আজঃ রবিবার ১৩ জুলাই, ২০২৫

কমিউনিটি পর্যায়ে চক্ষু চিকিৎসাসেবা আরো সম্প্রসারিত করার উদ্যোগ-কর্মশালা

চট্টগ্রাম ব্যুরো: ‘

বাংলাদেশে কমিউনিটি চক্ষু স্বাস্থ্যসেবায় এনজিও চক্ষু হাসপাতালের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালা সম্পন্ন হয়েছে। দিনব্যাপী পাহাড়তলীস্থ চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (সিইআইটিসি) এর ইমরান সেমিনার হলে উক্ত কমিউনিটি চক্ষু স্বাস্থ্য কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় ১৪টি এনজিও চক্ষু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহন করেন। কর্মশালায় চক্ষু স্বাস্থ্যসেবা, হাসপাতাল নির্মাণ, দক্ষ চিকিৎসক, বিভিন্ন স্তরের প্রশিক্ষিত জনবলের বিষয়ে উপস্থাপন করেন কমিউনিটি অপথালমোলজির প্রবক্তা, সিইআইটিসি’র ম্যানেজিং ট্রাস্টি, আন্তর্জাতিক চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন।
এর আগে হাসপাতালের এসোসিয়েট কনসালটেন্ট ডা. মো. আমিনুর রহমানের কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে কর্মশালার সূচনা হয়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিইআইটিসি’র মেডিকেল ডিরেক্টর ও কর্মশালার আহবায়ক সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. রাজীব হোসেন। এছাড়া কর্মশালার তাৎপর্য, দিকনির্দেশনা তুলে ধরেন প্রোগ্রাম সমন্বয়কারী ও আইসিও এর অধ্যপক ডা. মোহাম্মদ মুনিরুজ্জামান ওসমানী।
কর্মশালায় বাংলাদেশে বর্তমান চক্ষু চিকিৎসাসেবার অবস্থান এবং কার্যক্রম তুলে ধরেন ময়মনসিংহের ডা. কে জামান বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের সমন্বয়ক ও কর্মশালার প্রস্তুতি কমিটির সদস্য শরিফুজ্জামান পরাগ। এছাড়া ১৪টি এনজিও চক্ষু হাসপাতালের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা কর্মশালার তাৎপর্য তুলে ধরেন। এরপর আইসিও এবং সিইআইটিসি’র নতুন ক্লিনিক্যাল একাডেমিক ভবন পরিদর্শন করেন। দুপুর আড়াইটায় কর্মশালার দ্বিতীয় পর্বে প্রতিনিধিগণ সন্বিলিতভাবে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করার পাশাপাশি একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করেন। কর্মশালায় কমিউনিটি পর্যায়ে চক্ষু চিকিৎসাসেবা আরো সম্প্যসারিত করার উদ্যোগ নেন। বক্তারা বলেন, ভবিষ্যতে মানসম্পন্ন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এনজিও হাসপাতাল এবং কমিউনিটি পর্যায়ে চিকিৎসেবা পৌঁছার লক্ষ্যে একসাথে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। কর্মশালার সমাপণী বক্তব্য রাখেন চক্ষু হাসপাতালের চীফ কনসালটেন্ট ডা. নাসিমুল গণি চৌধুরী।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় শনাক্ত ৩ জন

চট্টগ্রাম মহানগরে বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। একদিনের ব্যবধানে বেড়েছে করোনা পরীক্ষাও। ২৪ ঘণ্টায় ১৩৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭৮ জনে। রোববার দুপুরে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত করোনা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, চট্টগ্রাম জেলার ১৫টি ল্যাবের ৯টিতে ১৩৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে শেভরণে ১৬টি নমুনা পরীক্ষায় ২ জন, এপিক হেলথ কেয়ারে ৪৩টি নমুনা পরীক্ষায় ১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। আক্রান্ত ৩ জনের মধ্যে ১ জন উপজেলা এবং ২ জন নগরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম জানান, করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি। নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকার মধ্য দিয়ে সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

ধর্মীয় মূল্যবোধ মানব চরিত্রকে উৎকর্ষের পূর্ণতায় অভিষিক্ত করে-ধর্ম উপদেষ্টা

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, সমাজের প্রতিটি সদস্য যদি ধর্ম চর্চা ও ধর্ম অনুশীলনে মনোযোগী হয় তাহলে অপরাধ প্রবণতা হ্রাস পাবে। এছাড়া ধর্মীয় মূল্যবোধ মানব চরিত্রকে উৎকর্ষের পূর্ণতায় অভিষিক্ত করে বলে তিনি উল্লেখ করেন। উপদেষ্টা শুক্রবার চট্টগ্রামের হাটহাজারী, রাউজান ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় ১ টি মডেল মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও ২ টি মসজিদ উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।

এ তিনটি মসজিদ নির্মাণে প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনে ইসলামিক ফাউন্ডেশন মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের অংশ হিসেবে সারা দেশে ৫৬৪ টি মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করছে। এ মসজিদগুলো সে প্রকল্পের আওতায় নির্মিত হয়েছে।
উপদেষ্টা রাউজানের মডেল মসজিদ উদ্বোধন করেন ও মসজিদে জুমার বয়ান করেন। উদ্বোধনী বয়ানে উপদেষ্টা বলেন, সরকার ১৩ কোটি টাকা ব্যয় করে এ মসজিদ নির্মাণ করে দিয়েছে। এখন মসজিদকে আবাদ রাখার দায়িত্ব এলাকাবাসীর। মসজিদভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করে সমাজের সকলকে নিয়মিত মসজিদমূখী হতে হবে।

মসজিদকে সচল রাখতে হবে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে আদায় করতে হবে। কেননা নামাজ সকলকে সকল প্রকার খারাপ কাজ থেকে মুক্ত রেখে মানুষের মধ্যে নৈতিকতাবোধ জাগ্রত করে, মূল্যবোধ সমুন্নত রাখে।
উপদেষ্টা বলেন, সরকারের সঠিক পদক্ষেপের কারনে চলতি বছর হজ্জ ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। দেশের বিমানবন্দরে কোন হাজী যেমন হয়রানির সম্মুখিন হননি তেমনি সৌদি আরবে গিয়েও কেউ বিড়ম্বনার শিকার হয়নি। কেউ হারিয়ে যায়নি বা বাংলাদেশী কোন হাজী মারা যাননি। এছাড়া এবার স্বল্পমূলে কাবার কাছাকাছি স্থানে হাজীদের জন্য ঘর ভাড়া নেওয়া হয়েছে। ফলে আমাদের খরচ কিছুটা কম হয়েছে এবং কিছু টাকা জমা রয়েছে। সকল হাজী দেশে আসা শেষ হলে জমাকৃত টাকা ফেরত দেওয়া হবে। তিনি বলেন, টাকা মেরে খাওয়ার জন্য আমরা ক্ষমতায় বসিনি।

পরে উপদেষ্টা এখানে জুমার নামাজ আদায় করেন। প্রথম দিনে মসজিদে খুতবা দেন ও জুমার নামাজে ইমামতি করেন হাটহাজারী বড় মাদ্রাসার প্রধান মুফতি মো. জসীম উদ্দিন। নামাজ শেষে বিপুল সংখ্যক মুসল্লির উপস্থিতিতে দেশ ও জাতির কল্যাণ এবং দৃষ্টিনন্দন এ মসজিদ নির্মাণ করে দেওয়ায় বর্তমান সরকারের জন্য দোয়া করা হয়। অনুষ্ঠানে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মু: আ: আউয়াল হাওলাদার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আ: ছালাম খান ও প্রকল্প পরিচালক মো: শহীদুল আলম বব্কব্য রাখেন।

তিনতলা বিশিষ্ট এ মসজিদ কমপ্লেক্সে একসাথে ১ হাজার ২০০ মানুষের নামাজের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া মুর্দা গোসল দেওয়ার জায়গা, কার পার্কিং, ইমাম মুয়াজ্জিন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, এতিমখানা, ইসলামিক বই প্রদর্শণ ও বিক্রয় কেন্দ্র, ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর অফিস, কিচেন ও ডাইনিং সুবিধা, ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, গণশিক্ষা ব্যব¯’া, হজ্জ বুকিং এর ব্যবস্থা, ইসলামিক লাইব্রেরি, ইমাম শিক্ষক ও মুয়াজ্জিন এর থাকার কক্ষ, গেস্ট রুম ও কনফারেন্স রুম, অটিজম কর্ণার প্রভৃতি সুবিধা রয়েছে। এছাড়া এখানে মহিলাদের জন্য পৃথক নামাজের সুবিধাও রাখা হয়েছে।

সকালে উপদেষ্টা হাটহাজারী পৌরসভা এলাকার ফটিকা কডিয়ার দীঘির পাড় এলাকায় হাটহাজারী উপজেলার মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন ও মোনাজাতে অংশ নেন। এ অনুষ্ঠানে মুনাজাত পরিচালনা করেন হাটহাজারী মাদ্রাসার শায়খুল হাদীস আল্লামা শেখ আহমদ। উপস্থিত ছিলেন হাটহাজারী মাদ্রাসার প্রধান পরিচালক মাওলানা খলিল আহমদ কাসেমী, মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফতেহপুরী, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মু: আ: আউয়াল হাওলাদার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক জনাব আ: ছালাম খান ও প্রকল্প পরিচালক মো: শহীদুল আলম প্রমূখ।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ