লপযর্টন রাজধানী কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে বছরজুড়ে থাকে পর্যটকে সরব। সৈকতে নেমেই পর্যটকেরা চায় অতল সমুদ্রের ঢেউয়ের ছোঁয়া নিতে। কিন্তু ঢেউয়ের ছোঁয়া নিতে গিয়ে অসতর্কতায় লাশ হচ্ছে পর্যটকেরা। এতে মুহুর্তেই আনন্দ ভ্রমণ বিষাদে রূপ নিচ্ছে। গত এক দশকে সাগরে গোসল করার সময় ভেসে গিয়ে প্রাণ হারান শতাধিক পর্যটক। এদের বেশিরভাগ সাগরের পানিতে নামার নির্দেশনা না মেনে বা শুওখালে পড়ে ভেসে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন।
সর্বশেষ গত শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় ইনানী সৈকতে সাগরে গোসলে নেমে নাফি শাহরিয়ার (৩০) নামে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ইনানী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান, জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তানভীর হোসেন।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) তানভীর হোসেন বলেন, সাগরের আচরণ সবসময় পালটায়। জোয়ারের সময় যেস্থানে সমতল, ভাটার সময় সেখানে খাদের সৃষ্টি হতে পারে। ঘূর্ণিপাকে হঠাৎ সৃষ্টি হয় চোরাবালির।
তাই সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্ট যেখানে লাইফগার্ড ও বিচকর্মী দায়িত্বপালন করে সেখানে ছাড়া, সিগাল, ডায়াবেটিস হাসপাতাল পয়েন্টে গোসলে নামা অনিরাপদ। একইভাবে হিমছড়ি, ইনানী, পেঁচারদ্বীপ, টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন সাগরে গোসল করতেও সতর্কতা অবলম্বন জরুরি। এসব স্থানে নজরদারি রেখে উদ্ধারকর্মী দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত জনবল প্রশাসনের নেই। তাই সৈকত জুড়ে লাল নিশানা উড়ানো স্থানে সাগরে নামা উচিত নয়।
সি-সেইফ লাইফ গার্ডের সুপার ভাইজার রামু সহকারি জজ ওসমান গণি বলেন, পর্যটকদের সতর্ক করতেই লাল নিশানা উড়ানো হয়। ভাটার সময় সাগরে নামা নিষেধ। কিন্তু অনেকে এসব নির্দেশনা না মেনে পর্যটকেরা সাগরে নেমে যায়।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের ওসি গাজী মিজান বলেন, কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটকদের জন্য সাগরে সতর্কতামূলক বিভিন্ন নির্দেশনা থাকে। সচেতনতার জন্য এসব নির্দেশনা মাইকে এবং বিভিন্নভাবে প্রচার করা হয় নিয়মিত। কিন্তু, অনেকেই এসব মানেন না।