আজঃ বুধবার ২৬ মার্চ, ২০২৫

চট্টগ্রাম সিএমএম কোর্টে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্স অনুষ্ঠিত

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

চট্টগ্রাম চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের উদ্যোগে ৯ অক্টোবর বুধবার বিকেল ৪ ঘটিকায় আদালতের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রবিউল আলম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের মাননীয় মহানগর দায়রা জজ জনাব মো: জাকির হোসেন। আরও উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জনাব সরকার হাসান শাহরিয়ার, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম তাহমিনা আফরোজ চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম মনীষা মহাজনসহ চট্টগ্রাম সিএমএম কোর্টে কর্মরত বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ।উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি জনাব মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক জনাব আশরাফ হোসেন চৌধুরী রাজ্জাক।

কনফারেন্সে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসন, পিবিআই, সিআইডি, ডিবি, ট্যুরিস্ট পুলিশ, শিল্পাঞ্চল পুলিশ, র‍্যাব, কারা প্রশাসন, স্বাস্থ্য ও ফরেনসিক মেডিসিন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও সমাজ সেবা অধিদপ্তরের প্রতিনিধিবৃন্দ।কনফারেন্সের শুরুতে জুলাই বিপ্লবের শহিদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। বিজ্ঞ চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রবিউল আলম স্বাগত বক্তব্য রাখেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে মামলার তদন্ত ও বিচারকাজে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাসমূহ তুলে ধরেন, সমাধান নিয়ে দিক-নির্দেশনা দেন এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সবাইকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান।

চটগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জনাব আশরাফ হোসেন চৌধুরী রাজ্জাক তাঁর বক্তব্যে বলেন যে, মেডিকেল সনদ সময় মতো না আসায় নিরপরাধ ব্যক্তিরা হয়রানির শিকার হন এবং ন্যায়বিচার ব্যাহত হয়। তাই তিনি মেডিকেল সনদ সংক্রান্ত সমস্যা নিরসনের জোরালো দাবী জানান।

চট্টগ্রামের বিজ্ঞ মহানগর দায়রা জজ মোঃ জাকির হোসেন প্রধান অতিথির বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে, পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিচারকাজে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা দূর করে বিচারের পথ মসৃণ করা আমাদের মিশন। তিনি প্রতিদিনের সমস্যা প্রতিদিনই সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করে এ ক্ষেত্রে সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টার সম্মিলন ঘটানোর আহবান জানান। তিনি আদালতে সাক্ষী উপস্থাপনে পুলিশকে তৎপর হওয়ার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি, মামলার তদন্তে ডিজিটাল সাক্ষ্য সংগ্রহের জন্য তদন্তকারী সংস্থার প্রতিনিধিদের তাগিদ দেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

শিশু ধর্ষণের চেষ্টা,বোয়ালখালীতে বৃদ্ধ আটক।

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে তৃতীয় শ্রেণি পড়ুয়া এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে দিদারুল আলম (৫০) নামের এক বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২১ মার্চ) রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। দিদারুল আলম বোয়ালখালী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চরখিদিরপুর গ্রামের নবাব আলী সওদাগর বাড়ির মৃত গোলাম নবীর ছেলে। শিশুর মা জানান, শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে বাড়ির পাশে জমি থেকে মেয়েকে লতাপাতা আনার জন্য পাঠিয়ে ছিলাম। সে লতাপাতা না চেনায়

ওইখানে থাকা এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করে। সে লতাপাতা দেখিয়ে দেওয়ার ভ্যান করে একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় এবং জোর করে জামা কাপড় খুলে ফেলে। এসময় ওই লোক হাত-পা বাঁধতে চাইলে মেয়ে ভয়ে চিৎকার দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি চলে আসে এবং সমস্ত ঘটনা খুলে বলে। তিনি বলেন, আমার মেয়েটি অসুস্থ। গত মাসে তাকে ক্লিনিকে ভর্তি করাতে হয়েছিল। ওই লোকটি আমার মেয়েকে মেরে ফেলতো। আমি এ ঘটনার বিচার চাই। বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম সরোয়ার

বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্ত দিদারুল আলমকে শনাক্ত করা হয়। এরপর স্থানীয়দের সহযোগিতায় রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, এ ব্যাপারে শিশুটির পিতা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। আসামি প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদে অপরাধ স্বীকার করেছে। তাকে আজ শনিবার (২২ মার্চ) আদালতে পাঠানো হয়েছে।

রাজশাহীর বেলপুকুরে ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেফতার।

রাজশাহীর বাঘায় দায়ের করা ধর্ষন মামলার একটিতে তুষার হোসেন (২২) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৫। তুষার হোসেন উপজেলার হাবাসপুর গ্রামের মুক্তার হোসেনের ছেলে। বেলপুকুর এলাকা তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পালিয়ে বেড়াচ্ছে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলার আসামী জয় হোসেন(১৮)। সে বাঘা পৌরসভার চকছাতারি গ্রামের হানিফ মিস্ত্রির ছেলে।

জানা যায়,গত বুধবার (১৯ মার্চ’২৫) দুপুরে চকছাতারি গ্রামের জয় হোসেন নিজ গ্রামের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীকে টাকার লোভ দেখিয়ে তার বাবার নির্মাণাধীন ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় শিক্ষার্থীর মা তার নির্মাণাধীন অসমাপ্ত বাড়িতে যাওয়ার পর জয় হোসেন পালিয়ে যায়।

ওইদিন রাতে জয় হোসেনকে আসামী করে বাঘা থানায় মামলা দায়ের করেন শিক্ষীর্থীর মা নার্গিস বেগম। পুলিশ শিক্ষার্থীর শারিরিক পরীক্ষাসহ চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-ষ্টপ ক্রাইসিস সেন্টার-এ (ওসিসি) ভর্তি করে। বর্তমানে আইইিউতে ভর্তির কথা জানিয়েছেন শিক্ষার্থীর পিতা মাজেদুল ইসলাম। তার মা সেখানে রয়েছেন।

সরেজমিন শিক্ষার্থীর বাড়িতে গিয়ে তার নানিকে পাওয়া যায়। খবর পেয়ে বাড়িতে আসেন শিক্ষার্থীর পিতা। তিনি জানান, বর্তমানে বসবাস করা জায়গাটি তার নিজস্ব নয়। খুব কষ্ট করে গ্রামেই ১কাঠা জমি কিনে সবেমাত্র থাকার জন্য ঘর শুরু করেছেন। ফাঁকা সেই ঘরে নিয়ে গিয়ে তার শিশু কণ্যাকে ধর্ষণ করেছে। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, কিছুটা ফাঁকা জায়গায় করা ঘরটির উপরে টিন সেট, চারিদিকে টিনের বেড়া। এখানো দরজা লাগানো হয়নি। ঘরের ভেতরে মেঝে করার জন্য মাটি ফেলে রাখা হয়েছে। চারিদিকে ফাঁকা।
কিছুটা দুরে ধর্ষণ মামলার আসামী জয় হোসেনের আধাপাঁকা বাড়ি। সেখানে গিয়ে দেখা যায় ভেতর থেকে গেট লাগানো। জয়ের দাদি ফরিদা জানালেন,মামলার পর থেকে জয় হোসেন বাড়িতে থাকছেনা। একদিন আগে তার মা বাবাও কোথাও যেন গিয়েছে।

এদিকে, গৃহবধুকে ধর্ষনের অভিযোগে আরেকটি মামলা হয়েছে। গৃহবধু বাদি হয়ে ঘটনার দুইদিন পর গত রোববার(১৬ মার্চ’২৫) হাবাসপুর গ্রামের তুষার হোসেনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছেন। এ মামলায় তুষার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গৃহবধুর স্বামী সুজন আলী জানান, কাজের সুবাদে নিজ জেলার বাইরে শরিয়তপুর ছিলেন। তার মা ছাগল নিয়ে মাঠে ছিলেন। বাড়িতে একা ছিল তার স্ত্রী। এই সুযোগে বাড়িতে প্রবেশ করে ভয় ভীতি দেখায়ে ধর্ষণ করে গ্রামের প্রতিবেশি তুষার হোসেন। শুক্রবার (১৪ মার্চ’২৫) ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরে স্ত্রীর কাছ থেকে বিষয়টি জেনেছেন। বর্তমানে তার স্ত্রী বাবার বাড়ি রুপপুর-হরিরামপুর আছে। ৯ মাস আগে বিয়ে করেছেন বলে জানান সুজন আলী।

বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আ.ফ.ম আছাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলায় পলাতক আসামী জয় হোসেনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ