
:
কক্সাবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর ধূরুং নয়া কাটা গ্রামের জেলে মোহাম্মদ মিজান, পিতা- মো: ইউসুফ অনলাইনে ফানির্চার ক্রয়ে প্রতারক চক্রের শিকার হয় বলে সংবাদ পাওয়া যায়।
মিজান জানান- তিনি মোবাইল ফেইসবুকে ফার্নিচারের একটি ভিডিও বিজ্ঞাপন দেখতে পান। বিজ্ঞাপনে দেখে মাত্র দশ হাজার টাকায় ১৭ টি আইটেমের ফার্নিচার পাওয়া যাচ্ছে। ফার্ণিচার ক্রয়ের জন্য তিনি তাদের দেওয়া মোবাইল নম্বরে যোগযোগ করলে, ফার্নিচার নিতে চাইলে কনফর্ম করতে ১হাজার ২০ টাকা পাঠাতে বলেন। তিনি তাদের কথা অনুযায়ী টাকা পাঠান। মিজান কে বিশ্বাস করানোর জন্য দোকান মালিক ও কর্মচারীর জাতীয় পরিচয়পত্র, দোকানের ট্রেড লাইসেন্স পাঠানো হয়। মিজান তা বিশ্বাস করে, তাদের কথা অনুযায়ী কুতুবদিয়ার বিভিন্ন বিকাশের দোকান থেকে ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর তারিখে ৬ কিস্তিতে ০১৩৩৭২৮০০১৬ ও ০১৩৪০২৯৬৯৯৬ বিকাশ নম্বরে খরচ সহ ষাট হাজার একশত আশি টাকা প্রেরণ করেছেন। তবে ফার্ণিচারের মূল্য ছিল মাত্র দশ হাজার টাকা।
টাকা পাঠানোর পর মিজান ফার্ণিচার পাঠাতে বললে তারা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে আরো দশ হাজার পাঁচশত টাকা পাঠাতে বলেন। তখন মিজান টাকা ফেরৎ যান। টাকা ফেরৎ না দিলে আইনের আশ্রয়ের কথা জানালেও তারা টাকা ফেরৎ না দেওয়ার কথা বলেন বলে জানায়।
ফার্ণিচার দোকানের মালিক পরিচয়ে পাঠানো আইডি কার্ডে নাম ছিল মো: আবুল কালাম হাওলাদার পিতা- মো: আ: কাদের হাওলাদার, কুমিল্লা। আরেক জনের নাম মো: আবু তাহের, পিতা: নুরুল আমিন, টেকনাফ।১১ সেপ্টেম্বর - ২০২৫ ইং তারিখ মোহাম্মদ মিজান টাকা উদ্ধার ও শাস্তি চেয়ে কুতুবদিয়া থানা একটি অভিযোগ করেন বলে জানায়।ফার্ণিচার দোকান মালিকের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করতে চাইলে কিছু না বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।