তথ্য-প্রযুক্তি খাতে ১৪ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছে রাজশাহীর হাইটেক পার্ক। সঠিক পরিকল্পনা ও প্রচারের অভাবে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের টানতে পারেনি। কর্তৃপক্ষ বলছে, এ মাসেই কাজ শুরু করতে না পারলে সব প্রতিষ্ঠানের জায়গা বরাদ্দ বাতিল হবে। সুযোগ পাবে নতুন প্রতিষ্ঠান।
রাজশাহীতে পদ্মা নদীর তীরে ৩১ একর জায়গায় ৩৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় হাইটেক পার্ক। ২০টি প্রতিষ্ঠানের জায়গায় চালু হয় ১৩টি। তার মধ্যে বর্তমানে কাজ চলছে মাত্র পাঁচটিতে। নতুন করে কাজ শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে তিনটি।
দেশে প্রযুক্তিতে দক্ষ বহু তরুণ থাকলেও সাবেক আওয়ামী লীগ সরকার পর্যাপ্ত বিনিয়োগ আকর্ষণে ব্যর্থ হয়েছে। এ কারণে ১৪ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা নিয়ে যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে কর্মরত মাত্র চার শ জন।
বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ রহমান বলেন, ফ্রিল্যান্সার বা টিম ওনারদের এখানে ভিজিট করানো, অফিস স্পেস দেখানো প্লাস সুযোগ সুবিধার কথা জানানো। এতে নেটওয়ার্কিংয়ের পরিবেশ তৈরির সম্ভাবনা আছে।
এবার নতুন বিনিয়োগকারীদের টানতে চাইছে কর্তৃপক্ষ। যেসব প্রতিষ্ঠান সক্ষমতা দেখাতে ব্যর্থ, তাদের বরাদ্দ বাতিলের পরিকল্পনা তাদের।
হাইটেক পার্কের ডেপুটি ডিরেক্টর মাহফুজুল কবির বলেন, নভেম্বরের মধ্যে কাজ শুরু করলে থাকতে পারবে। না হলে তাদের বরাদ্দ বাতিল করে নতুন বিনিয়োগকারীকে সুযোগ দেওয়া হবে।
গেল আগস্টে সরকার পতনের পর লুটপাটে, হাইটেক পার্কে ক্ষয়ক্ষতি ৩২ কোটি টাকা। দেখা দেয় নিরাপত্তা শঙ্কাও। তবে অবকাঠামো সংস্কার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ চলছে।এটিসি টেক লিমিটেডের হেড অফ সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং শামীম রেজা বলেন, ‘১০ আগস্ট উদ্বোধনের কথা ছিল। অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে সব লুট হয়ে গেছে। তার পরে আমরা ২৩ আগস্ট ছোট পরিসরে শুরু করেছি।’
হাইটেক পার্কের দুটি অংশে রয়েছে সিলিকন টাওয়ার ও আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার। সঠিক প্রচারে এটি হয়ে উঠতে পারে প্রযুক্তির বড় অংশ।