আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

আগামী নির্বাচন ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের মত গ্রহণযোগ্য হবে-প্রধান নির্বাচন কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিগত ১৫ বা ১৬ বছর ধরে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা জেল জুলুম ও অত্যাচারের শিকার হয়েছেন। তারা প্রত্যেকেই ভোটের অধিকারের কথা বলেছেন। এছাড়া আমাদের নতুন প্রজন্মের প্রত্যাশা সকলের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা। সুতরাং এ প্রত্যাশাকে সামনে রেখেই আমাদের এগোতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদের উপর কোন চাপ নেই। আশা করছি সকলের সহযোগিতায় আগামীতে একানব্বই, ছিয়ানব্বই ও ২০০১ এর মত সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পারবো।

ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নগরির সার্কিট হাউসে সোমবার চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ, এম, এম নাসির উদ্দিন এসব কথা বলেন।

সিইসি বলেন, নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা চট্টগ্রাম থেকে শুরু করলাম। নির্বাচনী প্র¯‘তির মাঠ পর্যায়ের সার্বিক কার্যক্রমও এখান থেকে শুরু হবে। খসড়া ভোটার তালিকা জানুয়ারির ২ তারিখ প্রকাশ হবে এবং মার্চে এটা ফাইনাল হবে। এটাকে আরো গ্রহণযোগ্য করতে আমাদের নির্বাচন কর্মকর্তাদের অভিজ্ঞতার কথা শুনবো। তাদের কাছে পরামর্শ চাইবো কিভাবে সাধারণ মানুষের অসন্তুষ্টি দূর করা যায় এবং নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনী ব্যবস্থার উপর আস্থা ফিরিয়ে আনা যায়।

ভোটার তালিকা হালনাগাদ কখন শেষ হবে- এ প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোটার রেজিস্ট্রেশন আইনে বলা আছে প্রত্যেক বছরের জানুয়ারির ১ তারিখে যাদের বয়স ১৮ বছর হবে তাদের ভোটার করে ২ তারিখে একটি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে। মার্চের ২ তারিখে এটা ফাইনাল হয়ে যাবে এটা আইনের বিধান।

 

আর সেটা পালন করতে আমরা বদ্ধপরিকর। তবে নির্বাচনী সিডিউল ঘোষণা করার আগ পর্যন্ত এ তালিকা সংশোধন করা যায়। তিনি বলেন, বিগত নির্বাচনগুলোতে মৃত মানুষ ভোট দিয়েছে এমন অনেক আভিযোগ ছিল। কাজেই তালিকা হতে মৃত ভোটার বাদ দেওয়া এবং মহিলাদের ভোটার করতে ও নির্বাচনী ব্যব¯’ার উপর আ¯’া ফিরিয়ে আনতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদকরণের কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। আশা করছি এ কার্যক্রম দ্রুত শুরু হবে এবং আগামী ৬ মাসের মধ্যে শেষ করতে পারবো।

আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়া বা না নেওয়া বিষয়ক সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। আবার কোন রাজনৈতিক দল যাতে নির্বাচনে আসতে না পারে সেজন্য কেউ যদি কোর্টে মামলা করে সেক্ষেত্রে কোর্ট কি সিদ্ধান্ত দেয় তার উপর নির্ভর করবে কারা নির্বাচনে আসবে, কারা আসবে না। কিংবা সরকার যদি কোন দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা না করে আমাদের পক্ষে কোন দলকে বাতিল বা নিষিদ্ধ করা সম্ভব নয়। সুতরাং কারা নির্বাচনে আসবে – সেটি রাজনৈতিক এবং কোর্টের সিদ্ধান্ত অথবা সরকার কোন দলকে নিষিদ্ধ করছে কিনা সে সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে। এক্ষেত্রে আমাদের কোন মতামত নেই।

অনেক বিশেষজ্ঞ এবং ২০২৪ এর অভ্যুত্থানকারীদের দাবি ১৭ বছর বয়সে ভোটার করা – এ প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, কত বছর বয়সে ভোটার করা যাবে সেটি সংবিধানে লেখা আছে। সংবিধান সংস্কার কমিশন এটি নিয়ে কাজ করছে। তারা যদি ১৭ বছরে ভোটার করার বিধান সংবিধানে সংযোজন করে তবেই নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ১৭ বছর বয়সীদের ভোটার করা সম্ভব হবে।
বিগত তিনটা নির্বাচনে যারা দিনের ভোট রাতে

করেছে তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোন আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে কোন আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার চিন্তা করছি না। এটি নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বা সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে।

চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো: ইউনুচ আলীর সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপপরিচালক (স্থানীয় সরকার) মো: নোমান হোসেন, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বশির আহমেদ, অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন পাটোয়ারীসহ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান জামায়াতে যোগ দিলেন

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জামায়াতে যোগ দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াত আমিরের উপস্থিতিতে মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি সংগঠনের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন।

ওসমান হাদিকে দেখতে এসে তোপের মুখে মির্জা আব্বাস।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সেনাবাহিনীর সদস্যরা মির্জা আব্বাসকে নিরাপত্তা দিয়ে হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করার সুযোগ করে দেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ