চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক শারজাহগামী যাত্রীর কাছ থেকে প্রায় ২২ লাখ টাকা মূল্যের দেশি-বিদেশি মুদ্রা জব্দ করেছে নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার একটি যৌথ দল।
এয়ার এরাবিয়ার ফ্লাইট এ৯-৫২১-এ উঠার আগে সন্দেহভাজন হিসেবে ওই যাত্রী মো. আব্দুল মাজিদকে (পাসপোর্ট নম্বর অ০৮২৯৮০৭৪) তল্লাশি করা হয়। তিনি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার কাবুলিপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
জব্দকৃত মুদ্রা ডিপার্টমেন্টাল মেমো (ডিএম) ভিত্তিতে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে যাত্রীকে পতেঙ্গা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আব্দুল মজিদের বিরুদ্ধে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বিদেশে মুদ্রা পাচারের চেষ্টার অভিযোগ এনে নগরীর পতেঙ্গা থানায় মামলা করেছেন চট্টগ্রাম কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম।
এভসেক-এর দায়িত্বরত নিরাপত্তা প্রহরী মাহফুজুর রহমান জানান, ব্যাগেজ স্ক্যানিংয়ের সময় যাত্রীর আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে তার কাছে এন্ডোর্সমেন্ট বহির্ভূত মুদ্রা আছে কিনা জানতে চাওয়া হয়। যাত্রী তা অস্বীকার করেন। পরে দেহ তল্লাশিতে বৈদেশিক মুদ্রার অস্তিত্ব পাওয়া গেলে তাকে ডিজিএফআই কর্মকর্তার হাতে হস্তান্তর করা হয়।
পরবর্তীতে বিমানবন্দর কাস্টমস, এনএসআই, ডিজিএফআই, এভসেক, সিআইআইডি ও বিমানবাহিনীর টাস্কফোর্সের উপস্থিতিতে তার ব্যাগেজ তল্লাশি করে নিচের মুদ্রাগুলো জব্দ করা হয়, ৪,৭০০ মার্কিন ডলার, ৪৭ হাজার ৮৮৫ আমিরাতি দিরহাম, ৩ হাজার ৭৬২ সৌদি রিয়াল, ৩৪৬ ওমানি রিয়াল, ৩৬ হাজার বাংলাদেশি টাকা। চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, জব্দকৃত মুদ্রার আনুমানিক মূল্যমান প্রায় ২২ লাখ টাকা।
মামলার এজাহারে উল্লেখ আছে, আব্দুল মজিদ শারজাহগামী এয়ার এরাবিয়া ফ্লাইটের যাত্রী ছিলেন। রোববার রাত ৮টার দিকে তিনি বিমানবন্দরে পৌঁছান।ব্যাগেজ স্ক্যানিং পয়েন্টে আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে মজিদকে আটক করা হয়। পরে তার লাগেজ তল্লাশি করে ঘোষণা বহির্ভূত দেশি-বিদেশি মুদ্রাগুলো পাওয়া যায়।