
শ্রাবণে গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষণে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার উত্তর সুরাটি গ্রামে ১শ একর জমির কোটি টকার ফসল তলিয়ে গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় পানের বরজ, মাছের ফিশারী, পোল্ট্রি ফার্ম, কাঠ কাটার সমিল সহ বহু ফসলের জমি পানিতে তলিয়ে গিয়েছে এবং ২০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পডছেন।

বৃষ্টি থেমে যাওযার পরেও ঐ জমি থেকে নামছে না পানি। বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় ফসলি জমিতে দীর্ঘদিন ধরে পানি জমে থেকে কচুরীপানা দানাবেধে একাকার হয়ে যায়। ফলে ২ কোটি টাকার পানের বরজ পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক হযরত মিযা, মতি মিয়া, আজম মিয়া, মজলু মিয়া, মাহন মিয়া কান্না জড়িত কন্ঠে জানান তাদের ১০ একর জমিতে পানের বরজ জলাবদ্ধতায় সর্ম্পুন মরে যাওয়ায় প্রায় ২ কোটি টাকার পান লোকশান হওয়ায় তারা এখন দিশেহারা।
অন্যদিকে পানিতে ডুবে বাছির মিয়া, আলমগীর মিয়া, খোকন মিয়া, মজলু ও আরমান মিয়ার ২০ একর জমিতে থাকা ফিশারীজ এর মাছ বের হয়ে যাওয়ায় প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হযছেন। পানির জলাবদ্ধতায় ২০টা পরিবারের অর্ধশত লোক পানিবন্দী।
এ ছাড়াপও ভোক্তভোগী কৃষকরা জানিয়েছেন জলাবদ্ধতায় প্রায় ৭০ একর ফসলি জমিতে ৩/৪ ফুট পানি থাকায় আমন ধান লাগানোর সময় চলে গেলেও এখনো তারা চাষ করতে পারছেন না।
অনেক কৃষক ঋণ নিয়ে আমন চাষে প্রস্তোুতি নিয়েও এ জমিতে অতিরিক্ত পানির জন্য আমন ফসল লাগাতে না পারলে ঋনের বোঝা মাথায় নিয়ে উপুস থাকতে হবে। কৃষক মজলু মিয়া জানান, প্রায় ১শ বছর ধরে এ এলাকার পানি একটি কালভার্টের মাধ্যমে নিস্কাষন হয়ে আসছে। কিন্তু বর্তমানে একজন লোক কার্লভাটের মুখের জমি ক্রয় করে মাটি কেটে উচু করে ফেলায় পানি নিস্কাষন বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।