আজঃ মঙ্গলবার ২০ মে, ২০২৫

ইলিয়াস কাঞ্চনকে অসম্মান করায় রাজশাহীতে মানববন্ধন

মো: গোলাম কিবরিয়া রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি

ইলিয়াস কাঞ্চনকে অসম্মান করার প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন করা হয়েছে। নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের প্রেক্ষাপট, ইতিহাসকে উপেক্ষা এবং নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান জননন্দিত চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনকে অসম্মান, তার সাথে বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে নিসচা রাজশাহী জেলা শাখার আয়োজনে একটি শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট মোড়ে এই মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি এ্যাড. তৌফিক আহসান টিটুর নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্র সুচিন্তক, সমাজকর্মী, নাগরীক ভাবনার আহ্বায়ক জনাব হাবিবুর রহমান হাবিব, নিসচা রাজশাহী জেলা শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ, শাবান আলী দিলীপ, কার্যকরী সদস্য লাকী প্রমুখ।

শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, ১৯৯৩ সাল থেকে নিরাপদ সড়ক চাই এর ব্যানারে জননন্দিত চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন সড়ককে নিরাপদ রাখতে, সড়কের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে, সড়কে দুর্ঘটনা কমাতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতি বছরের ২২ অক্টোবরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস হিসেবে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয়। কিন্তু এ বছর এই দিবসটি জাতীয়ভাবে উদযাপন অনুষ্ঠানে ইলিয়াস কাঞ্চনকে রাখা হয়েছে সাধারণ অতিথির কাতারে। তাকে বিশেষ অতিথি হিসেবে সম্মানিত করা হয়নি। তার কোন বক্তব্য ও প্রস্তাবনা নেওয়া হয়নি।

এবছর নিরাপদ সড়ক চাই এর পক্ষ থেকে তার অনেক প্রস্তাবনা ছিল যা তিনি উক্ত জাতীয় অনুষ্ঠানে উপস্থান করতেন এবং দেশবাসী এতে উপকৃত হতো। কিন্তু এগুলো থেকে দেশবাসী আজ বঞ্চিত হলো। তার এবং সংগঠনের কৃতিত্বকে মূল্যায়ন করা হয় নি। এভাবে ইলিয়াস কাঞ্চনের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে এবং তাকে অসম্মানিত করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা আশঙ্কা করছি নিরাপদ সড়ক চাই এর ৩২ বছরের অর্জনকে কুক্ষিগত ও ছিনিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টা চলছে।

আমরা বর্তমান উপদেষ্টা কমিটির উপর আস্থা রাখতে চাই পরবর্তীতে যেন এর পুনরাবৃত্তি না হয়। ইলিয়াস কাঞ্চনকে এবং অরাজনৈতিক ও অলাভজনক সংগঠন নিরাপদ সড়ক চাই-কে নিরাপদ সড়ক ইস্যুতে সর্বাধিক গুরুত্বের সাথে দেখা হয়। সেই সাথে জোর দাবী রাখতে চাই ইলিয়াস কাঞ্চনের মত এমন অভিজ্ঞ একজন ব্যক্তিকে সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা করা হোক।

নিসচা রাজশাহী জেলা শাখার উপদেষ্টা সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ওয়ালিউর রহমান বাবুর সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন কার্যকরী সদস্য সবুজ আলী, রুবেল, আখি, আব্দুর রহমান, রুহান, সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ভোলা- বরিশাল সেতু দ্রুত বাস্তবায়নসহ ৮ দাবি নিয়ে মানববন্ধন

চট্টগ্রামস্থ ভোলাবাসীর সর্ব ঐক্য মানববন্ধন সোমবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। ভোলা জেলা সমিতি-চট্টগ্রাম এর সহযোগিতায় মানববনআধন থেকে ৮ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।

দাবিগুলো হলো, ভোলা-বরিশাল সেতুর কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন, চট্টগ্রামে অবস্থানরত সকল ভোলাবাসীর সুবিধার্থে ইলিশা-মতিরহাট ফেরী ঘাটের কাজ বাস্তবায়ন, ভোলার প্রত্যেক ঘরে ঘরে গ্যাস লাইন দ্বারা ভোলায় উত্তোলিত গ্যাস সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণ, নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষায় ভোলার চতুর্দিকে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ,

বিদ্যমান জরাজীর্ণ চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকারি মেডিকেল কলেজ ও উন্নতমানের হাসপাতাল স্থাপন, পর্যটন শিল্পের বিকাশে সরকারি উদ্যোগ, গ্যাস ভিত্তিক শিল্প কলকারখানা স্থাপন, চরাঞ্চলের উন্নয়নে গবেষণা ভিত্তিক উদ্যোগ।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রামস্থ ভোলাবাসির সর্ব ঐক্য মানববন্ধন বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক লায়ন আতিকুল্লাহ বাহার। যুগ্ম আহবায়ক মো: ফিরোজ চৌধুরীর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক কিরন শর্মা, সদস্যসচিব- মাহবুবুর রহমান সেলিম, যুগ্ম সচিব আলী আজগর, সদস্য (অর্থ) কাঞ্চন মাঝি,সদস্য (মিডিয়া) নুরুন্নবী শাওনসহ ৪৮ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি। মানবন্ধনে ভোলা জেলা সমিতি-চট্টগ্রাম সহ ভোলার ২৫ টি পেশাজীবী সংগঠন অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে বক্তাগণ বলেন -অন্তবর্তী সরকার ভোলা – বরিশাল সেতু আগামী জানুয়ারি ২০২৬ উদ্বোধন করার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এজন্য একনেকে ১৭ হাজার কোটি টাকা অনুমোদন দেয়ার জন্য মানব বন্ধন
থেকে সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।

জেলা ভোলায় প্রাকৃতিক গ্যাস খনি রয়েছে। এখানকার গ্যাস সম্পদ রয়েছে ব্যবহারের জন্য জনপদের মানুষ দাবিদার।

নেত্রকোনায় পাহাড় না কেটেই রাস্তায় উন্নয়ন।

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার লেংঙ্গুরা ইউনিয়নের একটি পুরোনো পাহাড়ি পথকে চলাচলযোগ্য করতে গিয়ে বন ও পরিবেশ ধ্বংসের অভিযোগ উঠলেও স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, প্রকৃতপক্ষে কোনো পাহাড় কাটা হয়নি, কাটা হয়নি গাছও। সাম্প্রতিক কালবৈশাখী ঝড়ে উপড়ে পড়া গাছগুলো সরিয়েই রাস্তাটি সংস্কারের কাজ চলছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লেংঙ্গুরা ইউনিয়নের কাঁঠালবাড়ী সুবেন ঘাঘড়ার টিলা থেকে চৈতানগর মহসিন মেম্বারের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ১ দশমিক ১২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পথ কয়েক দশক ধরে পাহাড়ি জনগোষ্ঠী এবং পর্যটকদের যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বর্ষায় কাঁদায় মাখা পিচ্ছিল এই পথে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। দীর্ঘদিনের দাবি পূরণে স্থানীয় প্রশাসন কাবিখা প্রকল্পের আওতায় রাস্তাটির সমতলকরণ ও মাটি ফেলার কাজ শুরু করেছে।

লেংঙ্গুরা ইউপি চেয়ারম্যান ও কলমাকান্দা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইদুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, “এটি বহু পুরোনো চলাচলের রাস্তা। এখানে কোনো নতুন পাহাড় কাটা হয়নি। ঝড়ে ভেঙে পড়া কিছু গাছ রাস্তা থেকে সরিয়ে সংস্কারকাজ চলছে। এলাকাবাসীর বহুদিনের চাওয়া ছিল এই পথটি উন্নয়ন করার—এখন সেটিই বাস্তবায়ন হচ্ছে।”

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পাহাড়ের গা ঘেঁষা পুরোনো এই পথে মাটি ফেলে সমান করা হয়েছে। আশপাশে পাহাড় কাটা বা গাছ কাটার কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি। স্থানীয় বাসিন্দারাও জানিয়েছেন, এটি পুরোনো পথ, নতুন করে কিছুই ধ্বংস করা হয়নি।

এই পথে হেঁটে যাচ্ছিলেন নব্বই বছরের ক্ষুদ্র নৃ-জাতিগোষ্ঠীর সদস্য সুবেন মানখিন। তিনি বলেন, “আমি ছোটবেলা থেকে এই রাস্তা দিয়ে বাবা-দাদার সঙ্গে চলাফেরা করেছি। অনেক কষ্ট করে চলতে হতো। এখন রাস্তা সংস্কার হওয়ায় আমরা খুব খুশি।”

স্থানীয়রা—তপন সাংমা, চুহিন হাজং, জুই ঘ্রা, পীযূষ বণিক ও রফিকুল ইসলাম—সবাই বলেন, “এটি পুরোনো রাস্তা, নতুন করে কিছুই কাটা হয়নি। বরং আমাদের চলাচলের সুবিধার জন্য যেই পথে আমরা আগে চলতাম, সেটাই উন্নয়ন করা হচ্ছে। এজন্য আমরা উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।” একইসঙ্গে তারা রাস্তা পাকাকরণের দাবি জানান সরকারের কাছে।

এ বিষয়ে লেংঙ্গুরা বনবিভাগের বিট অফিসে কর্মরত বনরক্ষী আখতারুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাইযুল ওয়াসীমা নাহাত বলেন, “এই রাস্তা পাহাড়ি জনগোষ্ঠী ও পর্যটকদের যাতায়াতের একমাত্র পথ। পুরোনো রাস্তাটিকে কাবিখা প্রকল্পের আওতায় সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন করে কোনো পাহাড় কাটা হয়নি।”

স্থানীয়দের অভিমত, উন্নয়ন প্রকল্পে পরিবেশ সংরক্ষণ ও জনগণের স্বার্থ—উভয়কেই সমান গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এই প্রকল্পে সেই ভারসাম্য বজায় রেখেই কাজ হচ্ছে বলে তারা মত দিয়েছেন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ