আজঃ শনিবার ১৫ নভেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রামে ঢাকাইয়া আকবর খুনের ঘটনায় ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদের ভাই ও ভাগ্নে গ্রেফতার

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

চট্টগ্রামের আলোচিত সন্ত্রাসী আলী আকবর ওরফে ঢাকাইয়া আকবর হত্যাকাণ্ডে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭ ও পুলিশ। এরা হল, মো. আলভীন ও ওসমান আলী। এর মধ্যে আলভীন চান্দগাঁও থানা এলাকার ফরিদাপাড়ার জসিমের ছেলে ও বিদেশে পালিয়ে থাকা পলাতক চট্টগ্রামের এইট মার্ডার মামলার আসামি সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলী ওরফে বড় সাজ্জাদের ভাগ্নে। তবে সাজ্জাদ আলীর ভাই ওসমান আলীকে গ্রেপ্তার করে পতেঙ্গা থানা পুলিশ।

ওসমান আলীকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম। গত সোমবার ১১টায় নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) এ আর মোজাম্মেল জানান, গোপন খবরের ভিত্তিতে রাত সোয়া ১১টায় চান্দগাঁও থানাধীন সিডিএ এলাকা থেকে ঢাকাইয়া আকবর হত্যায় অভিযুক্ত আলভীনকে গ্রেফতার করা হয়।

এর আগে শুক্রবার (২৩ মে) রাত ৮টার দিকে নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকার পশ্চিম পয়েন্টের ২৮ নম্বর দোকানের সামনে আড্ডারত অবস্থায় ঢাকাইয়া আকবরকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরবর্তীতে রবিবার (২৫ মে) সকাল ৮টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

জানা যায়, ঢাকাইয়া আকবর বড় সাজ্জাদের অনুসারী ছিলেন। নানান কারণে কয়েকবছর আগে থেকে সাজ্জাদের সঙ্গে তার বিরোধ হয়। এটি নিয়ে আকবরের সঙ্গে বড় সাজ্জাদের অনুসারী বর্তমানে কারাগারে থাকা ছোট সাজ্জাদের সঙ্গে তার দূরত্ব ছিল৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী তামান্না শারমিন দেখে নেওয়ার হুমকি দিতেন আকবরকে। আকবরও ছোট সাজ্জাদ ও তামান্নাকে কটূক্তি করে ভিডিও দিতেন।

এদিকে আকবর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নগরীর পতেঙ্গা থানায় সোমবার মামলা রেকর্ড হয়েছে। আকবরের স্ত্রী রূপালী বেগম বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করেছেন। এছাড়া মামলায় ২ থেকে ৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

গীতিকবি এম আর মনজু’র ৭০ তম জন্মদিন।

কবি , গীতিকার, সংগঠক , সমাজসেবী, শিশুসাহিত্যিক এম. আর. মনজুর ৭০ তম জন্মদিন পালিত হয়ে গেল ১০ নভেম্বর ২০২৫। সত্যকে সত্য আর মিথ্যাকে মিথ্যা বলার অদম্য ক্ষমতা সম্পন্ন সাহসী মানুষ কবি এম আর মনজু । একজন গানের মানুষ সুরের মানুষ তিনি । একাধারে কবি, গীতিকার, ছড়াকার ও সংগঠক । এম আর মনজুর পুরো নাম মাকসুদুর রহমান মনজু । জন্ম ১০ নভম্বর ১৯৫৬, তার পিতার কর্মস্থল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার নয়াপুর গ্রামেই। স্থায়ী নিবাস গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার মৈশন গ্রামে। বড় বোন নাহার খন্দকারের দেখাদেখি ছোটবেলা থেকেই লেখালেখির সাথে যুক্ত হন । তার প্রথম লেখা প্রকাশ পায় ১৯৭৩ সালে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থেকে প্রকাশিত কাকলি নামক ছড়া সংকলনে । এরপর থেকেই নিয়মিত বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তার লেখা ছড়া কবিতা প্রকাশ হতে থাকে । এছাড়া তার লেখা অসংখ্য গান বিভিন্ন শিল্পীদের কণ্ঠে প্রচার হয় বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনে । ১৯৯৩ সালে সর্বপ্রথম তার লেখা গান মানবজনমে আর হবে না বিশিষ্ট সুরকার আবু তাহের চিশতীর সুরে শিল্পী মিনা বড়ুয়ার কণ্ঠে রেকর্ড করে প্রচার করা হয় । সাম্য দর্শন এই গানের মানুষটি গান, কবিতা ও ছড়া রচনায় এ পর্যন্ত শতাধিক পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন দেশে বিদেশে এ। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভারতের কলকাতা থেকে পশ্চিমবঙ্গের অতন্দ্র সংগঠনের কবি গোবিন্দ হালদার স্মৃতি পদক-২০০৯, ভারতের চব্বিশ পরগনা থেকে আলো আভাষ সাহিত্য সম্মাননা, নেপালের ক্রিয়েটিভ রাইটার্স সম্মাননা এবং বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পদক , ভাসানি স্মৃতি পদক ,জিয়া সাহিত্য পদক,সরগম ললিত কলা একাডেমী সম্মাননা,কবি সংসদ বাংলাদেশ সম্মাননা পদক,মায়ের আঁচল সম্মাননা পদক এবং শুভজন গুণীজন সম্মাননা পদকসহ আরও অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা । বাংলাদেশ রোদসী কৃষ্টিসংসারের অন্যতম উপদেষ্টা কবি এম আর মনজু”র বিভিন্ন সাহিত্য রচনার মধ্যে সময়ের কাছে নামক একটি কবিতার বই, হাউ কাউ , কড়রা কড়রা ছড়া , কাড়াকাড়ি , ও রোমান্টিক ছড়ার বই সন্ত্রাসী বউ এবং লক্ষ্মী বউ সহ ৭ টি ছড়ার বই এবং শিশুদের জন্য গল্পের বই ‘বাজারের ব্যাগ’সহ মোট ৯ টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে । কবি ও ছড়াকার এম আর মনজু একসময় স্বনামধন্য পত্রিকা দৈনিক আজদের সাহিত্য সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন । একই পদে ছিলেন দৈনিক জনপদ ও দৈনিক সমাচার পত্রিকায় এবং দৈনিক সমাচারের শিশুদের পাতা ফুলকলিদের আসর এর পরিচালক ছিলেন তিনি ।তাছাড়া দৈনিক আজাদ পত্রিকার শিশুদের পাতা মুকুলের মাহফিল এর পরিচালক হিসাবে দীর্ঘদিন ।যেটির সর্বপ্রথম পরিচালক ছিলেন আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন । বর্তমানে এম আর মনজু জাতীয় গীতিকবি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং এম আর মনজু সাংস্কৃতিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন । একই সাথে শুদ্ধ ধারার সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের সংগঠন শুভজনের সাংগঠনিক উপদেষ্টা এবং মায়ের আঁচল এর উপদেষ্টা। তিনি সাহিত্য সাংস্কৃতিক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান সাউন্ডবাঙলার প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ছিলেন । বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের গীতিকার, ছড়াকার এম আর মনজু’র সাহিত্য ও গান রচনায় অনুপ্রেরনা যুগিয়েছেন তার মা মরহুমা রাবিয়া খাতুন , বাবা মরহুম সাহাবুদ্দিন এবং বড় বোন নাহার খন্দকার । আর বর্তমানে তাকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করে চলছেন তার জীবনসঙ্গিনী মমতাজ রহমান।

ছড়া ও ছন্দের মানুষ এম আর মনজু’র ৭০তম জন্মদিনের তাঁকে কথা কবিতা গানে আনুষ্ঠানিক শুভেচ্ছা জানাবে কবি সংসদ বাংলাদেশ,বাংলাদেশ রোদসী কৃষ্টিসংসার , জাতীয় কবিতা পরিষদ ভোলা , জলসিঁড়ি সাহিত্য আসর সহ বিভিন্ন সংগঠন।কবি ও কবিতার জয় হোক । জীবন সুন্দর হোক রজনীগন্ধা ফুলের মতোন ।

নেত্রকোনা গাঁজাসহ ২ মাদক কারবারি গ্রেফতার

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থেকে ১২ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।এরআগে গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে পৌরশহরে চেকপোস্ট বসিয়ে তলাশি করার সময় ওই দুইজনকে গাঁজাসহ গ্রেফতার করা হয়।মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেফতাররা হলেন— হবিগঞ্জ জেলার মাদবপুর এলাকার অন্তু সাঁওতাল (২৫) ও মো. আব্দুল করিম (১৮)।পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে পৌরশহরের স্টেশনরোড এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে সন্দেহজনক যানবাহন তল্লাশি করছিলেন এসআই মো. রবিউল আওয়ালের নেতৃত্বে একদল পুলিশ। এসময় যাত্রীবেশে থাকা ওই দুই যুবকের ব্যাগ তল্লাশি করে ১২ কেজি গাঁজা পাওয়া যায়। পরে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় ওই দুই যুবকের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দেওয়া হয়েছে। আজ সকালে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ছবি যুক্ত,
মোঃ নূর উদ্দিন মন্ডল দুলাল
নেত্রকোনা।
১২ নভেম্বর ২৫
০১৭১১০০১৭১৯

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ