নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌর শহরের হাসপাতাল মোড়ের মাইশা ফার্মেসী ও ডেন্টাল ক্লিনিক ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে । মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের ১৮১ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এরমধ্যে ৩১ জনের নামোউল্লেখসহ আরও ১৫০জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। সোমবার দুর্গাপুর থানার ওসি মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিন মামলার বাদী শাওনও মামলার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান। এরআগে গত গত ৫ সেপ্টেম্বর দুর্গাপুর পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোশারফ হোসেন শাওন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন৷শাওন পৌর শহরের হাসপাতাল মোড়ের মাইশা ফার্মেসী ও ডেন্টাল ক্লিনিকের মালিক। মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০২২ সালের ৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র, ইট পাটকেল ও ককটেল নিয়ে শাওনের ওই দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে হামলা চালায়। শাওন ভয়ে দোকান থেকে বের হয়ে পড়ে৷ এ সুযোগ আসামিরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভেঙ্গে ২ লক্ষ টাকার ক্ষতি করে, ও একটি ডিজিটাল এক্সরে মেশিন ভেঙ্গে ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে। ফার্মেসিতে থাকা ৩০ লক্ষ টাকার বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ও ড্রয়ারে রাখা ১ লক্ষ ৫ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়।
মামলায় আসামিরা হলেন, উপজেলার আব্দুল হান্নান(৫৫),অমিত আকঞ্জি(২৯), সাইফুল ইসলাম(৩০), জহিরুল ইসলাম (৩০), আমিনুল ইসলাম(৪২), ইলিয়াস কাদের জুয়েল (৪৫), বিদ্যুৎ পন্ডিত(৪২), আনিছুজ্জামান রনি (৩২), শাহাদাত হোসেন (৩৬), আলাল সর্দার(৫৫), মো. মোজ্জামেল(৩৮), হেলাল উদ্দিন হেলাল(৪০), মাজহারুল ইসলাম (৩৫), মঙ্গন উদ্দিন (২৬), সোহানুর রহমান সোহান(৩৩), আল আমিন(৩২), সাজু মিয়া, নিজাম ওরফে মুরগী নিজাম(৫৬), বাদল কমিশনার (৫২), তুষার(২৩), নিলয় মুন্সি(২৮), মোমেন ইবনে সাঈদ ষ্ট্যালিন(৩৫), তৌকির মোল্লা(২৭), রনি বাউল (৩০), আরিফুল ইসলাম পাপন(৩৮), আহাম্মদ মড়ল( ৪২),রাজন মিয়া(৩০), আজহারুল ইসলাম আরিফ(৩০), সাফায়েত হোসেন কায়েস(২৫), ফারুক(৪৮) ও মোখলেছ খান(৪২)। উল্লেখিত আসামিরা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও তাঁর অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ । অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।দুর্গাপুর থানার ওসি মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম জানান,মাইশা ফার্মেসী ও ডেন্টাল ক্লিনিক ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় প্রতিষ্ঠান মালিক মোশারফ হোসেন শাওন থানায় একটি মামলা করেছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে ।