আজঃ শুক্রবার ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

গাজীপুরে যুবলীগ নেতার ভয়ে ঘরছাড়া অসহায় ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন

গাজীপুর প্রতিনিধি:

গাজীপুরে আওয়ামী যুবলীগ নেতা আবুল কাশেম(৪০) এর ভয়ে বিগত এক সপ্তাহ যাবৎ ঘরছাড়া অসহায় কসমেটিক্স ব্যবসায়ী মোঃ এন্তাজ আলী ও তার পরিবার। প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন।
ভুক্তভোগী মোঃ এন্তাজ আলী সিরাজগঞ্জ উল্লাপাড়া কয়রা বাজার মৃত আব্দুল খালেক এর ছেলে। বর্তমানে সে গাজীপুর মহানগরীর সদর মেট্রো থানা লক্ষ্মীপুরা এলাকার রোকন এর ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে বসবাস করছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকালে স্থানীয় একটি পত্রিকার অফিসে এসে সাংবাদিকদের উদ্দেশে নিজের অসহায়ত্ব তুলে ধরে ভোক্তভোগী মোঃ এন্তাজ আলী বলেন, গাজীপুর মহানগরির ২৭নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা আবুল কাশেমের মেয়ের সাথে আমার ছেলের আমাদের অগোচরে প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ক ঘরে তুলে। একসময় তারা দুজনে ভালোবাসার টানে পরিবার কাউকে কিছু না জানিয়ে অজ্ঞাত স্থানে পালিয়ে যায়।
তারই ধারাবাহিকতায় যুবলীগ নেতা আবুল কাশেম ও তার সহযোগীরা আমাকে ধরে আমার চোখ বেঁধে বেধড়ক মারধর করে থাকে, এসময় আমার ছোট মেয়ে মিম আক্তার(১৬)এগিয়ে আসলে তাকেও আবুল কাশেম জনসমক্ষে বেধড়ক মারপিট করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। তারপর আবুল কাশেম ও তার সহযোগীরা আমাকে হাত-পা ও চোখ বেঁধে একটি অটোরিকশা তুলে ধান গবেষণার নির্জন কবরস্থানে নিয়ে আবারও অমানবিক ভাবে আমাকে মারধর করতে থাকে। একপর্যায়ে তারা ৪(চার)টি সাদা কাগজে জোরপূর্বক আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিক স্বাক্ষর নেয়। পরবর্তিতে জিএমপি সদর মেট্রোথানা পুলিশে সহযোগিতায় আমি গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় অবস্থায় মারধরের বিষয় নিয়ে আমি যাতে কোন রকম বাড়াবাড়ি না করি এই মর্মে যুবলীগ নেতা আবুল কাশেম হাসপাতালে এসে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি ধামকি দিয়ে যায় এবং সে আমার ভাড়া বাসা ও দোকানে তালাবদ্ধ করে রাখে।
এমতাবস্থায় আবুল কাশেমের ভয়ে আমি হাসপাতাল থেকে এই এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যাই, সেখানেও গিয়ে আবুল কাশেম ও তার সহযোগীরা পুনরায় আমাকে প্রাণনাশের হুমকি ধামকি দিতে থাকে। আমি ও আমার পরিবার বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছি। আমি প্রশাসনের নিকট ন্যায়বিচার চাই। এ ঘটনায় ভোক্তভোগী মোঃ এন্তাজ আলীর স্ত্রী মোসাঃ মাফিয়া (৪২) বাদী হয়ে জিএমপি সদর মেট্রোথানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত আবুল কাশেম গাজীপুর মহানগরীর ২৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন।
এ বিষয়ে জিএমপি সদর-মেট্রো থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আরিফুর রহমান বলেন, এ বিষয়টি প্রেম ভালোবাসা নিয়ে। থানায় আমরা একটি অভিযোগ পাই। পরবর্তিতে উভয়পক্ষ অভিযোগ করছে, তারা আমার কাছে আসছিল, তারা বলছে যে আমরা ছেলে মেয়েকে খুঁজতেছি। খুঁজে একটা সেটেলমেন্টে যাব। তিনি আরও বলেন, তারা যদি এ বিষয়ে মামলা করতে চায় আমরা মামলা নিবো এবং সম্পূর্ণ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

নারীদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে পাবলিক প্লেসে শৌচাগার নিশ্চিত করতে হবে: মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন,নারীদের সুস্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাবলিক প্লেসে পর্যাপ্ত ও পরিচ্ছন্ন শৌচাগারের ব্যবস্থা করা জরুরি। তিনি বলেন,আমাদের শহরগুলোতে নারীদের জন্য নিরাপদ ও স্বা¯’্যসম্মত পাবলিক টয়লেটের অভাব রয়েছে, যা তাদের দৈনন্দিন জীবনে ভোগান্তির অন্যতম কারণ।

পথচারী ও নাগরিকদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে স্যানিটেশান ব্যবস্থার বর্তমান চ্যালেঞ্জ সমুহ এবং যথাশীঘ্র করণীয় বিষয়ে মত বিনিময় সভা এবং “চলতি পথে টয়লেট হোক শান্তির জায়গা” ক্যাস্পইনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র ডা. শাহাদাত এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, নারীদের স্বাস্থ্য ও সম্মান রক্ষায় শহরের পার্ক, বাজার, বাসস্ট্যান্ড, ট্রেন স্টেশনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আধুনিক ও পরিচ্ছন্ন পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা অত্যন্ত জরুরি। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনাসহ অন্যান্য বড় শহরগুলোতেও নারীদের জন্য নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেটের সংকট প্রকট। নারীরা কর্মজীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন

করছেন। তাদের যাতায়াত ও জনসমাগমস্থলে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেটের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা দরকার।
“টয়লেট সুবিধার অভাবে নারীরা নানা ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগতে পারেন। দীর্ঘ সময় টয়লেট ব্যবহার না করলে মূত্রাশয়ে সংক্রমণ, কিডনি সমস্যা ও অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দিতে পারে। এছাড়া, স্কুল-কলেজের ছাত্রীদেরও একই সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়, যা তাদের শিক্ষা কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে। নারীরা অনেক সময় সঠিক টয়লেট সুবিধার অভাবে পানি পান কমিয়ে দেন, যা ডিহাইড্রেশনসহ নানা জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
এছাড়া, পর্যাপ্ত ও পরিচ্ছন্ন টয়লেট না থাকায় তারা রাস্তার পাশে বা অনিরাপদ স্থানে যেতে বাধ্য হন, যা তাদের জন্য নিরাপত্তার ঝুঁকি তৈরি করে। সী-বিচ এলাকায় ইতোমধ্যে পাবলিক টয়লেট স্থাপন করা হয়েছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে শহরের বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় আরও আধুনিক ও নারীবান্ধব পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা হবে। শহরের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা টয়লেট নিশ্চিত করতে আমরা পরিকল্পনা গ্রহণ করছি। পাশাপাশি, এসব টয়লেট পরিচ্ছন্ন রাখা ও সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করাও আমাদের অগ্রাধিকার।

অনুষ্ঠানে ওয়াটারএইডের প্রকল্প সমন্বয়ক কে,এ, আমিন পাবলিক টয়লেটের উপর সার্বিক কার্যক্রম উপস্থাপন করে বলেন, ওয়াটারএইডের অর্থায়নে বর্তমানে ৫৪টি পাবলিক টয়লেট সারা বাংলাদেশে আছে । আমরা পাবলিক টয়লেট শব্দটি টি আস্তে আস্তে ব্যান্ডিং করছি যার নাম হবে পথের দাবী টয়লেট। আধৃুনিক ও দৃষ্টিনন্দন

প্রতিবন্ধীবান্ধব এই পাবলিক টয়লেটে রয়েছে নারী ও পুরুষদের জন্য আলাদা চেম্বার, হাত ধোওয়ার ব্যবস্থা, বিশুদ্ধ খাবার পানি, সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ, স্যানিটারি ন্যাপকিন, লকার,মাতৃদুগ্ধ কর্নার, নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরাসহ পেশাদার পরি”ছন্নকর্মী ও মহিলা তত্ত্বাবধায়কের ব্যবস্থা।

উল্লেখ্য যে, ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ওয়াটারএইড ও দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের (ডিএসকে) সহযোগিতায় এবং অর্থায়নে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সহ মোট ৭টি পাবলিক টয়লেট চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাথে এবং ১টি পাবলিক টয়লেট চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাথে উদ্বোধন করা হয়েছিল।সকল ধরনের প্রতিষ্ঠানের সহযোগীতায় আমরা কাজ করে যেতে চাই আগামীতে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা সরোয়ার কামাল, বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মঈনুল হোসেন আলী জয় ,চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সিনিয়র আর্কিটেক্ট, থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, ডিএসকের ওয়াশ ডিরেক্টর এম এ হাকিম। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন স্কুল শিক্ষক,

ছাত্র,ছাত্রী, সহ বিভিন্ন সরকারী,বেসরকারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।অনুষ্ঠানে যৌথভাবে উপস্থাপনা করেন ওয়াটারএইড বাংলাদেশের পলিসি এ্যাডভোকেসী এক্সপার্ট নুররুন নাহার ও আরেফাতুল জান্নাত প্রকল্প ব্যবস্থাপক দু:স্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকের)।

কক্সবাজার সরকারি কলেজ অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি ছাত্রদলের।

কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো: সোলাইমান এর পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন কলেজ ছাত্রদলের সাবেক ও বর্তমান ছাত্রনেতা’রা।

কক্সবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক ও বর্তমান ছাত্রনেতা’রা।

সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, গত ২৩ জানুয়ারী বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে যেমন খুশি তেমন সাজো প্রতিযোগিতায় ব্যঙ্গাত্মক প্রকাশ করায় জড়িত থাকার অভিযোগে কলেজের অধ্যক্ষ সোলাইমান এর পদত্যাগ এবং প্রতিযোগিতা কমিটির আহবায়ক আজিজুল মোস্তফা ভুলু, সদস্য সচিব মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন ফারুকী, বিচারক কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ উদ্দিন, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুফিদুল আলম ও প্রতিযোগী সাদিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।

ইতোমধ্যে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অবগত হয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া সেই প্রতিযোগীতার ভিডিও পর্যালোচনায় দেখা যায়, উক্ত প্রতিযোগী সাদিয়া সুলতানা সৌরভী নিজেকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া পরিচয় দিয়ে উপস্থিত সকলকে নিজের স্বামী বলে আখ্যায়িত করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মারাত্বকভাবে অপমানিত করেছেন। এছাড়া উক্ত প্রতিযোগীতায় অভিনয়ে এদেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এ দেশের মানুষকে বাঁশ দিয়েছিলেন উল্লেখ করে চরমভাবে অপমানিত করেছেন।
এছাড়া আগামীতে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে খালেদা জিয়া এদেশের প্রত্যেক মানুষকে ১টি নয় ২টি নয় ৩টি করে বাঁশ দেবেন বলে অভিনয়ের মাধ্যমে এদেশের ১৮ কোটি মানুষের প্রাণপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জঘন্যভাবে উপস্থাপন করে তাঁর সম্মানহানি

করেছেন। এছাড়াও তিনি তার অভিনয়ে আগামীতে ক্ষমতায় আসলে কক্সবাজার সরকারি কলেজের ২টি পুকুর ভরাট করে সাংস্কৃতিক আয়োজন করার কথা বলে বেআইনী কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করে এদেশের গণমানুষের আস্থার ঠিকানা জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে চরমভাবে অপমানিত করেছেন।

উক্ত ঘটনায় যখন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কক্সবাজার সরকারি কলেজে বর্তমান ও সাবেক নেতৃবৃন্দ অপমানিত ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন তখন কক্সবাজার সরকারি কলেজের বর্তমানে ও সাবেক নেতৃবৃন্দ তার প্রতিবাদ জানানোর জন্য গত ২৬ শে জানুয়ারী/২৫ কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের কর্মসূচী ঘোষণা করেন। সেই দিন ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ কলেজ ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচী পালনের জন্য গেলে ফ্যাসিষ্ট সরকারের আমলে নিয়োগকৃত অধ্যক্ষ সোলায়মান পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শত শত অছাত্র, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের কলেজের ভুয়া আইডি কার্ড তৈরী করে দিয়ে অধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে জড়ো করে রাখেন এবং ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী বানচালের ব্যর্থ চেষ্টা করেন।

এর ফলে অধ্যক্ষের ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা কলেজের ক্যাম্পাসকে অশান্তপূর্ন করে ভীতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করেন। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে তারা আরো জানান, ছাত্রদল সর্বোচ্চ ধৈর্য্য ধারণ করে পূর্ব ঘোষিত বিক্ষোভসমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচী শান্তিপূর্ণ ভাবে পালন করেন। উক্ত কর্মসূচীকে বানচাল করার জন্য অধ্যক্ষ সোলায়মান বহিরাগত, ভাড়াটে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের নেতাদের ভূয়া আইডি কার্ড প্রদান করে যে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন তার জন্য তিনি উক্ত পদে থাকার নৈতিকতা হারিয়েছেন। এজন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কক্সবাজার সরকারি কলেজের বর্তমান ও সাবেক নেতৃবৃন্দ তার পদত্যাগ দাবি করছি। পদত্যাগের মাধ্যমে কলেজের

পড়াশোনা সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবী জানাচ্ছি। উক্ত যেমন খুশি তেমন সাজো ইভেন্ট প্রতিয়োগীতার তালিকায় অনুমোদন দেওয়ার সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতার আহবায়ক, সদস্য সচিব ও বিচারক এবং উক্ত প্রতিযোগীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক শান্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য যে, উক্ত প্রতিযোগী সাদিয়া সুলতানা সৌরভীকে গত ২০২৪ সালের প্রতিযোগীতার এই ইভেন্টে একই ধরণের অভিনয় করে এই অধ্যক্ষসহ একই কমিটি ও বিচারকবৃন্দ পুরস্কৃত করেছিলেন। তাই সুনিদিষ্ট অভিযোগে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রীকে ব্যাঙ্গাত্মকভাবে প্রকাশ করার অভিযোগে অধ্যক্ষ সোলাইমান এর পদত্যাগ, উপরোক্ত কমিটি এবং অভিনয়কৃত ছাত্রীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক শান্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষে কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ জোর দাবি জানাচ্ছি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মুজিবুল হক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হক রাশেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবীবুল্লাহ হাবীব, সাবেক সভাপতি আব্দুল করিম, সাবেক সভাপতি এম রাশেদুল করিম রাশেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওসমান সরওয়ার রানা, সহ সভাপতি সাইদু সিকদার, সহ সভাপতি মোঃ নাসির উদ্দীন, বর্তমান আহ্বায়ক মোঃ রুবেল মিয়া, সদস্য সচিব কাউছার হাবীব তৌকি, যুগ্ম আহ্বায়ক বোরহান উদ্দিন কিবরিয়া, ক্যাম্পাস ছাত্রদল সভাপতি মো: জায়েদসহ প্রমুখ।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ