অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমাকে নিয়ে অসন্তোষ বিরাজ করছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সহ পার্বত্য বান্দরবান জেলার বিভিন্ন সংগঠন তার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে আসছে।
এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার পদত্যাগ এবং দুই সহযোগী কাকন চাকমা ও এপিএস শুভাশিষ চাকমাকে চাকরি থেকে স্থায়ী বহিষ্কার, দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা এবং আওয়ামী দোসরদের পূনর্বাসনের প্রতিবাদে নাইক্ষ্যংছড়িতে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার ব্যানারে বাইশারী বাজারে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, সুপ্রদীপ চাকমা একজন বিতর্কিত ব্যক্তি। তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের একজন সুবিধাপুষ্ট আমলা। তিনি উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। অথচ তাকেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারেরই উপদেষ্টা বানানো হলো। তিনি বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে অশান্তি ও বৈষম্য সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। তার বিরুদ্ধে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীও আন্দোলন করছে। তার বিরুদ্ধে তিন পার্বত্য জেলায় বিক্ষোভ চলছে।তিনি ক্ষমতায় থাকলে পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হবে। বঞ্চিত হবে অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষ। পার্বত্য চট্টগ্রামের সম্প্রীতি বজায় রাখতে দ্রুত সুপ্রদীপ চাকমার পদত্যাগ দাবি করেন বক্তারা।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অন্যতম সুবিধাভোগী ও সহযোগী হিসেবে পরিচিত সুপ্রদীপ চাকমাকে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ নিয়ে শুরুতে বিতর্ক উঠেছিল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টার তালিকায় নাম আসার পর থেকে সুপ্রদীপ চাকমার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ১১ আগস্ট পাহাড়িদের একটি অংশের বিরোধিতার মধ্যে উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন সুপ্রদীপ চাকমা।