আজঃ শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

ওয়ার সিমেনট্রি ইতিহাসের অপর নাম

সোমা মুৎসুদ্দী

একটা সময় ছিলো ব্রিটিশ শাসন আমাদের পূর্বপুরুষেরাও ছিলো ব্রিটিশের অধীনে,সেই সাথে আমাদের প্রিয় চট্টগ্রামের সুদীর্ঘ ইতিহাস আমাদেরকে সমৃদ্ধ করেছে, আমাদের আছে নিজস্ব, ইতিহাস ও সংস্কৃতি। ইতিহাস ঐতিহ্যের প্রথম পর্বের অনুভূতিতে আজ বলবো চট্টগ্রাম ওয়ার সিমেনট্রির কথা।ওয়ার সিমেনট্রি, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলায় অবস্থিত একটি কমনওয়েলথ যুদ্ধ সমাধি।

১৯৪১ সাল থেকে ১৯৪৫ সালে বার্মায় সংগঠিত যুদ্ধে যে ৪৫,০০০কমনওয়েলথ সৈনিক নিহত হন তাদের স্মৃতি রক্ষা করার জন্য, মায়ানমার তৎকালীন (বার্মা),আসাম এবং বাংলাদেশের নয়টি রণ সমাধিক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছে।বাংলাদেশে দুটি কমনওয়েলথ রণ সমাধিক্ষেত্র আছে।একটি চট্টগ্রামে এবং অপরটি কুমিল্লায়। প্রতিবছর এবং প্রতিদিন, প্রচুর দর্শনার্থী যুদ্ধে নিহত সৈনিকদের প্রতি সম্মান জানাতে এসকল রণ সমাধি ক্ষেত্রে আসেন।চট্টগ্রাম রণ সমাধি মূলত,২য় বিশ্বযুদ্ধে (১৯৩৯-১৯৪৫)নিহত ভারতীয় (তৎকালীন) ও ব্রিটিশ সৈন্যদের কবরস্থান।এটি

১৯৪৩থেকে ১৯৪৪ সালে তৈরি হয়েছে।এটি চট্টগ্রাম নগরীর মেহেদীবাগ এলাকার ১৯ নং বাদশাহ মিয়া সড়কে অবস্থিত।এয়ারপোর্ট থেকে দূরত্ব ২২কিলোমিটার। এবং পোর্ট থেকে দূরত্ব ৮ কিলোমিটার। ওয়ার সিমেনট্রি চট্টগ্রাম আর্ট কলেজের এবং ফিনলে গেস্ট হাউজের খুব কাছেই অবস্থিত।এই সমাধিক্ষেত্রটি (C.W.G.C)কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো ও তারাই এই সমাধিক্ষেত্রটি পরিচালনা করেন।প্রতিবছর নভেম্বর মাসে সকল ধর্মের ধর্মগুরুর মাধ্যমে এখানে একটি বার্ষিক প্রার্থনাসভা হয়ে থাকে।চট্টগ্রামে তৎকালীন সময়ে ছিলো অনেক বড় হাসপাতাল। এছাড়া চট্টগ্রামে ছিলো যুদ্ধ সরঞ্জাম সরবরাহের ক্ষেত্র গভীর সমুদ্র বন্দর। যেখান থেকে মিত্র বাহিনী আরাকান এলাকায় তাদের সামরিক অভিযান পরিচালনা করতো। ব্রিটিশ

সেনাবাহিনী দিয়ে নির্মিত এই সমাধি ক্ষেত্রে প্রথমদিকে মোট ৪০০টি কবর ছিলো। বর্তমানে ওয়ার সিমেনট্রিতে ৭৫৫টি কবর আছে।এর মধ্যে অধিকাংশ হলো সেই সময়কার হাসপাতালের মৃত সৈনিকেরা। তাছাড়াও যুদ্ধের পর বিভিন্ন স্থান থেকে কিছু লাশ এনে এখানে সমাহিত করা হয়।বিভিন্ন বাহিনী অনুয়ায়ী এখানে মারা যাওয়া শহীদদের মধ্যে ১৪ জন নাবিক,৫৪৩জন সৈনিক ১৯৪জন বৈমানিক ও ৪ জন বেসামরিক মানুষ ছিলেন।সব মিলিয়ে ৭৩৮জন নিহতের পরিচয় জানা সম্ভব হয়েছিলো।ওয়ার সিমেনট্রির প্রবেশমুখে একটি মেমোরিয়াল আছে,যেখানে ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় সমুদ্রে নিহত রয়াল ইন্ডিয়ান নেভী ও মার্চেন্ট নেভী এর ৬,৪৬৯নাবিকের নাম ও পরিচয় সংরক্ষণ আছে।সমাধিক্ষেত্রটির প্রবেশমুখে একটি তোরণ ঘর যার ভেতরে দেয়ালে এই সমাধিক্ষেত্রটির ইতিহাস ও বিবরণ ইংরেজী ও বাংলায় লিপিবদ্ধ করে একটি দেয়াল ফলক

লাগানো রয়েছে।ভিতরে সরাসরি সামনে প্রশস্থ পথ,যার দুইপাশে সারি, সারি কবর ফলক।সৈন্যদের যার যার ধর্ম অনুযায়ী, তাদের কবর ফলকে,নাম মৃত্যু তারিখ পদবীর পাশাপাশি ধর্মীয় প্রতিক লক্ষ্য করা যায়। খৃষ্টানদের কবরফলকে ক্রুশ,মুসলমানদের কবর ফলকে আরবি লেখা উল্লেখযোগ্য।প্রশস্থ পথ ধরে সোজা সামনে রয়েছে সিঁড়ি দেওয়া বেদি তার উপর শোভা পাচ্ছে খৃষ্টান ধর্মের প্রবিত্র প্রতিক ক্রুশ প্রতি পর পর দুটি কবর ফলকের মাঝখানে সারি, সারি ফুলগাছ শোভা পাচ্ছে।এছাড়াও পুরো সমাধিক্ষেত্রে রয়েছে প্রচুর গাছ, যা আগত দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে।চট্টগ্রাম ওয়ার সিমেনট্রি সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২ টা ও দুপুর দুইটা থেকে ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে।আগে মূল সমাধিক্ষেত্রে ঢুকতে পারলেও কয়েক বছর ধরে নিরাপত্তার জন্যই সমাধিক্ষেত্রের ভেতরে ঢোকা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

কেউ ঢুকতে চাইলে আগেই কর্তৃপক্ষের অনুমতি বা পাস নিতে হবে।ইতিহাস ঐতিহ্যের নগরী চট্টগ্রাম, আমাদের আছে নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি, শহরের মাঝেই একটুকরো সমাধিক্ষেত্র দেখার জন্য প্রতিদিন শত, শত লোক ভিড় করেন ও সৈনদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, পরিবার পরিজন নিয়ে অবসরে আপনিও আসতে পারেন চট্টগ্রাম ওয়ার সিমেনট্রি, সেই সাথে সবুজের নান্দনিকতা আপনাকে মুগ্ধ করবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ‘খুঁজি তাঁরে’ শীর্ষক অনুষ্ঠান।


চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গাঙ্গেয় বদ্বীপের সংগীত ব্যক্তিত্ব যোগী স্বপন কুমার দাশ’র রচিত আধ্যাত্মিক ও দেহতত্ত্ব বিষয়ক গান নিয়ে ‘খুঁজি তাঁরে’ শীর্ষক গত ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সাংবাদিক কিরন শর্মার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

প্রদীপ প্রজ্জ্বলক ও প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম এর পরিচালক মো.মাহফুজুল হক। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের পর প্রখ্যাত সাধক শ্রীমৎ স্বামী সত্যানন্দ ব্রহ্মচারী’জীকে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে ‘খুঁজি তাঁরে’ অনুষ্ঠানটি উৎসর্গ করা হয়।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযুদ্ধা রাখাল চন্দ্র ঘোষ (যুদ্ধকালিন কমান্ডার), আব্দুর রহিম (লোক ও মরমি শিল্পী), রূপম ভট্টাচার্য (সাংবাদিক), স ম জিয়াউর রহমান(সাংবাদিক), দিদারুল ইসলাম (সংগীত পরিচালক ও কন্ঠ শিল্পী), তন্দ্রা দাশগুপ্তা, সংগীত শিল্পী সঞ্জয় রক্ষিত সহ প্রমুখ। সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত

ছিলেন পাপিয়া আহমেদ (সংগীত প্রযোজক বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম), অপু বর্মন (সংগীত শিল্পী বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন এবং সংগীত শিক্ষক জেলা শিল্পকলা একাডেমি, চট্টগ্রাম), অপু সেনগুপ্ত (বিশিষ্ট গীতিকার বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন), দীপ্ত দত্ত সংগীত শিল্পী (বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন)।

অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন, খ্যাতনামা মরমি কন্ঠ শিল্পী শিমুল শীল, বাউল শিল্পী বাবুল শীল, অভিষেক দাশ, বাউল জুয়েল দ্বীপ, শিউলী চৌধুরী, আনন্দ প্রকৃতি(মো:তৌহিদুল ইসলাম), আধাত্মিক শিল্পী সুরনাথ, কাওয়ালী শিল্পী মেঘলা। ওস্তাদ মোহনলাল দাশ স্মৃতি প্রতিযোগিতার সেরা কন্ঠ শিল্পী বাঁধন ঘোষ, ইন্দ্রিলা ঘরজা, মিম দাশ, অধরা চৌধুরী রাত্রি, আরাধ্যা মজুমদার, সৈয়দ রাসতিন, অরূপ কুমার শীল, ঊর্মি নাগ সংগীত পরিবেশন করেন।

যন্ত্র সংগীত শিল্পীতে ছিলেন- কীবোর্ডে রুবেল ঘোষ, অক্টোপ্যাডে পাপন, তবলায় উৎস, বাংলা ঢোলে হৃদয় বাঁশিতে নিলয়। সংগীত তত্বাবধানে যোগী স্বপন কুমার দাশ, অনুষ্ঠান তত্বাবধানে মো: মোহসীন(সাধারণ সম্পাদক, ওস্তাদ মোহনলাল দাশ স্মৃতি সংসদ)। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মো: সাইফুর রহমান ও ববিতা ইসলাম।

আজ বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি নাসির আহমেদ এর ৭৩ তম জন্মদিন ।। 💚♦️💚♦️💚♦️💚♦️💚♦️💚♦️💚♦️💚♦️💚♦️


আজ (৫ ডিসেম্বর ২০২৫) একাত্তরের পদাবলী, তোমার জন্য অনিন্দিতা, বৃক্ষমঙ্গলের কবি নাসির আহমেদ এর ৭৩ তম জন্মদিন। কবির জন্মভূমি দ্বীপজেলা ভোলায় আজ যথাযথ আয়োজনে দিনটি উদযাপন করবে – জাতীয় কবিতা পরিষদ ভোলা এবং জলসিঁড়ি সাহিত্য আসর ।


ভোলা সদরের গঙ্গাকীর্তি গ্রামের হারুন অর রশিদ স্মৃতি পাঠাগারে আজ বিকেল ৪ টায় “কবি নাসির আহমেদের জীবন ও সাহিত্য” শীর্ষক এক মূল্যবান আলোচনা সভা, কবিতা পাঠ ও কবিতার গান অনুষ্ঠিত হবে ।

অনন্য এই আয়োজনটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন- ভোলা জেলা কালচারাল অফিসার জনাব হাসানুর রশিদ মাসুদ । কবি নাসির আহমেদ এর জীবন ও সাহিত্য শীর্ষক মূল বক্তব্য উপস্থাপন করবেন- জাতীয় কবিতা পরিষদ ভোলার সাধারণ সম্পাদক ও জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের নির্বাহী সভাপতি সিনিয়র প্রভাষক কবি রিপন শান । স্বাগত বক্তব্য রাখবেন- জাতীয় কবিতা পরিষদ ভোলার সহ-সভাপতি কবি মিলি বসাক ।


সভাপতিত্ব করবেন- জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের সভাপতি ও জাতীয় কবিতা পরিষদ ভোলার সিনিয়র সহ-সভাপতি শিশুসাহিত্যিক শাহাবউদ্দিন শামীম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করবেন- জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় কবিতা পরিষদ ভোলার সাংগঠনিক সম্পাদক কবি মহিউদ্দিন মহিন । কবি নাসির আহমেদ কে নিয়ে কথা বলবেন ও কবিতা পাঠ করবেন- জাতীয় কবিতা পরিষদ ভোলার সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবি আল মনির, কবি গবেষক নীহার মোশারফ, জলসিড়ির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবৃত্তিশিল্পী মীর মোশারেফ অমি, জলসিঁড়ির কোষাধ্যক্ষ কবি বিলকিস জাহান মুনমুন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক কবি শাহনাজ পারুল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মুহাম্মদ নুরুল্লাহ আরিফ, নির্বাহী সদস্য কবি চৌধুরী সাব্বির আলম , কবি কামরুন্নাহার , কবি মাহে আলম আখন প্রমুখ ।

❤️💙❤️💙❤️💙❤️💙❤️💙❤️💙❤️💙❤️💙❤️💙

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ