আজঃ মঙ্গলবার ১১ নভেম্বর, ২০২৫

রাউজান উপজেলা বিএনপির পকেট কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করছেন ত্যাগীদের নেতারা

প্রেস রিলিজ

সদ্য ঘোষিত রাউজান উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির কমিটিকে ‘পকেট কমিটি’ উল্লেখ করে তা প্রত্যাখান করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী সমর্থিত ত্যাগী নেতাকর্মিরা। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করা হয়েছে। এর আগেও একই বিষয়ে গত ২৫ জানুয়ারী সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষিত ওই কমিটি বাতিলে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছিল। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রাউজান পৌরসভা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ মনজুরুল আলম।
লিখত বক্তব্যে বলেন বিগত ১৭ বছর সরকারের দোসর বিনা ভোটের এমপি ও তাদের ভাষায় নব্য ফেরাউন ফজলে করিমের আনুগত্য বাহিনীর হাতে জিম্মি ছিল।

এমপি ফজলে করিমের প্রত্যক্ষ নির্দেশে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী হামলা মামলায় জর্জরিত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছিল এবং শতাধিক নেতাকর্মী গুমের স্বীকার হয়। এসব ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে উপজেলা ও পৌরসভার দুই সদস্য বিশিষ্ট নাম উল্লেখ করে পকেট কমিটি ঘোষণা করা হয়। এদিকে রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রবাসী ইয়াছিন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমন এবং

ফজলে করিমের অর্থনৈতিক কাজের যোগানদাতা হিসেবে ব্যপক পরিচিত ছিল। কিন্তু গোলাম আকবর খোন্দকারের আনুগত্য কমিটি সংবাদ সম্মেলনে তার জন্য মায়াকান্না করে তাদের আওয়ামী প্রীতি ও পূর্ণবাসনের বহিঃপ্রকাশ মাত্র। রাউজানের প্রতিটি ইট ভাটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পূর্বে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি ছিলো। ৫ আগষ্টের পর চাঁদাবাজী বন্ধ হলেও গত কয়েকদিন ধরে আবারও চাঁদাবাজী শুরু হয়েছে এটা কার নির্দেশে হচ্ছে সেটা রাউজান বাসী সুস্পষ্ট ব্যাখ্যার দাবী জানাচ্ছে। বক্তব্যে আরও বলেন রাউজানের ইতিহাসে সাম্প্রতিক সময়ে অন্যতম হৃদয় বিদারক ঘটনা ছিলো নোয়াপাড়ার ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম হত্যাকান্ড ঘটে। যার ভিডিও ফুটেজ হত্যাকারী সনাক্ত হওয়া সত্ত্বেও অদ্যাবধী কোন আসামী গ্রেফতার না হওয়া এবং মৃত্যুর দশদিন পরও মামলা গ্রহণ না রহস্যজনক। হত্যাকারীদেরও গ্রেফতারের দাবী জানান।
এসম উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি সদস্য আবু জাফর চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহবায়ক ফিরোজ আহাম্মদ ও রাউজান উপজেলা যুগ্ন আহবায়ক নুরুলহুদা চেয়ারম্যান হাবিবউল্লাহ মাষ্টার দিদার চেয়ারম্যান ডাবুয়া ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি এরশাদ চৌধুরী বিএনপি নেতা কামাল উদ্দিন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহসভাপতি সাবের সুলতান কাজল ও মোজাম্মেল হক, উত্তর জেলা সেচ্ছসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক ইউছুপ তালুকদার,রাউজান উপজেলা বিএনপি সদস্য মহিউদ্দিন জীবন,যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক মাসুদ, উত্তর জেলা ছাত্রদলের নেতা মোঃ ছোটন প্রমুখ।।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

দাড়িপাল্লার বিজয়ে কোমর বেঁধে নামতে হবে — অধ্যক্ষ হেলালী

চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও সাবেক কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী বলেছেন, “আগামী নির্বাচন হবে সত্য ও মিথ্যার, ন্যায় ও অন্যায়ের লড়াই। তাই সবাইকে সম্মুখ সমরে জিহাদের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দাড়িপাল্লার বিজয় নিশ্চিত করতে কোমর বেঁধে মাঠে নামতে হবে।”

১১ অক্টোবর সকালে পাঁচলাইশ থানাধীন ৮ নং শুলকবহর ওয়ার্ড কেন্দ্র কমিটির বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ হেলালী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার পুনরুদ্ধার ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জামায়াতের কর্মীরা সবসময় প্রথম সারিতে ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে ইনশাআল্লাহ। ইসলামি মূল্যবোধের ভিত্তিতে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনই তাঁর রাজনৈতিক অঙ্গীকার বলে তিনি উল্লেখ করেন।

অধ্যক্ষ হেলালী আরও বলেন, উন্নয়ন ও পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন সৎ, ত্যাগী ও নীতিবান নেতৃত্ব। অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এবং দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনই আজকের সময়ের দাবি। তিনি প্রত্যেক কর্মীকে জনগণের মাঝে দাড়িপাল্লার আদর্শ প্রচারে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন পাঁচলাইশ থানা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল হাছান রুমী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-১০ আসনের নির্বাচন পরিচালক ও হালিশহর থানা জামায়াতের আমীর ফখরে জাহান সিরাজী সবুজ।

সম্মানিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নগর আইনজীবী থানার আমীর অ্যাডভোকেট আরিফুর রহমান, পাঁচলাইশ থানা সেক্রেটারি মাওলানা মফিজুল হক, ইঞ্জিনিয়ার আরিফুল হোসাইন, শফিউল আজিম মন্টি, ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম, শহীদুল্লাহ তালুকদার, নুরুল ইসলাম, ইমরান সিকদার, গিয়াস উদ্দীন তালুকদার, আল আমিন ভূঁইয়া ও ইফতেখার হোসাইন।

বক্তারা বলেন, দাড়িপাল্লার বিজয়ের মধ্য দিয়েই দেশ পাবে ন্যায়ভিত্তিক নেতৃত্ব ও সুশাসনের নিশ্চয়তা।

সব প্রার্থীর একই মঞ্চে বির্বাচণী ইজতেহার ঘোষণা এবং পোস্টার পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো সব প্রার্থীর জন্য একই মঞ্চে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করার বাধ্যবাধকতা রেখে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর জন্য ফআচরণ বিধিমালা, ২০২৫’ জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিধিমালাটি গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে।

এতে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ এবং ২০০৮ সালের আচরণবিধির সঙ্গে সমন্বয় রেখে বেশ কিছু নতুন ও কঠোর বিষয় যুক্ত করে এই আচরণবিধি প্রণয়ন করা হয়েছে।নতুন এই বিধিমালায় ভোটের প্রচারণায় প্রথমবারের মতো পোস্টার ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া ড্রোন ব্যবহার এবং বিদেশে যে কোনো ধরনের প্রচারণা কার্যক্রমেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ