আজঃ সোমবার ১৭ নভেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহে সংকট, পূর্বনির্দেশনা ছাড়াই সরবরাহ বন্ধ থাকায় মানুষ ক্ষুব্ধ।

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

বন্দর নগরী চট্টগ্রাম জুড়ে গ্যাস সরবরাহে মারাত্মক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। অধিকাংশ আবাসিক এলাকায় গত দুই দিন ধরে গ্যাস সরবরাহ প্রায় বন্ধ আছে। শিল্প-কারখানাগুলোও গ্যাস পাচ্ছে না।বৈরী আবহাওয়ার কারণে জাতীয় গ্রিড থেকে গ্যাস সরবরাহ হ্রাস পাওয়ায় চট্টগ্রামের নগরবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। পূর্বনির্দেশনা ছাড়াই হঠাৎ গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই গ্যাস না থাকায় রান্নাবান্না বন্ধ রয়েছে। এতে অনেকেই সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবারের জন্য বাধ্য হয়ে চায়ের দোকান ও হোটেলে ভিড় করছেন।

কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মৌসুমী বায়ুর সক্রিয় থাকায় এখন বঙ্গোপসাগর উত্তাল অবস্থায় আছে। সাগরের ঢেউয়ের কারণে কক্সবাজারের মহেশখালীতে ভাসমান এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) টার্মিনাল থেকে সরবরাহ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এতে চট্টগ্রামে গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। গৃহস্থালির পাশাপাশি বিদ্যুৎকেন্দ্র, সার কারখানা, শিল্প কারখানা, সিএনজি স্টেশন, হোটেল-রেস্টুরেন্টেও গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে।
জানা গেছে, গত বুধবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বাসাবাড়িতে গ্যাসের চাপ কমতে শুরু করে। দুপুর থেকে নগরীর শিল্পকারখানাগুলোতে গ্যাস সরবরাহ প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।

তখন আবাসিক এলাকায় গ্যাসের চাপ কিছুটা বাড়ে। কিন্তু সন্ধ্যার পর থেকে নগরীর কিছু এলাকায় বাসাবাড়িতে গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় আর কিছু এলাকায় চাপ কমে যায়। রাত ১২টার পর সীমিত আকারে সরবরাহ শুরু হলেও ভোর হওয়ার আগেই আবার বন্ধ হয়ে গেছে।আকস্মিক গ্যাস সংকটের কারণে গৃহস্থালি ও বাণিজ্যিক- উভয় খাতের গ্রাহকেরা ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন।

নগরীর আসকার দিঘীর পাড়ের বাসিন্দা সিতারা আহমেদ বলেন, গতকাল (বুধবার) সকাল থেকে গ্যাসের সমস্যা হচ্ছে। প্রেসার একেবারে কম। সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ছিল না। সকালেও দেখি গ্যাস নেই।
তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র পরিচালক রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, গতকাল দুপুর থেকে গ্যাসের চাপ নেই। আজকেও (বৃহস্পতিবার) একই অবস্থা। প্রোডাকশনে খুব প্রভাব পড়ছে।

কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস ডিভিশনের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোহাম্মদ শফিউল আজম খান বলেন, সাগর উত্তাল থাকায় মহেশখালীতে এলএনজিবাহী জাহাজ থেকে গ্যাস সরবরাহ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। যেখানে আমরা প্রতিদিন ২৮০ মিলিয়ন ঘনফুট পেতাম, সেটা এখন ১৬০-১৭০ এ নেমে এসেছে। এজন্য সমস্যা হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নগরের কাট্টলী, খুলশী, আগ্রাবাদ, হালিশহর, বহদ্দারহাট, চান্দগাঁও, মোহরা, বাকলিয়া, চকবাজার, মুরাদপুরসহ নগরের বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে ওই এলাকার বাসিন্দাদের দৈনন্দিন জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

বাসিন্দারা জানান, সকাল ৭টার পর থেকে গ্যাসের চাপ এতটাই কমে যায় যে চুলা জ্বালানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার দিকে প্রায় সম্পূর্ণ গ্যাস বন্ধ হয়ে যায়। ফলে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো হোটেল থেকে খাবার কিনতে বাধ্য হচ্ছেন, যা তাদের জন্য অতিরিক্ত আর্থিক বোঝা।

চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার গৃহিণী ফাতেমা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখি গ্যাস নেই। বাচ্চাদের স্কুলে টিফিন দিতে পারছি না, দুপুরেও রান্না করা সম্ভব হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে হোটেল থেকে খাবার কিনে খাচ্ছি। কোনো কথাবার্তা ছাড়া মনমর্জিতে গ্যাস বন্ধ করাতো কোনো দেশের নিয়ম না।

উত্তর কাট্টলী এলাকার বাসিন্দা মো. রহমান বলেন, গ্যাসের না থাকায় সকালে নাস্তা বানাতে পারেনি। নিরুপায় হয়ে বাইরে থেকে রুটি-ভাজি কিনতে হয়েছে। কেন বন্ধ, কখন আসবে কিছুই জানি না। দুপুরে যদি ভাত কিনতে হয়, বাড়তি ৭শ’ থেকে এক হাজার টাকার ধাক্কা।

কেজিডিসিএল’র মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) প্রকৌশলী মাকসুদুর রহমান জানান, জাতীয় গ্রিড থেকে প্রতিদিন চট্টগ্রামে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা থাকলেও বর্তমানে ১৯০-২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে। ফলে প্রায় একশ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং সরবরাহ স্বাভাবিক করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আবহাওয়ার উন্নতি স্বাপেক্ষে দুপুর ১টার মধ্যে সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছি। তিনি বলেন, চট্টগ্রামে মহেশখালীর এলএনজি টার্মিনাল ছাড়া বিকল্প কোনো উৎস থেকে গ্যাস সরবরাহের সুযোগ নেই।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

নেত্রকোণা হাসপাতালে আলাদা ডায়ারিয়া ওয়ার্ড উদ্বোধন।

নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আলাদা ডায়রিয়া ওয়ার্ড আনুষ্ঠানিকভাবে ১৬ নভেম্বর (রবিবার) ৩য় তলায় উদ্বোধন করা হয়েছে। উদ্বোধন করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোমেনুল ইসলাম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মোহনগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুল ইসলাম রতন, প্রধান সহকারি মোঃ মাহবুবুর রহমান খান, উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার শহিদুর রহমান, সিনিয়র স্টাফ নার্স নূরে ফারজানা প্রমুখ। মোহনগঞ্জ হাসপাতালের ডায়ারিয়া রোগীদের আলাদা কোন ওয়ার্ড ছিল না।

পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডের মাঝামাঝি খালি জায়গার মেঝেতে ডায়ারিয়া রোগীর চিকিৎসা করা হতো। ৪ নভেম্বর নেত্রকোণা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ গোলাম মাওলা নঈম এর কাছে আলাদা ওয়ার্ড খোলার জন্য মোহনগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুল ইসলাম রতন দাবী করলে তিনি মানবিক বিবেচনায় বিষয়টি আমলে নিয়ে আলাদা ওয়ার্ড খোলার নির্দেশ দেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোমেনুল ইসলামকে।

উক্ত নির্দেশের প্রেক্ষিতে আজকে হাসপাতালের তৃতীয় তলায় আলাদা ডায়ারিয়া ও ডেঙ্গু ওয়ার্ড খোলা হয়। এতে ডায়ারিয়া রোগীরা অনেকটা ভোগান্তি থেকে রেহায় পেয়েছে আজ থেকে। মোহনগঞ্জবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি আজ বাস্তবায়ন হয়েছে। এলাকা বাঁশি নেত্রকোণা সিভিল সার্জনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

বোয়ালখালীতে নাম মাত্র ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়াই চলছে ফার্মেসি, স্বাস্থ্যঝুঁকিতে সাধারণ মানুষ!

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে নিয়ম-নীতি না মেনেই চলছে ওষুধের ব্যবসা। অধিকাংশ ওষুধের দোকানের নেই কোনো ড্রাগ লাইসেন্স। ট্রেড লাইসেন্স নিয়েই গড়ে তোলা হয়েছে এসব প্রতিষ্ঠান। ফার্মাসিস্টের স্থলে সাধারণ কর্মচারীরাই বিক্রি করছেন ওষুধ।ড্রাগ লাইসেন্স ও ফার্মাসিস্ট ছাড়া ওষুধ বিক্রির ক্ষেত্রে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না এসব ফার্মেসিতে। ড্রাগ লাইসেন্স বিহীন এসব ফার্মেসিতে বিক্রি করা হচ্ছে নকল, ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ। অনেকেই
এসব ফার্মেসির ওষুধ সেবন করে নানা ধরণের স্বাস্থ্য সমস্যায় পড়ছেন। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে প্রতিনিয়তে এসব ফার্মেসির বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে।

সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, উপজেলার পৌরসভা ও কধুরখীল,পশ্চিম গোমদন্ডী, শাকপুরা, সারোয়াতলী, পোপাদিয়া, আমুচিয়া, চরনদ্বীপ, শ্রীপুর-খরনদ্বীপ, আহল্লা করলডেঙ্গা ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে, হাটা-বাজারে, আনাচে কানাচে গড়ে উঠেছে প্রায় দুই শতাধিক ফার্মেসি। এর মধ্যে অধিকাংশ ফার্মেসির ড্রাগ লাইসেন্স নেই। লাইসেন্সবিহীন এসব ফার্মেসিতে অদক্ষ বিক্রয় কর্মীরা ওষুধ বিক্রি করছেন।

স্থানীয় কয়েকজন সচেতন ক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখন ফার্মেসিতে আর বিশেষজ্ঞ লোকের দরকার হয় না। ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভরা বলে দেন কোন ওষুধ কী কাজে লাগে- সেই অনুযায়ী ওষুধ বিক্রি হয়। এ ছাড়া অনেক ওষুধের দোকানে নিম্নমানের ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভরা ওষুধ বিক্রি করে দেন। ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ বিক্রির ক্ষেত্রে ভালোমানের ওষুধের চেয়ে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বেশি কমিশন নেওয়া হচ্ছে। এতে বেশি লাভের আশায় ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ বিক্রিতে বেশি আগ্রহী হচ্ছেন ওষুধ ব্যবসায়ীরা। সাধারণ মানুষও কোন ওষুধটি আসল ও কোনটি ভেজাল তা চিহ্নিত করতে অপারগ। এর ফলে এ ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধের বাণিজ্য দিন দিন জমজমাট হচ্ছে। আর স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। এ ছাড়া অসচেতন রোগীদের চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনে উল্লিখিত ওষুধের একই গ্রুপের নিম্নমানের ওষুধ সরবরাহ করার অভিযোগও রয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাফরিন জেরিন জিতি বলেন, ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়া ফার্মেসি ব্যবসা পরিচালনা করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ, আমরা নিয়মিত মনিটরিং করছি। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে এই বিষয়ে অবহিত করে ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়া ফার্মেসির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ