স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড।সুশাসন , আর্থিক স্বচ্ছতা ও সেবায় পিছিয়ে নেই অন্যান্য শিক্ষা বোর্ডের তুলনায়।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড স্বচ্ছতা ও জবাব দিহিতায় অনন্য নজির স্থাপন করেছে। পরিক্ষার ফলাফল প্রকাশের দেড় মাসের মধ্যেই প্রধান পরীক্ষক ও পরীক্ষকদের সম্মানীর বিল পরিশোধ করান হয়েছে। দেশের আর কোনো শিক্ষা বোর্ড এত কম সময়ে এ উদ্যোগ নিতে পারেনি।
এসএসসি ও এইচএসসি ২০২৫ সালের প্রশ্ন প্রণেতা ও পরীক্ষকদের সম্মানী দেড় মাসের মধ্যে পরিশোধ করা হয়েছে। কর্মকর্তাদের দাবি, এটি শিক্ষা বোর্ডের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
এই প্রথম বোর্ড প্রতিষ্ঠার তিন দশক পর প্রথমবারের মতো স্টক রেজিস্ট্রার যাচাই–বাছাই শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিনের অবহেলায় পরে থাকা চলতি হিসাবে থাকা ৬ কোটি টাকা পুনরুদ্ধার করে আরও অর্থ যোগ করে বর্তমানে সাড়ে ১১ কোটি টাকা এফডিআর করা হয়েছে। একইসঙ্গে অবসর তহবিল স্বল্প সময়ে ১০ কোটি থেকে ১৮ কোটি টাকারও বেশি উন্নীত করা হয়েছে। শুধু গত সাত মাসেই জমা হয়েছে প্রায় ৮ কোটি টাকা, যেখানে পূর্ববর্তী ৩০ বছরে ছিল মাত্র ৯ কোটি।
কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে সরকারি নিয়মনীতি মেনে ঢাকা বোর্ডের রেকর্ড অনুসরণ করে আধুনিকায়ন, জরাজীর্ণ ভবনের সংস্কারসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।
স্থায়ী কর্মকর্তা–কর্মচারীরা জানান, প্রেষণে আসা কিছু সরকারি কলেজ শিক্ষকের তদবির ও প্রভাবের কারণে দীর্ঘদিন ধরে তারা পদোন্নতির বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। অথচ শিক্ষা বোর্ড প্রবিধান অনুযায়ী, সহকারী কর্মকর্তা পদে পাঁচ বছর সন্তোষজনক চাকরির মেয়াদ পূর্ণ হলে ডেপুটি কর্মকর্তা পর্যায়ের মোট ৬০ শতাংশ পদে পদোন্নতির বিধান রয়েছে। এ বিধান কার্যকর হলে চট্টগ্রামের কর্মকর্তাদের ন্যায্য সুযোগ নিশ্চিত হতো।
সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আলী আকবর বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন প্রাপ্য পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত রয়েছি। অথচ নিয়ম অনুযায়ী আমাদের পদোন্নতি পাওয়ার কথা। চট্টগ্রাম বোর্ড কর্তৃপক্ষ যেমনি দ্রুততম সময়ে বিল পরিশোধ ও আর্থিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করে প্রমাণ করেছে, তেমনি আমাদের পদোন্নতি দিয়ে সেটাও প্রমাণ করবেন আশাকরি। শিক্ষাবোর্ডে যোগ্যতা সম্পন্ন লোক রয়েছে, তাদের পদোন্নতি দিয়ে সুযোগ দেয়া হলে, তারা যোগ্যতার প্রমাণ দেবে।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি তহিদুল হক বলেন, “চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড দেশের অন্য বোর্ডগুলোর জন্য উদাহরণ। তবে স্থায়ী কর্মকর্তাদের পদোন্নতির দাবি মেনে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর ইলিয়াছ উদ্দিন আহাম্মদ• বলেন, ১৯৯৭ সালের প্রবিধান অনুযায়ী স্থায়ী কর্মকর্তাদের ৬০ শতাংশ এবং প্রেষণে আসা কর্মকর্তাদের ৪০ শতাংশ পদোন্নতির সুযোগ রয়েছে। কেন এতদিন পদোন্নতি দেওয়া হয়নি তা খতিয়ে দেখা হবে এবং নিয়ম মেনে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।