আজঃ বুধবার ১৬ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুকের লাইভে রক্তমাখা ছুরি দেখিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে হুমকি, পরে গ্রেফতার।

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম ব্যুরো: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের লাইভে রক্তমাখা ছুরি দেখিয়ে অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, প্রধান বিচারপতি ও সেনাপ্রধানকে হত্যার হুমকি দেওয়া আওয়ামী লীগের এক কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ফেসবুকে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর শুক্রবার রাতে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা সদর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।গ্রেফতার মো. আলমগীর (৫২) ফটিকছড়ি উপজেলার জাফরনগর ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মী বলে জানা গেছে।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, আলমগীর রক্তমাখা একটি ছুরি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি ও সেনাপ্রধানকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। ভিডিওতে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করতে দেখা যায় তাকে।

ফটিকছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুর আহমেদ বলেন, রক্তমাখা একটি ছুরি নিয়ে অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের হত্যার হুমকি দেওয়ার একটি ভিডিও আমরা ফেসবুকে পেয়েছি। ঘটনার পর পরই আমরা বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করি। গত (শুক্রবার) রাতে আমরা আলমগীরকে আটক করি। তাকে ফটিকছড়ি থানায় হওয়া একটি বিস্ফোরক মামলায় আজ (শনিবার) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

পটিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে ৫১২টি গ্যাস সিলিন্ডার উদ্ধার।

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা খরনা ইউনিয়নের মুজাফরাবাদ নাইতপাড়া এলাকায় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে একটি অবৈধ কারখানা হতে গ্যাসের সরঞ্জাম ও ৫১২টি গ্যাস সিলিন্ডার উদ্ধার করে।

স্হানীয়রা জানান, চন্দনাইশ উপজেলার আবদুর রহিম দীর্ঘদিন ধরে পটিয়ার মুজাফরবাদ এলাকায় প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে অবৈধ গ্যাস ফিলিং কারখানা চালু করেন।এখানে খালি বোতলে পরিমাণে কম দিয়ে তা পুনরায় বাজারে বিক্রি করা হয়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযানে গ্যাস সরঞ্জাম সহ ৫১২টি বিভিন্ন কোম্পানির নতুন পুরান গ্যাস সিলিন্ডার, গ্যাস ফিলিং এর হাওয়া মেশিন ও বিভিন্ন যন্ত্রপাতি

উদ্ধার করা হয়। মালিক আবদুর রহিম ও কর্মচারী যৌথ অভিযানের খবর পেয়ে পালিয়ে যায়। পটিয়া থানার এস আই সমীর ভট্টাচার্য জানান,গোপন সুত্রে খবর পেয়ে, সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ৫১২টি গ্যাস সিলিন্ডার, গ্যাস ফিলিং সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

সন্ত্রাসীরা খুলে নিল স্পিড বোটের ইঞ্জিন

সন্রীসীরা গুলি করে খুলে নিল ষ্পীড বোর্ডের ইঞ্জিন। ঘটনাটি রাজশাহীর বাঘায়, পদ্মার চরাঞ্চলে বৈধ ইজারা নেওয়া বালুমহলের খেয়া ঘাটে চাঁদা দিতে না চাওয়ায় গভীর রাতে গুলি ছুঁড়ে দুইটা স্পিডবোট ভাঙচুর ও একটি স্পিড বোর্ডের ইঞ্জিন খুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহিৃত করতে পারেনি পুলিশ।

স্থানীয়রা জানান, মাঝে মধ্যে গভীর রাতে নদীর পাঁড়ের খেয়াঘাট এলাকায় গুলির শব্দ শুনতে পান তারা। গভীর রাতে একই ভাবে গুলির শব্দ শুনেছেন। সোমবার সকালে দেখতে পান দুইটা স্পিডবোট ভাঙচুর ও একটি স্পিড বোর্ডের ইঞ্জিন খুলে নিয়ে গেছে।

জানা যায়, রাজশাহী জেলা প্রশাসনের আওতাধীন উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নের লক্ষীনগর মৌজায় ২৪.০০ একর বালুমহালটি এবছর(বাংলা১৪৩২ সন) মেসার্স সরকার ট্রেডার্সকে ইজারা দেওয়া হয়েছে। ইজারাদার এসএম এখলাসের লোকজন সেখানে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করে ক্রয়-বিক্রয় করেন।

সোমবার (৭ জুলাই’২৫) সরেজমিন কথা হলে ইজারাদারের কর্মরত ম্যানেজার বেলাল হোসেন জানান, এখানকার বালু নদীপথে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় নিয়ে বিভিন্ন জেলাতে বিক্রি করা হয়। তবে এই বালু নিয়ে যেতে হলে বিভিন্ন স্থানে চাঁদা দিতে হয়। আর না দিলেই বিরোধিতা শুরু হয়। রোববার দিবাগত (৬ জুলাই) রাত সাড়ে ৩টার দিকে সেই ঘটনাই ঘটেছে।
ওয়াজেদ সিকদার নামে একজন বলেন, ভোরে মাছ ধরার জন্য এই খেয়া ঘাটে এসে সবার মুখে গুলাগুলি, দুইটা পিডবোট ভাঙচুর এবং একটি পিডবোটের ইঞ্জিন নিয়ে গেছে বলে শুনেছি।

স্পিডবোটের ড্রাইভার সালাম বিশ্বাস বলেন, সেই রাতে হঠাৎ করে ৩ টি নৌকায় প্রায় ৩৫-৪০ জন সন্ত্রাসী ঘাটে এসে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে।

খেয়া ঘাটে থাকা দুইটা স্পিডবোট নদীর মাঝখানে নিয়ে গিয়ে ভাঙচুর করে এবং একটি স্পিড বোটের ইঞ্জিন খুলে নিয়ে গেছে। ড্রেজারের মধ্যে থাকা ড্রাইভাররা ভয়ে নদীর ঘাট থেকে উপরে উঠে নিজেকে রক্ষার জন্য আত্মগোপন করেন। পরে গুলির খোশা দেখে গুলি ছুঁড়ার বিষয়টি নিশ্চিত হতে পেরেছেন।

খেয়া ঘাটের পাড়ের একজন গ্রাম পুলিশের ভাষ্য, রাত আনুমানিক সাড়ে তিনটার দিকে গুলির শব্দ পাই। এসময় ঘরের ফাঁক দিয়ে দেখেন তিনটা নৌকাতে প্রায় ৪০ জনের মতো লোক এদিক ওদিক ছোটা ছুটি করে গুলি ছুড়ছেন। এসময় ড্রেজার মেশিনের ড্রাইভাররা আমার বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন।

রাজশাহী জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক শামীম সরকার বলেন,বৈধ ইজারা নিয়ে তারা বালু উত্তোলন করছেন। কিছু দিন আগে লালপুরের কাকন বাহিনীর লোক যৌথভাবে খাল এন্টারপ্রাইজ নামে ¯স্লিপ দিয়ে খাজনা আদায় করে। যেটা বৈধ কিনা তার কোন প্রমাণ নেই। আমার এখানকার বালুবাহি ট্রলার বা ড্রেজার থেকে তারা চাঁদা দাবি করে। আমরা চাঁদা দিতে রাজি না হওয়াই তারা হয়তো এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।

যৌথভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে নৌ পুলিশ ও থানা পুলিশ। নৌ পুলিশের চারঘাট ফাঁড়ির ইনচার্জ হুমায়ূন রশীদ জানান, এপারে বৈধ ইজারা বালু উত্তোলন করছে। উত্তোলন করা বালু ঈশ্বরদীর দিকে নিয়ে বিক্রি করে। মূলতঃ সেই বালু ঈশ্বরদী বিক্রি করতে দিবে না। এনিয়ে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর এলাকার লোকজনের সঙ্গে দ্ব›দ্ব। এনিয়ে হয়তো রাতের অন্ধকারে গুলি ছুঁড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তবে মুঠোফোনে দৌলতপুর থেকে জানানো হয়েছে,তাদের এলাকাতে গিয়ে রাতের অন্ধকারে গুলি ছুড়েছে।

বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ আফম আছাদুজ্জামান জানান, এ বিষয়ে নৌপুলিশ সহ থানা পুলিশের পক্ষ থেকে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ