
নিহত ব্যক্তির নাম মো. আকরাম হোসেন (৩২)। তিনি শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলার বাঁকাকুড়া গ্রামের মৃত জহির উদ্দীনের ছেলে।
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মেঘালয়ের দক্ষিণ-পশ্চিম খাসি হিলস জেলায় গত ১০ আগস্ট আকরাম অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে অপহরণের চেষ্টায় জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা। এ সময় তাদের গণপিটুনিতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
মেঘালয় পুলিশ এ ঘটনার বিষয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বাংলাদেশি পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করে। পরবর্তীতে ভারতীয় পুলিশ লাশটি বিএসএফ’র কাছে হস্তান্তর করে। বিএসএফ ও বিজিবির সমন্বয়ে লাশটি কলমাকান্দা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
নিহত আকরামের ভাই শেখ ফরিদ বলেন,
আমার ছোট ভাই আকরাম হোসেনের মৃত্যুর খবর আমি প্রথমে ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারি। খবর পাওয়ার পর থেকেই আমি বিজিবি এবং ঝিনাইগাতি থানা পুলিশের সাথে যোগাযোগ রেখেছি, যেন আমার ভাইয়ের লাশ দ্রুত বাংলাদেশে আনা যায়। ভারতীয় কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে লাশ দেশে ফেরানো হয়েছে —এ জন্য বিএসএফ, বিজিবি এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
তবে আমার পরিবারের অবস্থা খুবই খারাপ, মা শোকে ভেঙে পড়েছেন। আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি, যেন আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে আমার ভাইয়ের লাশ দ্রুত আমাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা আর না ঘটে—সেদিকে সকলের দৃষ্টি থাকে।
কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান বলেন, “বিএসএফ ও বিজিবির সমন্বয়ে নিহত বাংলাদেশির লাশ আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে লাশ নিহতেরপরিবারের কাছে হস্তান্তরের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।