আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামী লীগপন্থিদের জয়

স ম জিয়াউর রহমান :

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

 

সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা। সভাপতি পদে সরওয়ার আহমদ চৌধুরী আবদাল ও সাধারণ সম্পাদক পদে জোবায়ের বখ্ত জুবের নির্বাচিত হয়েছেন। তারা দুইজনই নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের পদধারী সাবেক নেতা ছিলেন। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোহাম্মদ তারেক।

ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী আওয়ামীপন্থি আইনজীবী অ্যাডভোকেট সরওয়ার আহমদ চৌধুরী আবদাল ৭৭০ ভোট পেয়ে সভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছেন। এই পদে একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট এটিএম ফয়েজ উদ্দিন পেয়েছেন ৬৫৮ ভোট।

সহ-সভাপতি-১ পদে প্রতিদ্বন্দ্বী চার জনের মধ্যে জ্যোতির্ময় পুরকায়স্থ কাঞ্চন অ্যাডভোকেট ৫৯১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জ্যোৎস্না ইসলাম পেয়েছেন ৩৫৫ ভোট।

সহ-সভাপতি-২ পদে চার প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে অ্যাডভোকেট মখলিছুর রহমান ৪৮৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাডভোকেট আব্দুস সোয়েব আহমদ পেয়েছেন ৩৮২ ভোট।

সাধারণ সম্পাদক পদে ৮ জন প্রার্থীর মধ্যে অ্যাডভোকেট জোবায়ের বখ্ত জুবের ৩০৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন দিলু পেয়েছেন ২৮৫ ভোট।

এছাড়া যুগ্ম সম্পাদক-১ পদে অ্যাডভোকেট অহিদুর রহমান চৌধুরী ৭০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইকবাল আহমদ পেয়েছেন ৪৭৮ ভোট।

যুগ্ম সম্পাদক-২ পদে অ্যাডভোকেট রব নেওয়াজ রানা ৪২০ ভোট, সমাজ বিষয়ক সম্পাদক পদে মিজানুর রহমান ৭৮৯ ভোট, সহ-সমাজ বিষয়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ রাব্বী হাসান তারেক ৭২৮ ভোট, লাইব্রেরি সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট হেনা বেগম ৭৩১ ভোট, প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে অ্যাডভোকেট ছয়ফুল আলম অ্যাডভোকেট ৮২৫ ভোট, সহকারী নির্বাচন কমিশনার পদে অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল হেলাল ৬৫৭ ভোট ও কাওছার জুবায়ের ৫০৩ ভোট, সহ সম্পাদকীয় ৩টি পদে যথাক্রমে অ্যাডভোকেট এমাদ উদ্দিন মোহাম্মদ এমদাদ ১০৫৯ ভোট, সাহেদ আহমদ ৯৭৪ ভোট, কাওছার আহমদ ৭৮৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়া সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যের ১১টি পদের বিপরীতে ১৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে বিজয়ীরা হলেন- অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন ৯৮৫, এ এস এম আব্দুল গফুর ৯২৩ ভোট, এ কে এম ফখরুল ইসলাম ৯১৬ ভোট, জামিলুল হক জামিল ৯১৪ ভোট, আব্দুল মালিক ৮৯১ ভোট, কল্যাণ চৌধুরী ৮১৬ ভোট, আশিক উদ্দিন আশুক ৭৭৯ ভোট, জুবের আহমদ খান ৭৩৯ ভোট, আবু মো. আসাদ ৬৬৩ ভোট, আলীম উদ্দিন ৬৬০ ভোট এবং ছয়ফুল হোসেন ৬২৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোহাম্মদ তারেক ছাড়াও সহকারী নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন অ্যাডভোকেট আব্দুল করীম আকবরী ও জামিল আহমদ।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দিনব্যাপী উৎসব মুখর পরিবেশে সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত আইনজীবী সমিতির ০২ নম্বর হলের ২য় ও ৩য় তলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমিতির ১৮৫০ জন ভোটারের মধ্যে ১৪৬০ জন আইনজীবী ভোটার এই নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এবারের বার্ষিক নির্বাচনে ২৬টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৬৫ জন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

চন্দ্রগঞ্জ থানা পরিদর্শন করেন নবাগত পুলিশ সুপার মো:আবু তারেক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লক্ষ্মীপুর জেলার সদ্য যোগদান করা পুলিশ সুপার জেলার বিভিন্ন থানা পরিদর্শন ও থানায় কর্মরত অফিসারদের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন।
তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা আকস্মিক পরিদর্শন করেন লক্ষ্মীপুর জেলার নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ আবু তারেক। এসময় চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ও কর্মরত সবাই ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

থানা পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার ফোর্সদের থাকার ব্যারাক ও বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং সকল পুলিশ সদস্যদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এছাড়াও সকল পুলিশ সদস্যদের আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।

উল্লেখ্য চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোরশেদ আলম চলতি মাসের ৬ তারিখে এ থানায় যোগদান করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ