আজঃ মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল, ২০২৫

৪৮ ঘন্টার মধ্যে শাস্তি মূলক ব্যবস্থার দাবী জানিয়েছে বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন-বিএইচআরএফ

বিশেষ প্রতিনিধি।

বিমানবন্দরে ৫ প্রবাসীকে নিরাপত্তারক্ষীদের মা’র ধরের ঘটনার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে শাস্তি মূলক ব্যবস্থার দাবী জানিয়েছে বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন-বিএইচআরএফ

মানবাধিকার প্রেস রিলিজ :- গতকল্য ৮/১/২৫ বুধবার রাতে ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে নিরাপত্তা রক্ষীদের হাতে ৫ প্রবাসী শারীরিক নির্যাতন ও আহত ব্যক্তিকে উল্টো সামারী ট্রায়েল করে পাঁচজাজার টাকা জরিমানার ঘটনা মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতি দৃষ্টিগোচর হলে এতে উৎকন্ঠা প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন। বিএইচআরএফ চেয়ারপার্সন এডভোকেট এলিনা খান ও মহাসচিব এডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান মানবাধিকার লংঘনের এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান ও দায়ী ব্যাক্তিদের বিলম্ব না করে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে এবং আহত ভিকটিমদের সূচিকিৎসা ও পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরন দিতে সরকারের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন।হেনস্থার শিকার যাত্রীরা অপরাধ করলে তাদের আইের কাছে সোপর্দ না করে তাদের শারীরিক মানসিক নির্যাতন একটি গুরুত্বর শাস্তিযোগ্য ফৌজদারি অপরাধ। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নরওয়ের চারজন এবং বাংলাদেশের এক নাগরিককে হেনস্তা করা হয়েছে এবং এর মধ্যে নরওয়ের একজনকে মারধর করে রক্তাক্ত করা হয়েছে এবং সামারী ট্রায়েল করে তাদের ৫০০০/- টাকা জরিমানা মর্মে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিএইচআরএফ এ ব্যাপারে আইনী পদক্ষেপ গ্রহনের ঘোষনা দেয় এবং এ ব্যাপারে আইনী পদক্ষেপ নিতে সরকারকে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম ঘোষণা করে । বিমানবাহিনীর কুইক রেসপন্স ফোর্স (কিউআরএফ) এবং আনসার বাহিনীর সদস্যরা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার রাত আটটার দিকে বিমানবন্দরের আগমনী ক্যানপি-২ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।বিমানবন্দরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর একটি সূত্র জানায়, মারধরের শিকার যাত্রীর নাম মোহাম্মদ সাইদ উদ্দিন। অন্য চারজন হলেন সাইদের বাবা গিয়াস উদ্দিন, মা বেগম মনোয়ারা, ভাই মোহাম্মদ মহি উদ্দিন এবং গিয়াস উদ্দিনের পুত্রবধূ ইপসা জান্নাতুল নাঈম। এই পাঁচজনকেই হেনস্তা করা হয়েছে। নরওয়ের নাগরিকদের হেনস্তা, একজনকে মারধরের ঘটনা মানবাধিকারের চরম লংঘন। কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তাঁকে আইনের হাতে তুলে দিতে হবে। শারীরিক নির্যাতন মারাত্মক শাস্তিযোগ্য ফৌজদারি অপরাধ। বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন (বিএইচআরএফ) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চারজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নরওয়েজিয়ান নাগরিক ও একজন বাংলাদেশি নাগরিকের প্রতি হেনস্তা এবং শারীরিক হামলার ঘটনায় ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বিচার দাবী করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। অভিযোগে জানা গেছে , বিমানবাহিনীর কুইক রেসপন্স ফোর্স (কিউআরএফ) এবং আনসার বাহিনীর সদস্যরা এই ন্যক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন, যার ফলে মোহাম্মদ সাইদ উদ্দিন নামক একজন যাত্রী মারধরের শিকার হয়ে রক্তাক্ত হন।এই ঘটনা বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩১-এর লঙ্ঘন, যা আইনের সুরক্ষা এবং আইনের অধীনে সুষ্ঠু বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করে। একইভাবে, এই ঘটনা অনুচ্ছেদ ৩৫-এর অধীনে নিষ্ঠুর, অমানবিক বা লাঞ্ছনাকর আচরণ নিষিদ্ধ করার বিধানও ভঙ্গ করেছে। এছাড়া, এই ধরনের আচরণ আন্তর্জাতিক মানদণ্ডেরও বিরোধী, যেমন বিশ্ব মানবাধিকার ঘোষণা (UDHR) এর অনুচ্ছেদ ৫ এবং আন্তর্জাতিক বেসামরিক ও রাজনৈতিক অধিকার কনভেনশন (ICCPR) এর অনুচ্ছেদ ৭, যা বাংলাদেশ একটি রাষ্ট্র হিসাবে মান্য করতে বাধ্য।এই অপরাধের শিকার ব্যক্তিরা তাদের ক্ষতির জন্য পূর্ণ এবং সুবিচারমূলক ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকারী। উপরন্তু, অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত এবং শাস্তি প্রদান করা উচিত।
এই লঙ্ঘনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএইচআরএফ সরকারের প্রতি নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছে:
১.৪৮ ঘন্টার মধ্যে দায়ী রক্ষীদের প্রত্যাহার,সাময়িক বরখাস্ত করা।
২. একটি স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ তদন্ত চালানো, যাতে সমস্ত অপরাধীকে, তাদের পদমর্যাদা বা সংস্থার সদস্য পরিচয় যাই হোক না কেন, যথাযথভাবে দণ্ডিত করা হয়।
৩. ভুক্তভোগীদের জন্য যথাযথ ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন প্রদান করা, যা বাংলাদেশের সংবিধানিক ও আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতাসমূহের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
৪. বিমানবন্দর নিরাপত্তা কার্যক্রমে প্রশিক্ষণ প্রদান করে মানবাধিকার, পেশাদার আচরণ এবং আইনের শাসনের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের বিষয়টি নিশ্চিত করা।
৫. সরকারি দুঃখ প্রকাশ করে ভুক্তভোগীদের সম্মান পুনরুদ্ধার করা এবং বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রবাসী সম্প্রদায়ের আস্থার পুনর্স্থাপন করা।

বিএইচআরএফ বাংলাদেশে সকল ব্যক্তির, বিশেষ করে প্রবাসী সম্প্রদায়ের, অধিকার এবং মর্যাদা রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এই ধরনের ঘটনা বাংলাদেশে মানবাধিকার রক্ষার প্রতি প্রতিশ্রুতি ক্ষুন্ন করে এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি জনগণের আস্থা কমিয়ে দেয়। এই ধরনের অপরাধের পুনরাবৃত্তি রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

তরুণ দলকে জাতীয়তাবাদের আদর্শে ঢেলে সাজাতে তরুণ দলের কার্য পরিকল্পনার আলোচনা সভা ও প্রতিবাদী মিছিল।

বি,এন,পির, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জননেতা তারেক রহমান এর নির্দেশনা মোতাবেক ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এবং গাজা সহ ভারতে মুসলমানদের উপর নির্মম অত্যাচারের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বিভাগীয় তরুণ দল (চট্টগ্রাম মহানগর, দক্ষিণ ও উত্তর জেলা) নেতা কর্মীদের নিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় তরুণ দলকে জাতীয়তাবাদের আদর্শে ঢেলে সাজাতে তরুণ দলের আগামী কার্য পরিকল্পনার আলোচনা সভা ও প্রতিবাদী মিছিল করা হয়।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় তরুণ দল এর অফিস কার্যালয়ে সভা আয়োজিত হয় উক্ত আলোচনা সভায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় তরুণ দলের টিম প্রধান ও তরুণ দল কেন্দ্রীয় সংসদের সংগ্রামী সহ-সভাপতি -লায়ন রাসেল মির্জা সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তরুণ দল কেন্দ্রীয় কমিটির সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক- আমিনুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন , তরুণ দল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক- সোহেল সওদাগর, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক- মোঃ দিদার, সহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক- সাইদুর রহমান, ৩৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি সহ সভাপতি- আলি আজম, এডভোকেট আবু হানিফ, মোঃ ফারুক, সিএনজি অটো রিক্সা শ্রমিক দল চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি – রাকিব।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর তরুণ দল সংগঠক আব্দুল কাদের , জাহিদুল ইসলাম , হাসান, মহানগর তরুণ দল থানা আহ্বায়ক- আবদুল সালাম টিপু (ডবলমরিং ), আহ্বায়ক- ফরহাদ মাহমুদ ও সদস্য সচিব সাকিল (বায়েজিদ) , রাসেল উদ্দিন (চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা), সহ সাধারণ সম্পাদক – সানি (সদরঘাট)
পারভেজ, কাজী মোঃ নোমান, দিদার, শাকিল, হারুন, এমরান, রুবেল, সুমন, মিন্টু, ইব্রাহিম বাপ্পি, মুন্না, আরাফাত, আলামিন, মোমিন, আরিফ, সবুজ, রফিকুল, ফারুক, সোহেল
সহ চট্টগ্রাম মহানগর, দক্ষিণ ও উত্তর জেলা তরুণদল নেতৃবৃন্দ।

এসময় আলোচনা সভা শেষ করে নেতা কর্মীরা একটি প্রতিবাদী মিছিল করে যাহা “চট্টগ্রাম ইপিজেড থেকে শুরু হয়ে সিমেন্স হোস্টেল” সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

পটিয়ায় প্রবাসীর ঘরে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, অন্তঃসত্ত্বাসহ আহত- ৪।

চট্টগ্রামের পটিয়ায় প্রবাসীর ঘরে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার ভোররাতে (২৬ এপ্রিল) উপজেলার ধলঘাট ইউনিয়নের উত্তর সমুরা গ্রামের তারাং শরীফ এলাকায় সংঘবদ্ধ ডাকাতদল এ তাণ্ডব চালায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গভীর রাতে ৭-৮ জনের একটি ডাকাতদল ছাদ ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে তারা তাণ্ডব চালায়। ডাকাতরা নগদ ৭০-৮০ হাজার টাকা, প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ৫টি মোবাইল ফোন ও একটি মোটরসাইকেল লুট করে নেয়।

বাধা দিলে ডাকাতরা প্রবাসী নেজাম উদ্দিন , জসিম উদ্দিন ও জামাল উদ্দিন -সহ অন্তঃসত্ত্বা নারীকে বেধড়ক মারধর করে।

আহতদের মধ্যে নেজাম ও জসিম উদ্দিনকে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তারেকুল ইসলাম জানিয়েছেন, আহতদের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

ঘটনাস্থলে ছুটে আসা স্থানীয় ইউপি দফাদার বিকাশ দাশ বলেন, “ডাকাতরা পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করেছে।
এইদিকে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

উল্লেখ্য, এর আগে একই উপজেলায় ভাটিখাইন ও হাইদগাঁও গ্রামেও একই ধরনের ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ