আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

আমরা চাই একটি ঐক্যবদ্ধ বিএনপি,

ভেদাভেদ ভুলে বিএনপিকে জয়ী করতে কাজ করতে হবে: চসিক মেয়র

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সব ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে বিএনপিকে নির্বাচিত করার মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্রের পথে প্রত্যাবর্তনের জন্য সবাইকে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন।

তিনি বলেন, গত শুক্রবার তারেক রহমান ও অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের মধ্যে অনুষ্ঠিত সৌহার্যপূর্ণ বৈঠক থেকে আমরা একটি স্পষ্ট রাজনৈতিক বার্তা পেয়েছি, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে একটি গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের পথ সুস্পষ্ট হয়েছে।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সব ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে নির্বাচিত করার মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্রের পথে প্রত্যাবর্তনের জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে। বিএনপির নেতৃত্বে সুরক্ষিত করতে হবে দেশের সার্বভৌমত্ব। ফিরিয়ে দিতে হবে জনগণের প্রাপ্য অধিকার ও মর্যাদা।

তিনি শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগরের লাভ লেইনস্থ স্মরণিকা কমিউনিটি সেন্টারে পবিত্র ঈদুল আজহা পরবর্তী তার পক্ষ থেকে নগরবাসীর জন্য আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
এতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, চট্টগ্রামের সাংবাদিক, চিকিৎসক, শিক্ষক, ইঞ্জিনিয়ার সহ বিভিন্ন সম্প্রদায় ও শ্রেনী পেশার মানুষ, চট্টগ্রামের বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী এবং সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

আগত অতিথিদের জন্য চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবানের আয়োজন করা হয় এবং অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়। হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে এই অনুষ্ঠানটি মিলন মেলায় পরিণত হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের রুহের মাগফিরাত কামনা, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন, গিয়াস উদ্দীন কাদের চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. সুকোমল বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, মহানগর বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য শামসুল আলম, হোম্মাম কাদের চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি, সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের সদস্য সচিব ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী, বার কাউন্সিলের সাবেক সদস্য এড. বদরুল আনোয়ার।

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, গত ১৬ বছর ধরে হাজারো নেতাকর্মী মামলা হামলা নিপীড়ন সহ্য করে বিএনপির গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অনড় থেকেছেন। কেউ আওয়ামী লীগে যোগ দেয়নি। সেই আত্মত্যাগী নেতাকর্মীরাই আগামী দিনে নেতৃত্বে আসবেন।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর যারা দলে এসেছে এবং বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে, তাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। যারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, এমন প্রমাণ থাকলে তাদেরকে পদ থেকে বাদ দিতে হবে। বিএনপিকে শক্তিশালী করতে হলে তৃণমূলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে। কারো বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্টতার কোন প্রমাণ যদি থাকে আপনারা সেটি কেন্দ্রীয় দপ্তরে এবং মহানগর দপ্তরে জমা দিবেন। আমরা বলতে চাই যে ১৬ বছরে যারা আন্দোলন সংগ্রাম করেছে তারাই পদ পাবে। কেউ উড়ে এসে জুড়ে বসলে তাকে আমরা ছুঁড়ে ফেলব।

তিনি বলেন, আমরা চাই একটি ঐক্যবদ্ধ বিএনপি, যেখানে জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে দুর্নীতিমুক্ত, সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার ১৯ দফার পথ ধরে বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে আমরা এই লক্ষ্য অর্জন করব। গত ১৬টি বছর বিএনপির ওপর যে অত্যাচার নির্যাতন হয়েছে তার জবাব আমরা দিব ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে।
উপস্থিত ছিলেন চবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. ছিদ্দিক আহমেদ চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক এনাম, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, কাজী বেলাল উদ্দিন,

সফিকুর রহমান স্বপন, হার“ন জামান, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, শাহ আলম, আর ইউ চৌধুরী শাহিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আহম্মেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. এনামুল হক, চমেক ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. জসিম উদ্দিন, জেলা ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিক, এ্যাব চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সেলিম মো. জানে আলম, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আহবায়ক এড. তারেক আহমেদ, মহানগর বিএনপির সদস্য এড. মফিজুল হক ভূঁইয়া, ইসকান্দর মির্জা, মো. মহসিন, খোরশেদুল আলম, গাজী সিরাজ উল্লাহ, মো. কামর“ল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন লিপু, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুনসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতৃবৃন্দ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান জামায়াতে যোগ দিলেন

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জামায়াতে যোগ দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াত আমিরের উপস্থিতিতে মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি সংগঠনের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের বর্ণাঢ্য আয়োজন।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

যথাযথ মর্যাদা ও উৎসবমূখর পরিবেশে আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানের কর্মসূচীতে রয়েছে-১৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে কাট্টলীস্থ’ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে (ডিসি পার্কের দক্ষিণ পার্শ্বে) ৩১ বার তোপধ্বনি ও পুস্পস্তবক অর্পণ, সকল সরকারী-বেসরকারী, আধা-সরকারী ও বেসরকারী ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম জেলা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে মহান বিজয় দিবসের শুভ উদ্বোধন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদেও সমাবেশ, কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শন।

ঐদিন সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গনে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ পরিবার ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সম্মানে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠান। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিতব্য মহান বিজয় দিবস ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দীন।

বিশেষ অতিথি থাকবেন চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ আহসান হাবীব পলাশ ও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন। বেলা ১২টায় সিনেমা হলসমূহে বিনা টিকেটে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চল”িচত্র প্রদর্শনী, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মিলনায়তনে বা উন্মুক্ত ¯’ানে ব¯‘ুনিষ্ট ও নৈর্ব্যত্তিক মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্য চল”িচত্র প্রদর্শনী। এছাড়া বিজয় দিবসের দিন সুবিধাজনক সময়ে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদেও বিদেহী আত্মার মাগফেরাত,

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বা¯’্য, জাতির শান্তি-সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোড়া ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত/প্রার্থনা, জেলা পর্যায়ে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া অনুষ্ঠান, টি-২০ ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট, প্রদর্শনী ফুটবল ম্যাচ, কাবাডি, হা-ডু-ডু ইত্যাদি খেলার আয়োজন। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে সুবিধাজনক সময়ে শিশুদের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক রচনা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দুপুর দেড়টায় হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা, ডে-কেয়ার, শিশু বিকাশ কেন্দ্র, শিশু পরিবার, পথশিশু পুনর্বাসন কেন্দ্র, প্রতিবন্ধী কর‌্যাণ কেন্দ্র, শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র ও ভবঘুরে পুনর্বাসন কেন্দ্রসমূহে প্রীতিভোজের আয়োজন।

দিনব্যাপী শিশু পার্ক, ডিসি পার্ক, জাদুঘর ও চিড়িয়াখানা শিশুদের জন্য সকাল-সন্ধ্যা উন্মুক্ত রাখা ও বিনা টিকেটে প্রদর্শনীর ব্যবস্থাকরণ, পর্যটন কেন্দ্রে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং ডিশ ক্যাবল অপারেটর/ মালিকগণ কর্তৃক মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচিত্র প্রদর্শন। ১৫-১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান/ স্থাপনায় আলোকসজ্জাকরণ এবং মহান বিজয় দিবসের পরদিন ১৭ ডিসেম্বর বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় ‘চট্টগ্রাম হানাদার মুক্ত দিবস পালন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও সর্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ