আজঃ শুক্রবার ১৪ মার্চ, ২০২৫

অবশেষে সিআইডিতে হস্তান্তর চাঞ্চল্যকর কলেজছাত্র জয়দীপ হত্যা মামলা।

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

চান্চল্যকর ২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীতে এনে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় মিরসরাই কলেজের ছাত্র কক্সবাজারের জয়দীপ দাসকে।
জানা যায়, ২৯ নভেম্বর সোমবার বিকাল থেকেই ০১৭৯৮১৯৭৬২৫/ ০১৭৯৪ ৩৭৩৬২৩ নাম্বার থেকে উসান ও উৎস নামে দুইভাই নিহত জয়দীপকে বার-বার ফোন করে জানায় এলাকার অপু দাসের ভাইয়ের বিয়েতে যেতে হবে, জয়দীপকে বিনা দাওয়াতে অনেকটা জোর করে কক্সবাজার থেকে বরযাত্রী হিসেবে পটিয়া এইচকে কনভেনশন হলে নিয়ে আসে বন্ধু অনিরুদ্ধ বড়ুয়া উসান।
পরিকল্পনা মাফিক ঐ বিয়েতে মোটরসাইকেল নিয়ে যোগ দেয় উসানের পূর্বপরিচিত চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়ার ত্রাস শহিদুল ইসলাম ওরফে সাজ্জাদ পিতা শাহআলম মাতা রেহেনা বেগম, সাং গন্ডামারা বাশখালী চট্টগ্রাম সহ অজ্ঞাত আরও ২ জন।

পরবর্তীতে ঐ ২ জনকে রেখে রাত ১ টার পরে মাঝখানে জয়দীপ ও পেছনে উসান বড়ুয়াকে নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর উদ্দেশ্য রওনা দেয় শহিদুল ইসলাম ওরফে সাজ্জাদ , রাত দেড়টায় নগরীর কোতোয়ালি থানা এলাকায় জয়দীপকে মোটরসাইকেলের মাঝখানে বসানোর একটি ভিডিও ধারন করে পেছনে বসা আসামি উসান বড়ুয়া নিজে, ভিডিও ধারনের পরপরই বন্ধ করা হয় তাদের ব্যবহৃত মোবাইল।
রাত ৩ টা ১৩ মিনিটে জয়দীপের মোবাইলে ০১৫১৬৩৪০৪৬৮ নাম্বার থেকে অমিত নামক উসানের আরেক বন্ধু কল দিয়ে জয়দীপের মৃত্য নিশ্চিত হওয়ার পরে রাত সাড়ে ৪ টায় বিভিন্ন স্বজনদের মাধ্যমে জয়দীপের পরিবারকে জানানো হয় সড়ক দুর্ঘটনায় জয়দীপ মারা গেছে লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেলে আছে।

এদিকে চট্টগ্রাম মেডিকেলের জরুরি বিভাগের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় সড়ক দুর্ঘটনার কথা বলা হলেও সম্পুর্ন অক্ষত রয়েছে তাদের বহনকারী মোটরসাইকেল, এবং ড্রাইভ করা শহিদুল ইসলাম ও পেছনে বসা উসান বড়ুয়া, অক্ষত রয়েছে সবার পরিধেয় পোষাকাদী।
জনমনে প্রশ্ন থেকে যায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মাঝখানের জন মারা গেলে সামনে আর পেছনের জন কি করে এত নিখুঁতভাবে অক্ষত তাকে।
এ ঘটনায় জয়দীপের মা জয়শ্রী পাল বাদী হয়ে ২০২২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারী আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, মামলার ১ আসামি শহিদুল গ্রেফতার হলে ৩ দিনের রিমান্ড দেয় আদালত, এরই মাঝে আসামির ১ বছরের জামিন হওয়ায় হতাশ নিহতের পরিবার, বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে বর্তমানে মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করেন আদালত।
তিনি আরও জানান ২ নং আসামির পিতা কক্সবাজারের প্রভাবশালী আ.লীগ নেতা হওয়ায় বিগত সরকারের আমলে ক্ষমতার প্রভাব কাটিয়ে মামলাকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার অপচেষ্টা করেছেন।
আমি একজন অসহায় স্কুল শিক্ষিকা আমি রাষ্ট্রের কাছে আমার একমাত্র ছেলে হত্যার বিচার চাই।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

নেত্রকোনায় স্কুল ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে আটক – ২

মোঃ নুর উদ্দিন মন্ডল দুলাল নেত্রকোণা।

নেত্রকোণার খালিয়াজুরীতে স্কুল ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ২ জনকে আটক করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন খালিয়াজুরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মকবুল হোসেন।

প্রতিদিনের মত গত ৮ মার্চ ( শনিবার) সকালে স্কুল ছাত্রী প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে খালিয়াজুরীতে অটো যোগে আসার পথে ঐ স্কুল ছাত্রীকে দুই বগাটে স্পর্শকাতর স্থানে একাধিকবার আঘাত করায় মেয়েটি চলতি অটো থেকে লাফিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হয়। মেয়েটি খালিয়াজুরী সিদ্দিকুর রহমান বালিকা বিদ্যা নিকেতনের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। পরে স্থানীয় লোকজন ও অভিভাবক মেয়েটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মেয়েটিকে উন্নত চিকিৎসার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। মেয়েটি এখনও মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানান পরিবারের লোকজন।

মেয়েটির বাবা গতকাল ১১ মার্চ( মঙ্গলবার) স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে রাত দুইটায় তাদেরকে আটক করে খালিয়াজুরী থানা পুলিশ।

আটককৃত ব্যক্তিরা হল- খালিয়াজুরী সদরের কুঁড়ি হাটি এলাকার মৃত হাবিব মিয়ার ছেলে মোঃ মিজান মিয়া(৩০), ও লক্ষ্মীপুর গ্রামের বকুল মিয়ার ছেলে নাজমুল (২৮)।

এ বিষয়ে ওসি মোঃ মকবুল হোসেন বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তিনি বলেন শ্লীলতাহানি হউক বা ধর্ষন হউক কোন ছাড় নেই। তাদেরকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সালের ১০ ধারায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান।

চট্টগ্রামে বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন,গ্রেফতার-১

চট্টগ্রাম মহানগরে পরকীয়া সন্দেহের জেরে এক বন্ধুর হাতে আরেক বন্ধু খুনের ঘটনা ঘটেছে। ইপিজেড থানার দক্ষিণ হালিশহর এলাকায় এ ঘটনায় জড়িত মো. সিজান (২৫) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক মো. সিজান (২৫) ইপিজেড থানার সিমেন্ট ক্রসিং এলাকার রানী ভবনের গলির টেন্ডলের বাড়ির মৃত আলমগীরের ছেলে। তিনি হোটেলে কারিগর হিসেবে কাজ করলেও সম্প্রতি বেকার ছিলেন। এছাড়া উদ্ধার করা হয়েছে হত্যার কাজে ব্যবহৃত একটি ছুরি। তবে খুনের পরিকল্পনাকারী সাইমন নামে একজন এখনো পলাতক আছে। মঙ্গলবার রাতে নগরের ইপিজেড থানার দক্ষিণ হালিশহর এলাকার সিডিএ বালুর মাঠে এ খুুনের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা তিনজনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ভিকটিম এবং আসামিরা একে অপরের বন্ধু। তাদের কারোরই নির্দিষ্ট কোনো পেশা ছিল না। নিহতের নাম মোহাম্মদ আইয়ুব নবী প্রকাশ সাগর (২৬)। তিনি একই থানাধীন আকমল আলী সড়কে ভাড়া বাসায় স্ত্রীসহ বসবাস করতেন। তার বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পুঁইছড়ি গ্রামে।

পুলিশ জানায়, সাইমনের স্ত্রীর সাথে সাগরের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক আছে—দীর্ঘদিন ধরে এমন সন্দেহ করতেন তিনি। এই সন্দেহের বশবর্তী হয়ে সাগরকে খুনের পরিকল্পনা করে সম্প্রতি। পরিকল্পনা মোতাবেক সাগরকে সিডিএ বালুর মাঠ এলাকায় নিয়ে ছুরিকাঘাত করেন আটক সিজানসহ কয়েকজন। পরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

নগর পুলিশের বন্দর জোনের সহকারী কমিশনার মাহমুদুল হাসান বলেন, এই হত্যাকাণ্ড সম্পূর্ণ ক্লুলেস ছিল। স্থানীয়দের খবর আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি ভিকটিমকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সোর্স কাজে লাগিয়ে আমরা ভিকটিমের স্ত্রীর কাছে যাই এবং তার পরিচয় নিশ্চিত হই। ঘটনার তিন ঘণ্টার মধ্যেই আমরা সিজানকে আটক করি। ভিকটিমের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চারটি ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। আমরা ছুরিটি জব্দ করেছি’

তিনি বলেন, সিজানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি সাইমনের স্ত্রীর সঙ্গে ভিকটিম সাগরের পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে—এমন সন্দেহের জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে। ভিকটিমের স্ত্রীকেও আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তবে তিনি দাবি করেছেন, তার স্বামী পরকীয়ায় জড়িত নন। তবুও এটি আমরা তদন্ত করে দেখবো।

এক প্রশ্নের জবাবে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ভিকটিম এবং আসামি—কারোই নির্দিষ্ট পেশা ছিল না। এরা নেশার সাথেও জড়িত এবং এলাকায় আড্ডা দিতো ঘুরে ঘুরে। তবে তাদের সবার স্ত্রী পোশাক কারখানায় কাজ করে। সেই রোজগারেই তাদের সংসার চলতো।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ