চট্টগ্রামের বৃহত্তম পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের দাম কমেছে। তবে বেড়েছে বসুনের দাম। এতে এই বাজারে কেজিতে চার থেকে পাঁচ টাকা কমেছে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম।
ব্যবসায়ীরা জানান, গত সপ্তাহে পাকিস্তান ও চীন থেকে দুটি চালানে বেশ কিছু পেঁয়াজ এসেছে খাতুনগঞ্জে। এতে গেল ছয় থেকে সাতদিন ধরে খাতুনগঞ্জে এসব পেঁয়াজের বিক্রি বেড়েছে। তুলনামূলক বড় আকারের এসব পেঁয়াজের দামও তুলনামূলক কম। তবে দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজের চেয়ে তুলনামূলক বিক্রি কম হচ্ছে পাকিস্তানি ও চীনা পেঁয়াজ।
অন্যদিকে গত সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়েও প্রতিকেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ৯৬ থেকে ৯৭ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। তিন থেকে চারদিনের ব্যবধানে কেজিতে এই পেঁয়াজের দাম কমেছে চার থেকে পাঁচ টাকা।
তবে খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের দাম কমলেও বেড়েছে রসুনের দাম। গেল এক মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজি রসুনের দাম বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। প্রতি কেজি রসুন জাত ও আকার ভেদে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এক মাস আগে মসলাজাত এই পণ্যটির কেজিপ্রতি পাইকারি দাম ছিল ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে আদার দাম। খাতুনগঞ্জে পাইকারিতে ২১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে আদা।
খাতুনগঞ্জ ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ দোকানেই বিক্রি হচ্ছে তুলনামূলক বড় আকারের চীনা ও পাকিস্তানি পেঁয়াজ। এদিন খাতুনগঞ্জে ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে এসব পেঁয়াজ। ৯০ থেকে ৯২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে ভারতীয় পেঁয়াজ।
চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দীন বলেন, সাধারণত ভারত ছাড়াও পাকিস্তান, চীন, তুরস্কসহ আরও কয়েকটি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা। এখন পাকিস্তান ও চীনের কিছু পেঁয়াজ এসেছে, সেগুলোর দামও কম। এই পেঁয়াজগুলো আসায় ভারতীয় পেঁয়াজের দামও কমেছে, এখন ভারতীয় পেঁয়াজ ৯২ থেকে ৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
খাতুনগঞ্জের হামিদ উল্লাহ মার্কেট আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, চীন-পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ এসেছে, সেগুলোর দামও তুলনামূলক কম। তবে বিক্রি কম। আর ভারতীয় পেঁয়াজ কয়েকদিন আগেও ৯৭ থেকে ৯৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, এখন কিছুটা কমে ৯৩-৯৪ টাকা করে যাচ্ছে। তবে কোনো কারণে ভারত পুরোপুরি পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করলে দেশি পেঁয়াজের পাশাপাশি চীন ও পাকিস্তান থেকে আমদানি করে দেশে পেঁয়াজের চাহিদা পূরণ করা যাবে বলে তিনি জানান।