
টেকসই ও পরিবেশবান্ধব জ্বালানির দাবিতে আইএসডিই বাংলাদেশ, CLEAN, এবং BWGED-এর যৌথ উদ্যোগে চট্টগ্রামের চাঁদগাঁও থানাস্থ প্রাইম স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, পরিবেশবাদী সংগঠনের কর্মী ও সাধারণ নাগরিকরা অংশ নেন। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা এবং নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসারের লক্ষ্যে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে বক্তারা জীবাশ্ম জ্বালানির ক্ষতিকর দিক এবং নবায়নযোগ্য শক্তির সম্ভাবনা তুলে ধরেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য শক্তির দিকে অগ্রসর হওয়াই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ পথ। এলএনজি ও অন্যান্য জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার আমাদের পরিবেশের ক্ষতি করছে, বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় বাড়িয়ে দিচ্ছে এবং দেশের অর্থনীতির ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে।”
প্রচারণা কর্মসূচিত সংহতি জানা কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর চট্টগ্রাম সমন্বয়ক সৈয়দ আবুল হাসান আজামী, আইএসডিই বাংলাদেশের অফিসার রাইসুল ইসলাম, ক্যাব নেতা ও সমাজসেবক জনাব জানে আলম, প্রাইম স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালক মো. আবু ইউনুস
বক্তব্যে তারা বলেন: নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়াতে হলে সৌর ও বায়ু শক্তির প্রসার ঘটাতে হবে।
এলএনজি আমদানির ফলে জ্বালানির খরচ বেড়ে যাচ্ছে, যা দেশের জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা তৈরি করছে। জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও মিথেন নির্গমন বাড়ছে, যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নকে ত্বরান্বিত করছে। নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ বাড়ালে শুধু বিদ্যুৎ সংকট সমাধান হবে না, বরং নতুন কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হবে।
শিক্ষার্থী ও তরুনরা মানববন্ধনে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন: “জীবাশ্ম জ্বালানি নয়, নবায়নযোগ্য শক্তিই হোক আমাদের ভবিষ্যৎ!”
“এলএনজি আমদানি বন্ধ কর, নবায়নযোগ্য শক্তিকে সমর্থন কর!” “সবুজ শক্তি, সবুজ ভবিষ্যৎ!”মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, “আমরা চাই বাংলাদেশ একটি পরিবেশবান্ধব, টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যাক। আমাদের ভবিষ্যৎ নিরাপদ করার জন্য নবায়নযোগ্য শক্তির বিকল্প নেই।”
আয়োজক আইএসডিই বাংলাদেশ, CLEAN এবং BWGED জানিয়েছে, “আমরা নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসারের দাবিতে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আরও কর্মসূচি গ্রহণ করব এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই আন্দোলনকে বিস্তৃত করব।”