
চট্টগ্রামের আলোচিত সন্ত্রাসী আলী আকবর ওরফে ঢাকাইয়া আকবর হত্যাকাণ্ডে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭ ও পুলিশ। এরা হল, মো. আলভীন ও ওসমান আলী। এর মধ্যে আলভীন চান্দগাঁও থানা এলাকার ফরিদাপাড়ার জসিমের ছেলে ও বিদেশে পালিয়ে থাকা পলাতক চট্টগ্রামের এইট মার্ডার মামলার আসামি সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলী ওরফে বড় সাজ্জাদের ভাগ্নে। তবে সাজ্জাদ আলীর ভাই ওসমান আলীকে গ্রেপ্তার করে পতেঙ্গা থানা পুলিশ।
ওসমান আলীকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম। গত সোমবার ১১টায় নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) এ আর মোজাম্মেল জানান, গোপন খবরের ভিত্তিতে রাত সোয়া ১১টায় চান্দগাঁও থানাধীন সিডিএ এলাকা থেকে ঢাকাইয়া আকবর হত্যায় অভিযুক্ত আলভীনকে গ্রেফতার করা হয়।

এর আগে শুক্রবার (২৩ মে) রাত ৮টার দিকে নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকার পশ্চিম পয়েন্টের ২৮ নম্বর দোকানের সামনে আড্ডারত অবস্থায় ঢাকাইয়া আকবরকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরবর্তীতে রবিবার (২৫ মে) সকাল ৮টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জানা যায়, ঢাকাইয়া আকবর বড় সাজ্জাদের অনুসারী ছিলেন। নানান কারণে কয়েকবছর আগে থেকে সাজ্জাদের সঙ্গে তার বিরোধ হয়। এটি নিয়ে আকবরের সঙ্গে বড় সাজ্জাদের অনুসারী বর্তমানে কারাগারে থাকা ছোট সাজ্জাদের সঙ্গে তার দূরত্ব ছিল৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী তামান্না শারমিন দেখে নেওয়ার হুমকি দিতেন আকবরকে। আকবরও ছোট সাজ্জাদ ও তামান্নাকে কটূক্তি করে ভিডিও দিতেন।

এদিকে আকবর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নগরীর পতেঙ্গা থানায় সোমবার মামলা রেকর্ড হয়েছে। আকবরের স্ত্রী রূপালী বেগম বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করেছেন। এছাড়া মামলায় ২ থেকে ৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।













