লাখো মানুষের পদচারণায় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে দেশের সর্ববৃহৎ প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুর ২টা থেকে সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টের উন্মুক্ত মঞ্চে বিজয়া সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।দুপুরের পরপরই প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার লাখো মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়। যেখানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কয়েক লাখ মানুষের সমাগম হয়েছে।
এ সময় কক্সবাজার জেলা ও আশপাশের এলাকার অর্ধশতাধিক মণ্ডপ থেকে ট্রাকে যোগে আসতে শুরু করে প্রতিমা। একই সঙ্গে পর্যটক ও পূজারী এবং স্থানীয় দর্শনার্থীরা আসতে থাকে। বিকেল সাড়ে তিন টার আগে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত হয়ে উঠে জনস্রোতের স্থান। সেই জনস্রোত মিশে যায় সৈকতের উত্তরের শৈবাল, কবিতাচত্বর পয়েন্ট আর উত্তরের সী গাল, সুগন্ধা থেকে কলাতলী পয়েন্ট পর্যন্ত।
প্রায় ৩ লাখ মানুষের সমাগমের মধ্যে বিকেল সাড়ে ৫ টায় সৈকতে একে একে ভাসিয়ে দেয়া হয় প্রতিমা।
কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উদয় শংকর পাল মিঠু বলেন, সৈকতে তিন লাখেরও বেশি মানুষের সমাগমের মধ্যে দেশের সর্ববৃহৎ প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শেষ হয়েছে। যেখানে ৩৪০ টিরও বেশি প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়েছে।
বিসর্জন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, পুলিশ সুপার মো. রহমত উল্লাহ, বিএনপির কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজল, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না, সাবেক পৌর মেয়র সরওয়ার কামাল, সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ভিপি শহিদুল আলম বাহাদুর, কক্সবাজার প্রেসক্লাব সভাপতি মাহবুবর রহমান প্রমুখ। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উদয় শংকর পাল মিঠু।