আজঃ শুক্রবার ২০ জুন, ২০২৫

চট্টগ্রাম বন্দরের প্রবেশপথে চালু হলো ডিজিটাল গেটপাস

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

চট্টগ্রাম বন্দরের প্রবেশপথে নগদ টাকায় নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে ‘গেট পাস’ সংগ্রহ করে যানবাহন প্রবেশের নিয়মে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর পরিবর্তে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে গেট ফি জমা দেয়ার পদ্ধতি চালু করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

ম্যানুয়ালের পরিবর্তে ‘অনলাইন গেট পাস সিস্টেম’ চালু হওয়ায় বন্দরের সংরক্ষিত এলাকায় চালকদের এখন গাড়ি নিয়ে গেটে বা সড়কে অপেক্ষমাণ থাকতে হবে না। এর ফলে বন্দর এলাকায় ও বিমানবন্দর সড়কে যানজট কমার পাশাপাশি আর্থিক ও সময় অপচয় রোধ হবে, যা পুরো বন্দরের কার্যক্রমকে গতিশীল করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের চার নম্বর গেট এলাকায় ‘অনলাইন গেট পাস সিস্টেম’ উদ্বোধন করেন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান।
এ সময় বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, ডিজিটাল গেট পাস একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। এটিতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে কাজের গতি অনেক বাড়বে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দরের কোন গেটে কতটি গাড়ি প্রবেশ করেছে, তা হিসেব রাখা এখন সহজ হয়ে যাবে। আগে এমন তথ্যগুলো আমাদের কাছে ছিলো না। মোবাইল অ্যাপের ড্যাশবোর্ডে দেখা যায়, কোন সময় গাড়ি বেশি প্রবেশ করছে। চালকরা তা দেখে যানজট না হয় মতো করে বন্দরে এসে দ্রুত তাদের কাজ সেরে চলে যেতে পারবেন। এতে বন্দরের পরিবহন বিভাগ আরো গতিশীল হবে।

এছাড়া অনলাইনে গেট পাস ইস্যুর ফলে চট্টগ্রাম বন্দর কেন্দ্রিক যানজট বহুলাংশে কমে আসবে। বন্দরের অ্যাফিশিয়েন্সি বাড়বে। জাহাজের টার্ন অ্যারাউন্ড টাইম কমে যাবে। কার্গো হ্যান্ডেলিং ফাস্ট হবে। তারপর কার্গো ও কনটেইনার হ্যান্ডেলিংয়ে গতি পাবে। তাই এ সার্ভিস সার্বক্ষণিক মেইনট্যানেন্সের জন্য একটি টিম কাজ করবে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতিদিন গড়ে পাঁচ থেকে ছয় হাজার গাড়ি প্রবেশ করে।

এসব গাড়ির প্রতিটিকেই গেট পাস সংগ্রহ করে বন্দরের সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশ করতে হয়। এখন ডিজিটাল গেট পাস অ্যাপ চালু হওয়ায় প্রতিটি গাড়ি ফি বাবদ অনলাইনে ৫৭ টাকা ৫০ পয়সা পরিশোধ করে বন্দরে প্রবেশ করতে পারবে। এতে প্রতিটি গাড়ির ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় বাঁচবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

আমদানি করা ফলের চাইতে দেশীয় ফলের পুষ্টি গুণ অনেক বেশি।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব আয়োজিত ফল উৎসবে একুশে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক বলেছেন, আমদানি করা ফলের চাইতে দেশীয় ফলের পুষ্টি গুণ অনেক বেশি। বর্তমান প্রজন্মের নাগরিক বিশেষ করে শহুরে বাসিন্দারা দেশের অনেক ফলের সাথে

অপরিচিত। নতুন প্রজন্মকে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ দেশি ফলের সাথে পরিচিত করা এবং খাওয়ার ব্যপারে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। একইসঙ্গে সকলকে সাধ্যমতো ফলের গাছ লাগাতে হবে। এতে করে একদিকে যেমন দেশের ফলের চাহিদা পূরণ হবে, অন্যদিকে পরিবেশের ভারসাম্যও বজায় থাকবে।

আজ ১৯ জুন বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব আয়োজিত ফল উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি’র সভাপতিত্বে উৎসবে বিশেষ অতিথি ছিলেন কমনওয়েলথ জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সভাপতি ওসমান গনি মনসুর।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি বলেন, ক্লাবের সদস্যদের সন্তানদেরকে আবহমান বাংলার মৌসুমি ফলের পরিচয় করিয়ে দিতে ও ফল খাওয়ার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে এই ফল উৎসব আয়োজন করা হয়।

প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সদস্য মিয়া মোহাম্মদ আরিফ এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সিনিয়র সদস্য এন টিভির চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান শামসুল হক হায়দরী, প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত, দৈনিক কালের কণ্ঠ চট্টগ্রামের ব্যুরো প্রধান মুস্তফা নঈম এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এক সময় দেশের গ্রামে গঞ্জে বিভিন্ন ধরনের ফল পাওয়া যেতো। কালের পরিক্রমায় বহু ফল হারিয়ে যাচ্ছে। দেশীয় পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফলের জায়গায় এখন আমদানি করা ফল বাজার দখল করে নিয়েছে। দেশের বিলুপ্তপ্রায় ফলগুলো কিভাবে আবার ফিরিয়ে আনা যায় সে বিষয়ে দেশের কৃষি গবেষণা বিভাগের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এতে করে পুষ্টিগুণের পাশাপাশি এসব ফলের সাথে আমাদের নতুন প্রজন্ম পরিচিত হতে পারবে।

প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে প্রথমবারের মতো আয়োজিত দেশি ফলের উৎসবে প্রেস ক্লাবের সদস্যদের পরিবার সন্তান ও অভিভাবকরা স্বত:স্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।

ফল উৎসবে আম, কাঁঠাল, কলা, আনরারস, জাম, লিচু , লটকন, বত্তা বা ডেউয়া, পানিগোটাসহ বিভন্ন – রকমের দেশীয় ফল স্থান পায়। অনুষ্ঠানে সদস্যদের সন্তানদেরকে পরিচয় করানো হয় সবগুলো ফলের সঙ্গে। কোন ফলের কী উপকারিতা তাও তুলে ধরা হয় আলোচনায়।

চট্টগ্রামে রাস্তা পার হতে গিয়ে গাড়ির ধাক্কায় যুবক নিহত।

চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ থানাধীন এলাকায় অজ্ঞাতনামা গাড়ির ধাক্কায় রিয়াদ (২০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ভোররাত সাড়ে ৪টায় বালুচরা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রামে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশেক বলেন, ভোররাতে বালুচরায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত এক যুবককে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ভোররাতে রাস্তা পারাপারের সময় অজ্ঞাতনামা গাড়ির ধাক্কায় একজন আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ