আজঃ বুধবার ১৬ জুলাই, ২০২৫

চট্টগ্রাম জেলা:

ফটিকছড়ি তে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু

মাসুদুল ইসলাম মাসুদ ফটিকছড়ি প্রতিনিধি:

ফটিকছড়ি:

ফটিকছড়িতে বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক ভাবে অবনতি হওয়ার পর, আজ শনিবার ধীরে ধীরে এলাকায় লোকজন নিজ গৃহে ফিরতে শুরু করেছে।

তারই ধারাবাহিকতায় উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নে পানিতে ভেজা ঘরে ফ্রিজের লাইন দিতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে জীবন গেল ২১ বছরের এক যুবকের। যে এলাকাগুলো বন্যায় প্লাবিত হয়েছে সেখানে যে কোনো ধরনের বৈদ্যুতিক কাজ করার আগে স্ব স্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা করার অনুরোধ রইল। প্রয়োজনে স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের সহযোগিতা নিন অথবা কাজ করার আগে লাইন বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ করেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে জুলাই অভ্যুত্থানবিরোধী কর্মকাণ্ড রুখতে ‘যৌথ টহল’ কর্মসূচি

জুলাই অভ্যুত্থানবিরোধী কর্মকাণ্ড রুখতে বিভিন্ন বাহিনীর সমন্বয়ে চট্টগ্রাম নগরী থেকে সাতকানিয়া পর্যন্ত যৌথ টহলের কর্মসূচি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। আগামী সোমবার (২১ জুলাই) এর সম্ভাব্য সময়ও নির্ধারণ করা হয়েছে।মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর সার্কিট হাউজে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম।‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম জেলা স্টেডিয়ামে আয়োজিত ড্রোন শোসহ ধারাবাহিক কর্মসূচি সম্পর্কে জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, ‘আগামী সোমবার একটা জয়েন্ট পেট্রোল টিম নিয়ে আমরা মাঠে নামার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। বিভাগীয় কমিশনার স্যারের অনুমতি সাপেক্ষে আমরা এটা করব। এই টিমে র‌্যাব, বিজিবি, আর্মি, পুলিশ, আনসার, এয়ারফোর্স, জেলা প্রশাসন থাকবে। আমরা সবাই একসঙ্গে মুভ করব। সার্কিট হাউজ থেকে রওনা দিয়ে ১০০ থেকে ১৫০ মাইল মুভ করে আমরা সাতকানিয়া পর্যন্ত যাবো।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সারা বাংলাদেশকে জানাতে চাই যে জুলাই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে কোনো কার্যক্রম কিংবা নাশকতার চেষ্টা কেউ করলে তারা যেন সতর্ক হয়ে যায়। আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি, এটা তাদের জানাতে চাই।’এদিকে বুধবার (১৬ জুলাই) চট্টগ্রাম জেলা স্টেডিয়ামে ড্রোন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে লাখো মানুষের সমাগমের আশা করছে জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে ড্রোন শো জেলা স্টেডিয়ামে হবে। সেখানে ১১০০ ড্রোন উড়বে। আমরা আশা করছি সেখানে এক লাখের মতো জনসমাগম হবে। সিএমপি থেকে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত আছে। আমরা কোনো ধরনের নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কা করছি না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যা যা করণীয় দরকার, সবকিছুই করা হচ্ছে।’
চট্টগ্রামের ১৫টি স্থানে জুলাই শহিদদের স্মৃতিফলক স্থাপন করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যেখানেই শহিদ হয়েছে, সেখানেই স্মৃতিফলক স্থাপন করা হবে। চট্টগ্রামে মোট ১৫টি জায়গায় করা হবে।

মহানগরীতে যারা মারা গেছেন, সেটা করবে সিটি করপোরেশন। মহানগরীর বাইরে উপজেলা পর্যায়ে এলজিইডি করবে।’এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রতীকী ম্যারাথন, যতজন শহিদ ততগুলো বৃক্ষরোপণ, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, শহিদদের মায়েদের নিয়ে সমাবেশ, হেলথ ক্যাম্প, এলাকাভিত্তিক জুলাই যোদ্ধাদের সমাগম ও প্রধান উপদেষ্টার ভিডিও বার্তা প্রচার এবং সম্মাননা প্রদানসহ আরও কর্মসূচির তথ্য জানানো হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে।এরপর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন ৫ আগস্ট সকাল ৯টায় জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

শেখ ফয়সালের স্বপ্ন ছোঁয়ার শুরু গোল্ডেন দিয়ে

নিয়মিত অধ্যয়ন, একাগ্রতা আর স্বপ্ন দেখার সাহস—এই তিনটি বিষয়কে পাথেয় করে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র শেখ ফয়সাল ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ এবং ১৩০০ নম্বরের মধ্যে ১২৪৬ পেয়ে ব্যতিক্রমী কৃতিত্ব অর্জন করেছে।

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এই পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞানসহ সব বিষয়ে ফয়সাল A+ (অর্থাৎ ৮০-এর বেশি নম্বর) পেয়েছে। গণিতে তার নম্বর ৯৮, পদার্থবিজ্ঞানে ৯৯, রসায়ন ও উচ্চতর গণিতে ১০০ করে—প্রতিটি বিষয়ের ফলাফলে নিখুঁত স্থিরতা দেখা গেছে।

ফয়সালের বাবা শেখ ফারিদ, বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে কর্মরত। মা তোহমিনা আক্তার একজন গৃহিণী।পিতা শেখ ফারিদ বলেন, আমরা সীমিত সামর্থ্য নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখেছি। ফয়সালের সাফল্য আমাদের জন্য বিরাট আনন্দ।

মা তোহমিনা আক্তার বলেন, “ফয়সাল ছোটবেলা থেকেই বইপাগল। পড়াশোনার বাইরে সময় কাটে জ্ঞানের খোঁজে। ওর এই আগ্রহ আমাদের আশীর্বাদ মনে হয়।ফয়সালের স্বপ্ন একজন গবেষক বিজ্ঞানী হওয়া।আমি এমন কিছু উদ্ভাবন করতে চাই যা মানুষের জীবনকে সহজ করবে—বিশেষ করে পরিবেশ, কৃষি ও স্বাস্থ্য খাতে,”—বলেছে ফয়সাল।

তার প্রিয় বিষয় পদার্থবিজ্ঞান ও গণিত। সে বিজ্ঞানভিত্তিক ডকুমেন্টারি দেখে, অনলাইন কোর্স করে এবং আন্তর্জাতিক অলিম্পিয়াডের প্রস্তুতিও নিচ্ছে।অধ্যয়ন অভ্যাস ও সময় ব্যবস্থাপনা

ফয়সালের প্রতিদিনের রুটিন সময়মাফিক ও নিয়মানুবর্তী। দিনে অন্তত ৬ ঘণ্টা লেখাপড়ায় সময় দেয়, আর প্রতি সপ্তাহে একটি দিন শুধুই নিজের মানসিক চর্চা ও জ্ঞানভিত্তিক বইপড়ায় ব্যয় করে।

সে বলে, সোশ্যাল মিডিয়ার চেয়ে বইয়ের ঘ্রাণ বেশি ভালো লাগে। প্রতিটি বিষয়ে বুঝে পড়ি—মুখস্থের উপর নির্ভর করি না।কলেজিয়েট স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, “ফয়সাল পরিশ্রমী ও শৃঙ্খলাপরায়ণ। ওর মতো ছাত্র একটা প্রতিষ্ঠানের গর্ব। আমরা বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতে সে দেশের সম্পদে পরিণত হবে।

ফয়সালের ইচ্ছা ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ বা নটর ডেম কলেজে ভর্তি হয়ে উচ্চশিক্ষার যাত্রা শুরু করা। এরপর তার লক্ষ্য বুয়েট বা আন্তর্জাতিক কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ও গবেষণা নিয়ে পড়াশোনা করা।আমি শুধু নিজের জন্য নয়, দেশের জন্য কিছু করতে চাই,”—জানায় শেখ ফয়সাল।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ