নতুন এক বাংলাদেশ, এই এক তারুণ্যের বাংলাদেশ। তারুণ্য দীপ্তি ছাত্র সমাজ। টগবগে লাল রক্তে রক্তিম এক ছাত্র সমাজ। দূর্যোগের এই মুহুর্তে নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়ে বিলিয়ে দিয়েছে নিজেদের কে। দেশের এই আকস্মিক বন্যায় তারা ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রথম দিন থেকে। বন্যার দিন থেকে শুরু করে আজ অবধি তারা মাঠ পর্যায়ে বন্যা দুর্গত এলাকায় এলাকায়, ঘরে ঘরে, বানবাসি মানুষের ধারে ধারে ছুটে গেছে প্রতিটি মুহূর্তে, প্রতিটি ক্ষণে, রাত বিরাতে। তারা গত ৫ দিনে প্রায় ৬০০ জনের খাবার ও ৪০০ জনের শুকনো খাবার সহায়তা দিয়েছে বন্যা কবলিত এলাকায়। তারা প্রথমে ধর্মপুর নিয়ে কাজ করলেও পরবর্তীতে বন্যা পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাওয়াই তারা নিজ ইউনিয়ন ধর্মপুর ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পরেন ফটিকছড়ি বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে। তারা ক্রমান্বয়ে বক্তপুর ইউনিয়ন ,সমিতিরহাট ইউনিয়ন ,
জাফতনগর ইউনিয়ন এলাকায় এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। তারা বর্তমানে ত্রাণ কার্যক্রম স্থগিত রেখে বন্যা পরবর্তী গৃহ পূর্নবাসন নিয়ে কাজ শুরু করেছে। ইতোমধ্যে তারা প্রায় ৫০ জনের একটি টিম প্রত্যেক বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন ও পূর্নবাসন নিয়ে কাজ করছে। তাদের এই মহৎ কার্যক্রম কে এলাকাবাসী পজিটিভ ভাবে নিয়েছে। তারা আশা করে আগামী তে তারা একটি মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত একটি সমাজ পাবে।এই মহতী কাজে যারা যুক্ত আছেন তারা হল হাসান উল্লাহ, আবিদ,সাজ্জাদ,আরিফ, রিয়াজ,তানভীর,হাবিব,তুষার,ইমাত,অভী,ওয়াহিদ,আজম,সাঈদ,তাসিফ,মিনহাজ,সাখাওয়াত,জিমন, মুনতাসীর সহ অনেকেই।
এছাড়া ধর্মপুর বক্তপুর ভিত্তিক আরো একটি দল যারা সব সময়ই ক্রীড়াঙ্গনে কাজ করে এমন একটি দল বন্যা হতে আজ অবধি ফটিকছড়ির আনাছে কানাছে দুপুর এবং রাতের খাবার ঘরে ঘরে গিয়ে বন্যার্তদের হাতে তুলে দিচ্ছেন। আজাদী বাজার ভিত্তিক এই ক্রীড়াঙ্গনের ত্রাণ বিতরণ ইতিমধ্যে এলাকায় ভুয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছেন। শেষ তথ্য মতে তারা আজ ফটিকছড়ি দক্ষিণ অঞ্চল সুন্দরপুরে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চালাচ্ছেন।