছে বিএনপি। খালেদা জিয়া বলেছেন, তারেক রহমান বলেছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, কোনো দল তো সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে জনগণের কাছে যেতে দেখিনি। আমরা কেন যাচ্ছি, আগামী নির্বাচনে জনগণের ভোটের জন্য, জনগণ ভোট দিলে আগামীতে ৩১ দফা বাস্তবায়ন করা হবে। সরকার গঠন করলে সবাইকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। এখানে কোন কিছু অস্পষ্ট নেই, দিনের আলোর মতো পরিস্কার।

খসরু বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু হয়েছে, এটা কেউ বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। গণতন্ত্রের পথে কেউ যাতে রুদ্ধ করতে না পারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আমরা শান্তি পূর্ণ ভাবে এগিয়ে যাবো, কারো উস্কানিতে পা দেওয়া যাবে না। এটা তারেক রহমানের সিদ্ধান্ত। আমরা নতুন সংস্কৃতি সৃস্টি করতে চাই, সহনশীল থাকতে হবে সবাইকে।

এর আগে সমাবেশে উপস্থিত হয় বক্তব্য দেন জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় তামিম ইকবাল। তিনি বলেন, আমি পলিটিক্যাল কেউ না। আমি একজন স্পোর্টসম্যান। তাই আমি স্পোর্টস নিয়ে কিছু কথা বলবো। একসময় মানে চট্টগ্রাম থেকে ৫-৬ জন করে ন্যাশনাল টিমে প্রডিউস করতো। কিন্তু লাস্ট ১০-১৫ বছর আগে সেরকম প্লেয়ার উঠে আসেনি।

তিনি বলেন, আমি চাইবো, আগামীতে যেন উঠে আসে। এজন্য কার জন্য কি প্রতিবন্ধকতা হয়েছে তা নয়। আমরা কেন ন্যাশনাল টিমে যেতে পারিনি তা দেখতে হবে। আর কি করলে আমরা স্পোর্টসে আরও অংশগ্রহণ করতে পারবো, অবদান রাখতে পারবো তা নিয়ে কাজ করতে হবে।

এইদিন সমাবেশস্থল ঘুরে দেখা গেছে, ছাত্র-শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সমর্থক ভিড় করছেন। কেউ হেঁটে, কেউ বাসে আর কেউ ট্রাকে করে আসছেন। কেউ আবার ঢাক-ঢোলের তালে তালে।

নেত্রকোনা জেলা উলমা দলের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত।

জাতীয়তাবাদি ওলামা দলের আয়োজনে এক সাধারণ সভা নেত্রকোনা ছোট বাজার দলিয় কার্য্যালয়ে অনুষ্ঠিত। জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবু তাহের তালুকদারের দিক নির্দেশনায়।

নেত্রকোনা জেলা ওলামা দলের হাফেজ কারী মাওলানা সভাপতি মিছবাহ উদ্দিন মাসুদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি এ টি এ্ম আব্দুল বারী ড্যানী। সহধর্ম বিষয়ক সম্পাদক কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি বিএনপি।

সভা পরিচালনা করেন, জেলা ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোঃ মনিরুজ্জামান। বক্তব্য রাখেন জেলা ওলামা দলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুর উদ্দিন মন্ডল দুলাল,পূর্বধলা উপজেলা ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা মোঃ সাইদূর রহমান, দুর্গপুর উপজেলা ওলামা দলের সভাপতি মোঃ আবুল মুলিব,মদন উপজেলা ওলামা দলের সভাপতি মুফতি মোঃ আবু রায়হান, আটপাড়া উপজেলা ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ মোঃ সাজিদুর রহমান, বারহাট্রা উপজেলা ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা মোঃ মাহবুব আলম কাজল,কেন্দুয়া উপজেলা ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান প্রমুখ।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ