আজঃ শুক্রবার ১৪ মার্চ, ২০২৫

চট্টগ্রামে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধকের দায়িত্বে উপজেলা কর্মকর্তা

এম মনির চৌধুরী রানা চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে পটিয়ায ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর সারাদেশের মত চট্টগ্রামের পটিয়ায়ও স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের অনেকেই আত্মগোপনে চলে যায়। উপজেলা পরিষদ থেকে শুরু করে পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদের প্রায় সব শীর্ষপদই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দখলে ছিল। এ অবস্থায় ব্যাহত হচ্ছিল স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম। এমন পরিস্থিতিতে ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম ও মৃত্যু সনদ পেতে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব অর্পণ করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পটিয়া উপজেলা প্রশাসন। গত বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিকেলে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চট্টগ্রামের স্থানীয় সরকার শাখার স্মারক নং ০৫,৪২,১৫০০,৭০১.৭০.০১১.২৩.৪২৮ মূলে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় উপর্যুক্ত বিষয় ও সূত্রোক্ত স্মারকের প্রেক্ষিতে সম্প্রতি উদ্ভূত বিশেষ পরিস্থিতির কারণে ইউনিয়ন পরিষদসমূহে অননুমোদিতভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানগণের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তাকে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধকের দায়িত্ব প্রদান এবং তাদের নামে ইউজার আইডি ও পাস ওয়ার্ড প্রদানের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এমতাবস্থায়, সূত্রোক্ত স্মারকে প্রেরিত পত্রের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে পটিয়া উপজেলার নিম্নবর্ণিত ইউনিয়ন পরিষদসমূহের নামের পাশে বর্ণিত কর্মকর্তাকে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধকের দায়িত্ব প্রদান করা হল।
কোলাগাঁও ইউনিয়নে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. রাসেল চৌধুরী, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা চন্দন চক্রবর্তী হাবিলাসদ্বীপ, সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. আলা উদ্দিন কুসুমপুরা, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. শাহাবুদ্দিন জিরি, উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এলজিইডি) সফিকুল ইসলাম কাশিয়াইশ, একাডেমিক সুপারভাইজার বাবুল কান্তি দে আশিয়া, উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এলজিইডি) অনুপম সিকদার বড়লিয়া, উপজেলা তথ্য কর্মকর্তা উজ্জ্বল শীল জঙ্গলখাইন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রবিউল হোসেন ধলঘাট, ম্যানেজার পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক গৌতম সেন কেলিশহর, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল মজিদ হাইদগাঁও, সহকারী প্রকৌশলী জনস্বাস্থ্য সৌম্য চৌধুরী দক্ষিণ ভূষি, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা স্বপন চন্দ্র দে ভাটিখাইন, সহকারি প্রোগ্রামার মৃন্ময় দাশ কচুয়াই, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তপন কুমার রায় খরনা এবং উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ইলিয়াছ শোভনদণ্ডী ইউনিয়নে দায়িত্ব পালন করবেন। এর আগে এক আদেশ জারির মাধ্যমে উপজেলা ও পৌর মেয়রের বিষয়ে ও বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করে অন্তবর্তী সরকার। উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলাউদ্দিন ভূঞা জনী। পরে অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইন সংশোধন করে মেয়র-চেয়ারম্যানদের অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয় সরকারের।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

সাড়ে ৫ লাখ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াবে চসিক

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে ৫ লক্ষ ৬০ হাজার শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে ৬-১১ মাসের ৯০ হাজার এবং ১২-৫৯ মাসের ৪ লাখ ৭০ হাজার শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়াবে চসিক। বৃহস্পতিবার টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের পর চিকিৎসক ও গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এসময় তিনি ক্যাম্পেইন সফল করার বিষয়ে চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রস্তুতি সম্পর্কে অবগত হয়ে দিক-নির্দেশনা দেন।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় উক্ত ক্যাম্পেইন সফল ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার করার লক্ষ্যে ব্যপক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। যথাক্রমে কেন্দ্রীয় এ্যাডভোকেসী ও পরিকল্পনা সভা আয়োজন, জোন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে এ্যাডভোকেসী ও পরিকল্পনা সভা আয়োজন, ওয়ার্ড পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষন, প্রতিটি ওয়ার্ডে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল বিতরণ, ব্যপকভাবে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ, সকল আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, মসজিদের খতিব ও ইমাম সাহেবদের দিয়ে প্রচারণার উদ্যোগ নিয়েছে চসিক ।

শনিবার (১৫ মার্চ) চসিকের সাতটি ইপিআই জোনের আওতায় ৪১ ওয়ার্ডে ১ হাজার ৩২১টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ ক্যাম্পেইন চলবে। ৬-১১ মাসের শিশুকে ১ লাখ ইউনিটের নীল রঙের ও ১২-৫৯ মাসের শিশুকে ২ লাখ ইউনিটের লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
চসিক মেয়র জানান, জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল করার লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে চসিক। ক্যাম্পেইনে বাদ পড়া শিশুদের চসিকের ব্যবস্থাপনায় চসিক পরিচালিত দাতব্য চিকিৎসালয়, নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ইপিআই কেন্দ্রে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। শিশুদের রাতকানা রোগ প্রতিরোধ এবং অপুষ্টি ও মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষার জন্য মা, বাবা, অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান মেয়র।

মেয়র জানান, ক্যাম্পেইন চলাকালে মা ও শিশুর পুষ্টি নিশ্চিতকরণে গর্ভবতী ও প্রসূতি মা’দের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিমাণে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ প্রাণিজ খাবার (মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, কলিজা) এবং উদ্ভিজ্জ খাবার (হলুদ ফল, রঙিন শাক-সবজি) খাওয়াতে পরামর্শ দেওয়া হবে। জন্মের পর এক ঘণ্টার মধ্যে শিশুকে শাল দুধ খাওয়ানোসহ প্রথম ছয় মাস শিশুকে শুধু মায়ের দুধ খাওয়ানোর বিষয়ে পুষ্টিবার্তা প্রচার করা হবে। ছয় মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি সুষম খাবার পরিমাণ মতো খাওয়াতে হবে।
এর আগে ২০২৪ সালের ১ জুন অনুষ্ঠিত জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে চসিকের অর্জনের হার ৯৯ শতাংশ।

৬-১১ মাসের ৮৮ হাজার ৫৯০ শিশুর লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৮৭ হাজার ৯৫৭ শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছিল। অন্যদিকে ১২-৫৯ মাসের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৭১ হাজার ৯৫০ শিশু। এর বিপরীতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৯৫৯ শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছিল। অর্জনের হার ৯৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ ইমাম হোসেন রানা, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ হোসনে আরা, সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম, ডাঃ তপন কুমার চক্রবর্তী, জোনাল মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুমন তালুকদার, ডাঃ আকিল মাহমুদ নাফে, ডাঃ আবদুল মজিদ সিকদার, ডাঃ শর্মীলা রায়, ডাঃ মামুন রশিদ।

সাতকানিয়া কেরানীহাটে মোবাইল কোর্টের অভিযান, ৯৬ হাজার টাকা অর্থদন্ড

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক নির্দেশনায় নিয়মিত বাজার মনিটরিং এর অংশ হিসেবে বুধবার (১২- মার্চ) বিকাল ৩ টায় সাতকানিয়া উপজেলার কেরানীহাট বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।


এসময় মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয় করার অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় আম্মাজান পাজ্ঞাবি বিতান কে ২৫,০০০/-টাকা, রিমেক্স 69 কে ১৫,০০০/- টাকা, শৈল্পিক কে ১,০০০/- টাকা, আরটিক্স কে ৫,০০০/- টাকা, সু-বাজার কে ৫০,০০০/- টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। মোট ৫ টি মামলায় সর্বমোট ৯৬,০০০/-টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।উক্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন বিশ্বাস।

এসময় সহকারী কমিশনার(ভূমি) জনাব ফারিস্তা করিম, উপজেলা মৎস অফিসার জাকিয়া আবেদিন, ইলেক্ট্রিক মিডিয়া ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ সহ থানার পুলিশ সদস্যবৃন্দ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জনস্বার্থে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ