আজঃ শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

জলাবদ্ধতা নিরসনে নালা-খাল-সড়ক সংস্কার কার্যক্রম চলমান থাকবে:চসিক মেয়র।

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বুধবার দুপুরে বর্ষায় নগরীর ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও নালা-নর্দমা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। তিনি প্রধান নগর ভবন, বাটালি হিল, টাইগারপাস, চট্টগ্রাম থেকে শুরু করে বহদ্দারহাট, চকবাজার, কাপাসগোলা, ফরিদা পাড়া পর্যন্ত রাস্তা, ড্রেনেজ এবং সংশ্লিষ্ট অবকাঠামোর বর্তমান অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন।

পরিদর্শনকালে ফরিদা পাড়ার একটি পাঁচতলা ভবনের জানালা থেকে একজন বাসিন্দা নালায় ময়লা ফেললে তাৎক্ষণিকভাবে মেয়র নিজেই মোবাইল ফোনে ভবন মালিককে কল করে সতর্ক করেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড করলে ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে জানান।

তিনি বলেন, বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্থ নগরীর বিভিন্ন সড়ক চসিকের ইঞ্জিনিয়ারদেরসহ সরেজমিনে দেখেছি । সরজমিনে দেখার পর মনে হয়েছে নগরীর বেশ কিছু নালা অনেক অপরিকল্পিতভাবেকরা হয়েছিল অতীতে। যার কারণে বৃষ্টির পানি ঠিকমত নিষ্কাশন হচ্ছে না। বর্ষাকালে আমাদের প্ল্যান নালাগুলোকে আমরা কন্টিনিউয়াস প্রসেসে ক্লিন রাখবো। এইজন্য এই তিন মাস নালা সংস্কারের কাজ চলবে। আর খাল সংস্কারের কাজ তো চলমান আছেই।

“ইতোমধ্যে মঙ্গলবার নগরীর জলাবদ্ধতা বিষয়ে সমস্ত সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে আমরা একসাথে বসেছি। আমরা কাজ করছি সমন্বিতভাবে। আমরা একটা কন্টিনিউয়াস মনিটরিং এর মধ্যে আছি। রাস্তা যেগুলো ভারী বর্ষণের কারণে খানা-খন্দ হয়ে গেছে সেগুলো আমরা রিপেয়ার চালিয়ে যাব।এখানে জোয়ারের পানির একটা ফ্যাক্টর আছে। সেজন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে আমরা বলেছে তারা যাতে সুইস গেটগুলো যাতে সেভাবে নিয়ন্ত্রণ করে আর পাম্পিং হাউজের ব্যবস্থা করে। আরেকটা হচ্ছে আমাদের ওয়াসাকে বিভিন্ন জায়গায় না কাটার জন্য আমি তাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছি। তিন মাস যাতে বর্ষার সময় তারা এ ধরনের ধরনের সড়ক কাটাকুটি না করে।

তিনি আরও বলেন, বৃষ্টির সময় শহরের কিছু কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে, তার অন্যতম কারণ হচ্ছে নালায় ময়লা ফেলা ও ড্রেনেজ লাইনের প্রতিবন্ধকতা। এ সমস্যা সমাধানে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি। নাগরিক সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে অভিযান ও প্রচারণা আরও জোরদার করা হবে।

নগরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে শুধু সিটি কর্পোরেশনের নয়, নাগরিকদেরও দায়িত্ব রয়েছে। আমরা উন্নয়ন কাজ করছি, কিন্তু নাগরিকদের যদি সচেতন না করি, তাহলে এই কাজগুলোর ফল ভোগ করা যাবে না। এজন্য সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল হতে হবে।
“বাসার ময়লা নালা-খালে ফেললে আমরা ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে জরিমানা করব। এ ময়লার কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে এবং পানি জমে সেখানে মশার প্রজনন ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। সেখানে ডেঙ্গু এবং চিকুনগুনিয়া, এডিস মসার লার্ভা জন্ম নিচ্ছে। তাই আমরা যদি স্বাস্থ্য সচেতন হই তাহলে আশা করি এই শহরটা ক্লিন হেলদি এবং সেফ হবে।

পরিদর্শনকালে মেয়রের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ফরহাদুল আলম, নির্বাহী প্রকৌশলী রিফাতুল করিম, শাফকাত আমিনসহ প্রকৌশল বিভাগ ও পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা এবং বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

 

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

কুষ্টিয়ায় বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।

পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

ভোলায় জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত ।

দ্বীপজেলা ভোলার আধুনিক সাহিত্য সংগঠন জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে ।গতকাল ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ সন্ধ্যায় ভোলা সদরের গঙ্গাকীর্তি হারুন অর রশিদ স্মৃতি পাঠাগারে অনুষ্ঠিত জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের সাধারণ সভায় সংগঠনের আহ্বায়ক শিশুসাহিত্যিক শাহাবউদ্দিন শামীম এর সভাপতিত্বে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ রোদসী কৃষ্টিসংসারের চেয়ারম্যান ও জাতীয় কবিতা পরিষদ ভোলার প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র প্রভাষক কবি রিপন শান, জাতীয় সাহিত্য সাংস্কৃতিক ঐক্যজোট ভোলা জেলা শাখার সদস্য সচিব প্রভাষক কবি মিলি বসাক, জলসিঁড়ির সদস্য সচিব কবি মহিউদ্দিন মহিন, জাতীয় কবিতা পরিষদ ভোলার সাংগঠনিক সম্পাদক ও জলসিঁড়ির সংগঠক কবি নীহার মোশারফ, আবৃত্তিশিল্পী সমাজসেবক মীর মোশারেফ অমি প্রমুখ ।

সভায় উপস্থিত সদস্যদের ভোটাভুটির মাধ্যমে শিশুসাহিত্যিক শাহাবউদ্দিন শামীম কে সভাপতি, সিনিয়র প্রভাষক সাংবাদিক কবি রিপন শানকে নির্বাহী সভাপতি, সিনিয়র প্রভাষক সংগঠক মহিউদ্দিন মহিনকে সাধারণ সম্পাদক, কবি গবেষক কবি নীহার মোশারফ কে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের কার্যনির্বাহী কমিটি ২০২৫- ২০২৭ গঠন করা হয়েছে ।

কমিটির সহ-সভাপতিগণ হচ্ছেন- সিনিয়র প্রভাষক কবি মিলি বসাক, কবি মোঃ জুলফিকার আলী। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গণ হচ্ছেন- কবি আল মনির, আবৃত্তিশিল্পী মীর মোশারেফ অমি । অর্থ ও দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন কবি বিলকিস জাহান মুনমুন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন কবি শাহনাজ পারুল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সাংবাদিক মুহাম্মদ নুরুল্লাহ আরিফ । নির্বাহী সদস্যগণ হচ্ছেন- অধ্যক্ষ কবি এম এস জালাল বিল্লাহ, কবি দিলরুবা জ্যাসমিন, কবি চৌধুরী সাব্বির আলম এবং কবি এরশাদ সোহেল ।

আসছে ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ শনিবার বিকেল ৪ টায় ভোলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিতব্য জলসিঁড়ির মাসিক সাহিত্য সভায় নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত হবে ।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ