আজঃ সোমবার ১০ নভেম্বর, ২০২৫

আরব আমিরাতে বাংলাদেশ লেডিস ক্লাব ৭ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎযাপন ।

মোহাম্মদ আরমান চৌধুরী আরব আমিরাত প্রতিনিধি

নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে উৎযাপিত হলো বাংলাদেশ লেডিস ক্লাব সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৭ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী । গতকাল (৪ অক্টোবর) শনিবার আজমান উম্মে আল মুমিনীন ওমেন’স এসোসিয়েশনে অনুষ্ঠান শুরু হয় বিকেল ৫টা থেকে একটা টানা রাত ১২ টায় শেষ হয়। আমিরাতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত পরিবার পরিজন নিয়ে উপস্থিতিত হয়েছি বহু পরিবার সব মিলে যেন এক ক্ষুদ্র বাংলাদেশে পরিণত হয়।

এদিকে হলের নিচ তলায় ছিল মেলা প্রাঙ্গণ। সেজে উঠেছিল বাঙালি সাজে। বিভিন্ন ধরনের স্টল বসেছিল, যেখানে দেশীয় শিল্প, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যবাহী পণ্যের সমাহার ঘটে। বিভিন্ন স্টলে ছিল জামদানি, কাতান, হাতে আঁকা শাড়ি, সালোয়ার কামিজ এবং দেশীয় হস্তশিল্পের নজরকাড়া সংগ্রহ। ছিল মেলায় হরেক রকমের পিঠা-পুলি ও ঐতিহ্যবাহী লোকখাবারের স্টল। প্রবাসীরা যেন দেশের আসল স্বাদ খুঁজে পাচ্ছিলেন সেখানে।

দীর্ঘ সাত বছরের পথপরিক্রমাকে স্মরণ করে, অনুষ্ঠানের ছিল ক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালী ন ও উদ্যোক্তাদসহ ২৫ জনকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান। এরপর ক্লাবের পক্ষ থেকে ৭ বছর পূর্তির কেক কাটা হয়। এই আয়োজনে ছিল সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, লোকনৃত্য, কবিতা আবৃত্তি ও নানা ধরনের খেলাধুলা। বিশেষ করে, প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মকে দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে আগ্রহী করে তুলতে শিশু-কিশুদের পরিবেশনা ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রবাস জীবনে নিজেদের মধ্যে একাত্মতা ও সম্প্রীতির বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করাই ছিল এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য।
এতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা লিজা হোসেন ও উপদেষ্টা শরিফা সৈনিক। লাবন্য আদিল এর সভাপতিতেত্ব ও তন্বী সাবরিন এর সঞ্চালনায় এতে আরো উপস্থিত ছিলেন শারমিন রাখী,সাথী আলী,তাকিয়ে সুলতানা,জারা খান,নাসরিন আক্তার,মহেসিনা সুলতানা তানিয়া,নাসরিন সুলতানা,নুসরাত সামী, ফাতিমা আহাদ,নাসরিন আক্তার,নাজমুন নাহার বুবলী,নাজ নাজমা সহ আরো অনেকে।

সভাপতি লাবন্য্য আদিল বলেন, আমরা চাই, আমাদের এই সংগঠন প্রবাসে বাংলাদেশের নারীদের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম হোক, যেখানে তারা একে অপরের পাশে দাঁড়াবে এবং দেশের সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখবে।”
তিনি আরও বলেন, “সাতটি বছর পার করা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। এই সফলতার পেছনে ক্লাবের সকল সদস্যের আন্তরিকতা ও সহযোগিতা অনস্বীকার্য।”

উপস্থিত সকল অতিথি ক্লাবের এই দীর্ঘ পথচলার প্রশংসা করেন এবং প্রবাসে নারী সমাজের জন্য তাদের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় দাবিদাওয়ার ঝড়, কিন্তু নীরব প্রবাসীরা

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই দেশের রাজপথ দাবিদাওয়ার ঝড়ে সরব। সরকারি কর্মকর্তা থেকে শিক্ষক, চিকিৎসক থেকে শ্রমিক—সবাই নিজ নিজ দাবি তুলে ধরছেন সরকারের কাছে।

তবে এই আন্দোলনের স্রোতের বাইরে রয়েছেন দেশের এক বিশাল জনগোষ্ঠী—প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি হয়েও তারা এখন পর্যন্ত কোনো দাবি আদায়ে রাস্তায় নামেননি, কিংবা বিদেশে থেকেও কোনো সংগঠিত প্রতিবাদ জানাননি।

দেশে প্রতিদিনই নতুন নতুন দাবির ব্যানারে মিছিল-মিটিং দেখা যাচ্ছে। সরকারি চাকরিজীবীরা বেতন সমন্বয়ের দাবি তুলেছেন। শিক্ষার্থীরা নিয়োগ পরীক্ষার স্বচ্ছতা চাচ্ছেন। স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষকরা বেতন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর আহ্বান সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ প্রতিনিয়ত দাবি জানাচ্ছেন। কিন্তু প্রবাসীদের মধ্যে তেমন কোনো সাড়া নেই। মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, আমেরিকা, কিংবা পূর্ব এশিয়ার প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে দাবি আদায়ের আন্দোলন বা সংগঠিত বক্তব্য এখনও অনুপস্থিত।

বিশ্লেষকদের মতে, প্রবাসী বাংলাদেশিদের এই নীরবতার পেছনে রয়েছে একাধিক বাস্তব কারণ।

১. ভৌগোলিক দূরত্ব ও আইনি বাধা:
বিদেশের মাটিতে অবস্থানরত শ্রমিক বা চাকরিজীবীরা স্থানীয় আইনের কারণে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হতে পারেন না।
২. অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা:

অনেকে আশঙ্কা করেন, কোনো প্রকার রাজনৈতিক বক্তব্য বা প্রতিবাদ তাদের চাকরি বা ভিসার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
৩. সংগঠনের সীমাবদ্ধতা: যেসব প্রবাসী সংগঠন আছে, তাদের বেশিরভাগই সামাজিক বা কল্যাণমূলক কাজে সীমাবদ্ধ—দাবি আদায়ে তাদের ভূমিকা দুর্বল।

৪. দেশীয় রাজনীতিতে আস্থাহীনতা: প্রবাসীদের একটি বড় অংশ মনে করেন, সরকার বদলায় কিন্তু নীতি বদলায় না—তাই আন্দোলনে অংশ নেওয়াকে তারা সময়ের অপচয় ভাবেন।

তবে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দীর্ঘদিন থেকে বাংলাদেশ সরকারের কাছে বিমান টিকিটের মূল্যহ্রাস, রেমিট্যান্স পাঠানোর পদ্ধতি নিরাপদ ও সহজিকরণ, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের সেবার মানোন্নয়ন, দেশে বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করে কর-ছাড় ও প্রণোদনা, কর্মস্থলে দুর্ঘটনা বা মৃত্যুর পর ক্ষতিপূরণের কার্যকর ব্যবস্থা, বিদেশ ফেরত প্রবাসীদের কর্মসংস্থান ব্যবস্থা ও পেনশন সুবিধার আওতায় আনা, দেশে প্রবাসী ও তাদের পরিবারের নিরাপত্তায় বিশেষ আইনের ব্যবস্থা করা এবং এয়ারপোর্টে হয়রানি বন্ধ সহ বিভিন্ন দাবিদাওয়া জানিয়ে আসছেন। তবে এসব এখনো আলোচনাতেই সীমাবদ্ধ; কোনো বাস্তব রূপ নেয়নি।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দ্বায়িত্ব নেয়ার পর একজন উপদেষ্টা বলেন, “প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতির প্রাণ। তাদের সমস্যা ও দাবি নিয়ে আলাদা একটি টাস্কফোর্স গঠনের চিন্তা চলছে। তবে প্রবাসী সমাজ মনে করে, আগেও অনেক আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, কিন্তু বাস্তবে তা ফলপ্রসূ হয়নি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যমতে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলার। এই বিপুল অঙ্কের রেমিট্যান্সই দেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভকে টিকিয়ে রেখেছে।

বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রবাসীরা যদি সংগঠিতভাবে তাদের নীতিগত দাবি তুলে ধরতে পারতেন, তবে শুধু তাদের কল্যাণ নয়, দেশের অর্থনীতিও আরও সুসংহত হতে পারত। দেশের রাজনীতিতে যখন নতুন রূপান্তরের সময় চলছে, তখন প্রবাসী সমাজের এই নীরবতাই একদিন নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে পারে। তারা হয়তো এখন আন্দোলনে নেই, কিন্তু তাদের রেমিট্যান্সই প্রতিদিন দেশের চাকা ঘোরাচ্ছে—নীরবে, নিয়মিতভাবে, অবিরাম। এটা ভূলে গেলে চলবেনা। প্রবাসীদের সমস্যা সম্ভাবনা নিয়ে সরকারের নীতিনির্ধারকদের অবশ্যই ভেবে দেখা উচিৎ।

২০২৬ সালকে ‘পরিবারের বছর’ হিসেবে ঘোষণা করলেন আমিরাতের রাষ্ট্রপতি

৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপতি ২০২৬ সালকে ‘পরিবারের বছর’ হিসেবে মনোনীত করার নির্দেশ দিয়েছেন।এই পদক্ষেপের লক্ষ্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের সম্প্রদায়, নাগরিক এবং প্রবাসীদের সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আমিরাতি পরিবারের বিকাশের জন্য জাতীয় এজেন্ডার লক্ষ্যগুলিকে প্রচার করা।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপতি শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের উপস্থিতিতে ‘জাতীয় পরিবার বৃদ্ধির এজেন্ডা ২০৩১’-এর সময় এটি ঘোষণা করা হয়েছিল, যা ২০২৫ সালের জন্য আবুধাবিতে সরকারের বার্ষিক সভার অংশ হিসাবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে ফেডারেল এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নেতা এবং কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেছিলেন।

মোটিভেশনাল উক্তি
নতুন থিমটি পারিবারিক সংহতি এবং শক্তিশালী পারিবারিক সম্পর্ক সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরে যা পরিবারের সদস্যদের একত্রিত করে, কারণ তারাই একটি শক্তিশালী এবং সমৃদ্ধ সমাজ স্থাপিত মৌলিক স্তম্ভ।

এটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের সম্প্রদায়ের বৈশিষ্ট্যযুক্ত সহযোগিতা, যোগাযোগ এবং সম্প্রীতির খাঁটি মূল্যবোধগুলিকে স্থাপনে পরিবারের ভূমিকার উপরও আলোকপাত করে এবং ভবিষ্যতের প্রজন্মের কাছে সেগুলি সংরক্ষণ ও স্থায়ী করার জন্য প্রেরণ করে।

রাষ্ট্রপতি নিশ্চিত করেছেন যে আমিরাতি পরিবারের বিকাশ “আমাদের অস্তিত্ব, আমাদের পরিচয়, আমাদের জাতির ভবিষ্যত এবং আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার” সাথে সম্পর্কিত। নেতা আরও বলেন যে এর বৃদ্ধি একটি জাতীয় অগ্রাধিকারের প্রতিনিধিত্ব করে, কারণ পরিবার, এর স্থিতিশীলতা এবং এর শক্তি দীর্ঘমেয়াদে জাতির স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধির জন্য একটি মৌলিক স্তম্ভ।

শেখ মোহাম্মদ প্রতিষ্ঠাতা পিতা শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের উক্তির দিকে ইঙ্গিত করেছেন যে,পরিবার হল যেকোনো শক্তিশালী সমাজের ভিত্তি।

জাতীয় টাস্ক ফোর্স এই এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য, পারিবারিক বৃদ্ধির সাথে সম্পর্কিত ২০টিরও বেশি ফেডারেল এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে একটি জাতীয় টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে, যা তিনটি বিষয়ের উপর আলোকপাত করে।

প্রথমটি বর্তমান নীতি এবং কর্মসূচি পর্যালোচনার সাথে সম্পর্কিত যা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পারিবারিক বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করে, অন্যদিকে দ্বিতীয়টি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আমিরাতি পরিবারের সাথে মাঠ পর্যায়ের সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে পারিবারিক বৃদ্ধির আচরণগত এবং সামাজিক উদ্দেশ্যগুলি বোঝার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। এদিকে, তৃতীয়টি বর্তমান প্রজনন স্বাস্থ্য উদ্যোগগুলি পর্যালোচনা এবং সেগুলি মোকাবেলা করার জন্য তাদের মুখোমুখি চ্যালেঞ্জগুলি বোঝার সাথে সম্পর্কিত।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের শাসক বলেছেন যে পরিবার মন্ত্রণালয় জাতীয় কৌশল বিকাশের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল যা এর বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে এবং ঐতিহ্য এবং রীতিনীতির পাশাপাশি মূল্যবোধ, জাতীয় পরিচয় এবং শিক্ষাকে সুসংহত করার ক্ষেত্রে সমাজে এর ভূমিকা পালন করে। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে আমাদের সংস্কৃতি, মূল্যবোধ এবং পরিচয় সংরক্ষণের জন্য আমিরাতি পরিবার প্রতিরক্ষার প্রথম সারির।

শেখ মোহাম্মদ আরও বলেন যে, পারিবারিক বিকাশের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা কেবল পরিবার বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি একটি সম্মিলিত দায়িত্ব যার জন্য সরকারি সংস্থা থেকে শুরু করে বেসরকারি খাত এবং সমগ্র সমাজ পর্যন্ত জাতীয় ব্যবস্থার সকল উপাদানের অংশগ্রহণ এবং সমন্বয় প্রয়োজন।

আমিরাতের বছর ২০১৫ সালে চালু হওয়ার পর থেকে, ‘আমিরাতের বছর’ উদ্যোগটি জাতীয় অগ্রাধিকারের সাথে আমিরাতকে তাদের বাড়ি বলে মনে করে এমন সকলকে সংযুক্ত করার এবং স্থানীয় গল্প বলার মাধ্যমে সম্মিলিত পদক্ষেপ এবং ইতিবাচক আচরণকে অনুপ্রাণিত করার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা অব্যাহত রেখেছে।

২০২৬ সালে পরিবার বছরের সময়, এই উদ্যোগের লক্ষ্য পরিবারের মর্যাদাকে সমর্থন করা এবং সমাজের মৌলিক স্তম্ভ এবং এর সমৃদ্ধির ভিত্তি হিসাবে এর বৃদ্ধি এবং ধারাবাহিকতা বৃদ্ধি করা।

শেখ মোহাম্মদ স্বাস্থ্য থেকে শিক্ষা, গৃহায়ন, অর্থনীতি, মিডিয়া এবং অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের উদ্যোগ এবং পরিকল্পনাগুলিকে সমর্থন করে এবং জাতীয় আলোচনায় এবং সমাজের সদস্যদের মধ্যে পরিবারের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করে এই ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা পালন করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।

নেতা এই বলে শেষ করেন যে পারিবারিক বিকাশ আমাদের বর্তমান এবং ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।সহযোগিতা দলগত কাজ সচেতনতা এবং ভাগ করে নেওয়া দায়িত্বের মাধ্যমে, আমরা আমাদের লক্ষ্যগুলি এমনভাবে অর্জন করতে পারি যা সমাজ এবং আমিরাতের জাতীয় পরিচয়ের সেবা করে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ