
চট্টগ্রামে বিয়ে-শাদি ও নানা অনুষ্ঠানে কমিউনিটি সেন্টার ও কনভেনশন হলের ভাড়া ও খরচে চরম নৈরাজ্যের অভিযোগ তুলেছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ক্যাব নেতারা জানান, ন্যূনতম ৩০০ অতিথির বিয়ের আয়োজনে এক লাখ টাকার নিচে কোনো সেন্টার পাওয়া যায় না। বড় আয়োজনে খরচ দাঁড়ায় ৫-৭ লাখ পর্যন্ত। এছাড়া সাজসজ্জার জন্য ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আলাদা বিল দিতে হয়। খাবার সরবরাহ, লাইট, ফ্যান, চেয়ারসহ নানা খাতে গ্রাহকদের অতিরিক্ত অর্থ দিতে বাধ্য করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, হিন্দু সম্প্রদায়ের বিয়ের মৌসুমে এসব খরচ তিন থেকে পাঁচগুণ বেড়ে যায়। অনেক হলে খাবার বাধ্যতামূলকভাবে সেন্টারের নির্ধারিত প্রতিষ্ঠান থেকেই নিতে হয়, যার দাম বাজারদরের কয়েকগুণ বেশি।
ক্যাব অভিযোগ করে, কমিউনিটি সেন্টারগুলো ভ্যাট ফাঁকি দিতেও জড়িত। তারা অতিথির সংখ্যা অনুযায়ী মোটা অঙ্কের বিল নিলেও সরকারের কাছে নামমাত্র ভ্যাট জমা দেয়।
এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় ভাড়া সরকারিভাবে নির্ধারণ, নিয়মিত তদারকি, খাবারে কেমিকেল ও নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার রোধ এবং অনুষ্ঠান চলাকালে যানজট নিয়ন্ত্রণে সেন্টার কর্তৃপক্ষকে দায়িত্বশীল হওয়ার দাবি জানায় ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগ ও নগর নেতারা।