আজঃ বুধবার ১৬ জুলাই, ২০২৫

আমরা চাই একটি ঐক্যবদ্ধ বিএনপি,

ভেদাভেদ ভুলে বিএনপিকে জয়ী করতে কাজ করতে হবে: চসিক মেয়র

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সব ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে বিএনপিকে নির্বাচিত করার মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্রের পথে প্রত্যাবর্তনের জন্য সবাইকে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন।

তিনি বলেন, গত শুক্রবার তারেক রহমান ও অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের মধ্যে অনুষ্ঠিত সৌহার্যপূর্ণ বৈঠক থেকে আমরা একটি স্পষ্ট রাজনৈতিক বার্তা পেয়েছি, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে একটি গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের পথ সুস্পষ্ট হয়েছে।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সব ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে নির্বাচিত করার মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্রের পথে প্রত্যাবর্তনের জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে। বিএনপির নেতৃত্বে সুরক্ষিত করতে হবে দেশের সার্বভৌমত্ব। ফিরিয়ে দিতে হবে জনগণের প্রাপ্য অধিকার ও মর্যাদা।

তিনি শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগরের লাভ লেইনস্থ স্মরণিকা কমিউনিটি সেন্টারে পবিত্র ঈদুল আজহা পরবর্তী তার পক্ষ থেকে নগরবাসীর জন্য আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
এতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, চট্টগ্রামের সাংবাদিক, চিকিৎসক, শিক্ষক, ইঞ্জিনিয়ার সহ বিভিন্ন সম্প্রদায় ও শ্রেনী পেশার মানুষ, চট্টগ্রামের বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী এবং সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

আগত অতিথিদের জন্য চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবানের আয়োজন করা হয় এবং অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়। হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে এই অনুষ্ঠানটি মিলন মেলায় পরিণত হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের রুহের মাগফিরাত কামনা, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন, গিয়াস উদ্দীন কাদের চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. সুকোমল বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, মহানগর বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য শামসুল আলম, হোম্মাম কাদের চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি, সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের সদস্য সচিব ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী, বার কাউন্সিলের সাবেক সদস্য এড. বদরুল আনোয়ার।

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, গত ১৬ বছর ধরে হাজারো নেতাকর্মী মামলা হামলা নিপীড়ন সহ্য করে বিএনপির গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অনড় থেকেছেন। কেউ আওয়ামী লীগে যোগ দেয়নি। সেই আত্মত্যাগী নেতাকর্মীরাই আগামী দিনে নেতৃত্বে আসবেন।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর যারা দলে এসেছে এবং বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে, তাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। যারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, এমন প্রমাণ থাকলে তাদেরকে পদ থেকে বাদ দিতে হবে। বিএনপিকে শক্তিশালী করতে হলে তৃণমূলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে। কারো বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্টতার কোন প্রমাণ যদি থাকে আপনারা সেটি কেন্দ্রীয় দপ্তরে এবং মহানগর দপ্তরে জমা দিবেন। আমরা বলতে চাই যে ১৬ বছরে যারা আন্দোলন সংগ্রাম করেছে তারাই পদ পাবে। কেউ উড়ে এসে জুড়ে বসলে তাকে আমরা ছুঁড়ে ফেলব।

তিনি বলেন, আমরা চাই একটি ঐক্যবদ্ধ বিএনপি, যেখানে জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে দুর্নীতিমুক্ত, সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার ১৯ দফার পথ ধরে বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে আমরা এই লক্ষ্য অর্জন করব। গত ১৬টি বছর বিএনপির ওপর যে অত্যাচার নির্যাতন হয়েছে তার জবাব আমরা দিব ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে।
উপস্থিত ছিলেন চবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. ছিদ্দিক আহমেদ চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক এনাম, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, কাজী বেলাল উদ্দিন,

সফিকুর রহমান স্বপন, হার“ন জামান, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, শাহ আলম, আর ইউ চৌধুরী শাহিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আহম্মেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. এনামুল হক, চমেক ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. জসিম উদ্দিন, জেলা ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিক, এ্যাব চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সেলিম মো. জানে আলম, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আহবায়ক এড. তারেক আহমেদ, মহানগর বিএনপির সদস্য এড. মফিজুল হক ভূঁইয়া, ইসকান্দর মির্জা, মো. মহসিন, খোরশেদুল আলম, গাজী সিরাজ উল্লাহ, মো. কামর“ল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন লিপু, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুনসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতৃবৃন্দ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

শেখ ফয়সালের স্বপ্ন ছোঁয়ার শুরু গোল্ডেন দিয়ে

নিয়মিত অধ্যয়ন, একাগ্রতা আর স্বপ্ন দেখার সাহস—এই তিনটি বিষয়কে পাথেয় করে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র শেখ ফয়সাল ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ এবং ১৩০০ নম্বরের মধ্যে ১২৪৬ পেয়ে ব্যতিক্রমী কৃতিত্ব অর্জন করেছে।

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এই পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞানসহ সব বিষয়ে ফয়সাল A+ (অর্থাৎ ৮০-এর বেশি নম্বর) পেয়েছে। গণিতে তার নম্বর ৯৮, পদার্থবিজ্ঞানে ৯৯, রসায়ন ও উচ্চতর গণিতে ১০০ করে—প্রতিটি বিষয়ের ফলাফলে নিখুঁত স্থিরতা দেখা গেছে।

ফয়সালের বাবা শেখ ফারিদ, বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে কর্মরত। মা তোহমিনা আক্তার একজন গৃহিণী।পিতা শেখ ফারিদ বলেন, আমরা সীমিত সামর্থ্য নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখেছি। ফয়সালের সাফল্য আমাদের জন্য বিরাট আনন্দ।

মা তোহমিনা আক্তার বলেন, “ফয়সাল ছোটবেলা থেকেই বইপাগল। পড়াশোনার বাইরে সময় কাটে জ্ঞানের খোঁজে। ওর এই আগ্রহ আমাদের আশীর্বাদ মনে হয়।ফয়সালের স্বপ্ন একজন গবেষক বিজ্ঞানী হওয়া।আমি এমন কিছু উদ্ভাবন করতে চাই যা মানুষের জীবনকে সহজ করবে—বিশেষ করে পরিবেশ, কৃষি ও স্বাস্থ্য খাতে,”—বলেছে ফয়সাল।

তার প্রিয় বিষয় পদার্থবিজ্ঞান ও গণিত। সে বিজ্ঞানভিত্তিক ডকুমেন্টারি দেখে, অনলাইন কোর্স করে এবং আন্তর্জাতিক অলিম্পিয়াডের প্রস্তুতিও নিচ্ছে।অধ্যয়ন অভ্যাস ও সময় ব্যবস্থাপনা

ফয়সালের প্রতিদিনের রুটিন সময়মাফিক ও নিয়মানুবর্তী। দিনে অন্তত ৬ ঘণ্টা লেখাপড়ায় সময় দেয়, আর প্রতি সপ্তাহে একটি দিন শুধুই নিজের মানসিক চর্চা ও জ্ঞানভিত্তিক বইপড়ায় ব্যয় করে।

সে বলে, সোশ্যাল মিডিয়ার চেয়ে বইয়ের ঘ্রাণ বেশি ভালো লাগে। প্রতিটি বিষয়ে বুঝে পড়ি—মুখস্থের উপর নির্ভর করি না।কলেজিয়েট স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, “ফয়সাল পরিশ্রমী ও শৃঙ্খলাপরায়ণ। ওর মতো ছাত্র একটা প্রতিষ্ঠানের গর্ব। আমরা বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতে সে দেশের সম্পদে পরিণত হবে।

ফয়সালের ইচ্ছা ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ বা নটর ডেম কলেজে ভর্তি হয়ে উচ্চশিক্ষার যাত্রা শুরু করা। এরপর তার লক্ষ্য বুয়েট বা আন্তর্জাতিক কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ও গবেষণা নিয়ে পড়াশোনা করা।আমি শুধু নিজের জন্য নয়, দেশের জন্য কিছু করতে চাই,”—জানায় শেখ ফয়সাল।

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে পরিবার পরিকল্পনা সেবা বেগবান করতে হবে।

চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) শারমিন জাহান বলেছেন, পরিকল্পিত জনসংখ্যা উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের অন্যতম হাতিয়ার। সীমিত সম্পদের মধ্যে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সর্বত্র সচেতনতা তৈরী জরুরী। সুস্থ-সবল জীবন গড়তে হলে কৈশোরে গর্ভধারণ থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত জনসংখ্যার বিস্ফোরণ ঠেকাতে সরকার পরিবার-পরিকল্পনা কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করতে সময়োপযোগী উদ্যোগ নিয়েছেন।

প্রাপ্ত বয়সে অনেকে সন্তান নিতে অনীহা প্রকাশ করে, আবার কেউ কেউ দু’য়ের অধিক সন্তান নেয়-এ বিষয়টি নজরে আনা প্রয়োজন। ছেলে হোক আর মেয়ে হোক, দু’টি সন্তানের বেশী নয়, একটি হলে ভালো হয়। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে সাম্যের ভিত্তিতে পরিবার পরিকল্পনা সেবা আরও বেগবান করতে হবে। বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ১১ জুলাই উপলক্ষে সোমবার সকাল ১১টায় নগরীর আগ্রাবাদস্থ চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় কর্তৃক সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল-‘ন্যায্য ও সম্ভাবনাময় বিশ্বে পছন্দের পরিবার গড়তে প্রয়োজন তারুণ্যের ক্ষমতায়ন’।

সভার শুরুতে বেলুন উড়িয়ে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের শুভ উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। অনুষ্ঠানে পরিবার পরিকল্পনা সেবায় বিভাগীয় পর্যায়ে বান্দরবানে রুমা উপজেলা পরিষদ ও জেলা পর্যায়ে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলা পরিষদ শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার গ্রহণ করেন।আলোচনা সভায় অন্যান্য অতিথিবৃন্দরা বলেন, নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারীর বিকল্প নেই। কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর দক্ষতা বাড়াতে বর্তমান সরকার নানাবিধ প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তির ব্যবহারে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছেন। সরকারী-বেসরকারী চাকুরিতে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের অংশগ্রহণের হার অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে পরিণত করতে হবে।

পাশাপাশি সুস্থ ও সবল জাতি গঠনে সংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারী। গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার পরিকল্পনায় সচেতনতা বাড়াতে নিরলসভাবে কাজ করার কারণে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে।

বক্তারা বলেন, নারীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের সকলকে আন্তরিক হতে হবে। পরিবার পরিকল্পনা সেবা আরও বেগবান করতে অবকাঠামো উন্নয়ন ও আধুনিকায়নসহ লজিস্টিক সাপোর্ট বৃদ্ধি করতে হবে। নিরাপদ প্রসবসেবা, প্রসব পরবর্তী সেবা সমূহ আরও গতিশীল করতে হবে।
নিরাপদ প্রসবসেবা, প্রসব পরবর্তী সেবা সমূহ আরও গতিশীল করতে হবে। পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে জনবল ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ বলেন, যন্ত্রপাতি সংকট সত্ত্বেও সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে।

এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে সাধারণ সেবা গ্রহীতাদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতসহ প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারীর হার বৃদ্ধি করতে হবে। মাঠ পর্যায়ে নিরাপদ সেবা দেয়ার জন্য কিভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারি সে ব্যাপারে পলিসি নিতে হবে। মানসম্মত পরিবার পরিকল্পনা সেবা নিশ্চিত করা গেলে সফলতা অবশ্যই আসবে।
অনুষ্ঠানে পরিবার পরিকল্পনা সেবা, প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারী ও অন্যান্য সেবার বিশেষ অবদানের জন্য বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে ১০ ক্যাটাগরিতে সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের মোট ২০ জন কর্মী ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা স্মারক-ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করেন প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।

পরিবার পরিকল্পনা চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক আবু সালেহ মোঃ ফোরকান উদ্দীনের সভাপতিত্বে, জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক লিকসন চৌধুরী ও ডা. সোমা চৌধুরীর যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক বেগম সাহান ওয়াজ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. অং সুই প্রু মারমা, রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিসান বিন মাজেদ, পিডিবি’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কে এম এম মামুনুর বাশরী, জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সাবেক উপ-পরিচালক সুব্রত কুমার চৌধুরী, ডা. উ খ্যে উইন, এম এম এরশাদ।

বক্তব্য রাখেন পরিবার পরিকল্পনা চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (সিসি) ডা. শামীমা হাসনাত, সহকারী পরিচালক (পোর্ট ক্লিয়ারেন্স) লোকমান হোসাইন ও অসরকারী উন্নয়ন সংস্থা মমতা’র সিনিয়র পরিচালক স্বপ্না তালুকদার।
অনুষ্ঠানে পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়, অসরকারী উন্নয়ন সংস্থা মমতা, এফপিএবি, মেরীস্টোপস, বিএভিএস, ঘাসফুল, ইমেজ, ছায়াপথ, আর.এইচ.স্টেপ, বোয়ালখালী মা ও শিশু কল্যাণ সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

 

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ