আজঃ বুধবার ২৬ মার্চ, ২০২৫

তালা ঝুলিয়ে দিল টিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা

মো: গোলাম কিবরিয়া রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি

রাজশাহী সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসের নিচু জায়গা ভরাট করা নিয়ে বিরোধে রাজশাহী উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ৫ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে।

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট নামের প্রতিষ্ঠানটি রাজশাহী টিটি কলেজ ক্যাম্পাসের ভেতরে অবস্থিত। টিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা জায়গা ভরাটের বিরোধিতা করে আসছিলেন।

পুলিশ ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শিক্ষক কর্মকর্তারা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে টিচার্স ট্রেনিং কলেজের শিক্ষার্থীরা উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। এ সময় ঘটনাস্থলে তারা আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এতে আটকা পড়েন শতাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী।

আরএমপির রাজপাড়া থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ তাদের মূল একাডেমি ভবনের পাশের কিছু নিচু জায়গা ভরাট করছিলেন। তা দেখতে পেয়ে টিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা বাধা দেন।

বৃহস্পতিবার সকালে এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বাদানুবাদ হয়। এর জেরে টিচার্স ট্রেনিং কলেজের শিক্ষার্থীরা শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয় দেন। এতে শতাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তা ও প্রশিক্ষণার্থী আটকে পড়েন। খবর পেয়ে ক্যাম্পাসে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। তবে এ সময়ে জায়গা ভরাট কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ঘটনার বিষয়ে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ওয়াহেদুল কবীর সোহরাওর্দী বলেন, সরকারি সব বিধিবিধান মেনে শিক্ষা প্রকৌশল শাখার তত্ত্বাবধানে ঠিকাদারের মাধ্যমে ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে জায়গাটি ভরাটের কাজ চলছিল। অযোক্তিকভাবে টিটি কলেজের কিছু শিক্ষার্থী বাধা দেন। এটি একটি ন্যক্কারজনক কাজ। আমরা এর নিন্দা ও প্রতিবাদ করছি।

অন্যদিকে রাজশাহী টিসার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যক্ষ শওকত আলী খান বলেন, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের লোকজন তাদের উদ্দেশ্য করে গালাগালি ও অপমান সূচক কথা বলেছেন। এর প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছে।

জানা গেছে, দুই প্রতিষ্ঠানের বিরোধ নিস্পত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে টিটি কলেজ ক্যাম্পাসে যান রাজশাহী কলেজের উপাধ্যক্ষ ড. ইব্রাহিম আলী, রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সচিব শামীম আরা চৌধুরীসহ অনেকে।

তারা দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বক্তব্য শুনে বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। পরে বিকাল সাড়ে ৩টায় শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন।

রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সচিব শামীম আরা চৌধুরী বলেন, একই ক্যাম্পাসে দুটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। তাদের মধ্যে এই বিরোধ কাম্য নয়। আমরা সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

দূরপাল্লার বাস থামিয়ে চাঁদাবাজি, প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে বাস মালিক ও শ্রমিকরা । দূরপাল্লার বাস থামিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ তুলে ঢাকা কোচ মাস্টার বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের ডাকে এ অবরোধ পালন করে তারা। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুর দেড়টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকাসহ দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংগঠনটির সভাপতি রেজাউল করিম।

সংশ্লিষ্টরা জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের হরিপুরে চৌকি বসিয়ে সব রুটের দূরপাল্লার বাস থামিয়ে চাঁদা আদায় করছে বাস, মিনিবাস ও কোচ পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজন। কেউ চাঁদা দিতে না চাইলে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হচ্ছে। সোমবার (২৪ মার্চ) দিবাগত রাতে একতা পরিবহনের সুপার ভাইজার মো. রাজিব ইসলামকে মারধর করে ৩৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়। এ ঘটনায় থানায় ৮ জনের নামে অভিযোগ হয়। এরই জের ধরে সড়ক অবরোধ করে যানবাহন বন্ধ রাখা হয়।

দূরপাল্লার বাসের কর্মচারীদের সংগঠন ঢাকা কোচ মাস্টার বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি রেজাউল করিম বলেন, একটি সংগঠন সড়কে দাঁড়িয়ে চাঁদা তুলছে। এরই প্রতিবাদে আমরা ঢাকাসহ দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছিলাম। স্থানীয় প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয়া হয়েছে। সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে আবারও আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ বাস, মিনিবাস ও কোচ পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম জানান, আমরা জোর করে চাঁদাদাবি করছি না। আমরা ৩০ টাকা করে সার্ভিস চার্জ তুলে আসছি। এই টাকা দিয়ে সংগঠনটির শ্রমিকদের কল্যাণে কাজ করা হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মতিউর রহমান জানান, শ্রমিক ইউনিয়নের দুইটি পক্ষের মধ্যে চাঁদা উত্তোলন নিয়ে দ্বন্দ্ব হওয়ায় একটি পক্ষ সড়ক অবরোধ করে। পরে বিষয়টি সুরাহার আশ্বাস দিলে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

বাগমারায় প্রতিবন্ধিদের পাশে দাঁড়ালেন উপজেলা প্রশাসন।

রাজশাহীর বাগমারার সেই প্রতিবন্ধী পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে হুইল চেয়ার বিতরণের মাধ্যমে সহায়তা কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

প্রথম আলোর অনলাইনে ” স্বামী- স্ত্রীসহ ৮ সদস্যের পরিবারে ৬ জনই প্রতিবন্ধী” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি নজরে আসে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলামের। তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংবাদ কর্মীদের মাধ্যমে খোঁজ খবর নেন পরিবারটির। পরিবারের উপার্জনক্ষম স্বাভাবিক থাকা রেজাউল হককে নিজ দপ্তরে ডেকে পাঠান। তাঁর সঙ্গে কথা বলেন এবং মূল সমস্যাগুলো শোনেন। পরিবারের কয়েক সদস্যের হুইল চেয়ারের প্রয়োজন হওয়াতে দ্রুত তা দেওয়ার অঙ্গীকার করেন। এর প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সকালে পরিবারের প্রতিবন্ধী সদস্যদের প্রতিনিধি স্বাভাবিক রেজাউল হককে নিজ দপ্তরে ডেকে তাঁদের চলাচলের জন্য হুইল চেয়ার ও ট্রাইসাইকেল দেন। এছাড়াও একই সময়ে উপজেলার আরও ২৪জন প্রতিবন্ধীকে হুইল চেয়ার ও ছয়জনকে ট্রাইসাইকেল দেওয়া হয়। চেয়ার পেয়ে খুশি হন পরিবারের সদস্যরা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী খলিলুর রহমান, সমাজসেবা কর্মকর্তা আনিসুর রহমান। আরিকুল্লাহ বলেন, আগে ঘর ও বারান্দায় সময় কাটাতে হতো, চেয়ার পাওয়াতে আপাতত উঠান ও বাড়ির আশপাশে যেতে পারবো। নিজেও কিছু একটা কাজ করতে পারবো।

বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম জানান, তিনি পত্রিকার মাধ্যমে পরিবারের দুর্দশার কথা জেনেছেন। প্রাথমিক সহায়তা শুরু করা হলো। পরিবারের অসহায়ত্বের কথা ও দ্রুত প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে সহায়তা করা হবে। এছাড়াও আর্থিক সহায়তা করা হবে। স্থায়ী উপার্জনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।

আরিকুল্লাহ–রেজিয়া দম্পতির বাড়ি রাজশাহীর বাগমারার গনিপুর ইউনিয়নের মহব্বতপুর গ্রামে। তাঁরাসহ পরিবারের মোট সদস্য আটজন। তাঁদের মধ্যে ছয়জনই শারীরিক প্রতিবন্ধী। যদিও কেউই প্রতিবন্ধী হয়ে জন্মগ্রহণ করেননি। ১১-১২ বছর বয়সে এসে অসুস্থতা থেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন তাঁরা। এখন বিনা চিকিৎসায় আর খাবারের সংকটে কোনোমতে দিনযাপন করছেন। তাঁদের দেখভাল করা স্বাভাবিক থাকা ছেলে রেজাউল হক এখন পর্যন্ত বিয়েশাদি করেননি।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ