২০০৪ সালে একুশে আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা ভয়াবহ ঘটনার প্রকৃত সত্য এখনো উৎঘাটন করেনি। বিতর্কিত কর্মকর্তাদের দিয়ে রাজনৈতিক স্বার্থে তদন্ত করায় বিচারটি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। ২১ আগস্ট মুক্তাঙ্গনের জনসভার অনুমতি নিয়ে কেন সেটি আওয়ামী লীগ অফিসের চত্বরে নেয়া হল, গোয়েন্দারা সে বিষয়টি কি আমলেই নেয়নি। উচ্চ আদালত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছে, ভয়াবহ এই ঘটনার সত্য উদঘাটন ও প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় এনে বিচার না করা রাষ্ট্রের জন্য বড় ব্যর্থতা।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে সংঘটিত গ্রেনেড হামলা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি ভয়াবহ ঘটনা। এতে নিহত হন ২৪ জন, আহত হন কয়েক শতাধিক। দুই দশক পেরিয়ে গেলেও এই ঘটনার ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়নি।
গত বছরের ১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের রায় বাতিল করে সব আসামিকে খালাস দেন। রায়ে বলা হয়, মামলার তদন্ত শুরু থেকেই রাজনৈতিক স্বার্থে পরিচালিত হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে, সাক্ষ্য ও চার্জশিটে অসঙ্গতি রেখে, বিচার প্রক্রিয়াকে বিকৃত করা হয়েছে।
বিতর্কিত তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাহহার আকন্দের নেতৃত্বে দ্বিতীয় চার্জশিটে বিএনপি নেতা তারেক রহমানকে অভিযুক্ত করা হয়, যা হাইকোর্ট ‘অবৈধ’ বলে রায়ে উল্লেখ করে। মুফতি হান্নানের দ্বিতীয় স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে দেওয়া চার্জশিটে প্রত্যক্ষ প্রমাণ পাওয়া যায়নি, সাক্ষ্য ছিল পরস্পরবিরোধী ও সন্দেহজনক।
আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই মামলার তদন্তে স্বচ্ছতার অভাব রাষ্ট্রের বিচারব্যবস্থার ওপর আস্থার সংকট তৈরি করেছে। ২১ আগস্ট হামলার বিচারহীনতা কেবল ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর নয়, পুরো জাতির জন্য এক ট্র্যাজেডি।