
বিশ্বঅলি শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) এর রওজা পাকে গিলাপ চড়ানো ও আতর গোলাপ পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যদিয়ে মহান ২৬ আশ্বিন এর ওরশ শরীফের কার্য্যক্রম শুরু করে বিশ্ব মানবতার কল্যাণ কামনায় আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করতে গিয়ে তিনি একথা বলেন।
উরশ শরীফ এর পবিত্র গোসল শরীফে উপস্থিত সকলকে কবুল করার জন্য তিনি আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করেন।
পরে হুজুর গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী (কঃ)-র দরবারে হাজির হয়ে তিনি বলেন, মহান ২৬ আশ্বিন, বিশ্ব অলি শাহান শাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী কঃ 'র পবিত্র বার্ষিক ওরশ শরীফ,যার পবিত্র নাম মোবারক হুজুর গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী (কঃ) নিজ দয়া গুণে নিজে পরিবর্তন করে জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী রেখেছিলেন,যাকে জগতের জন্য চেরাগ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং অসিয়ে গাউসুল আযম এই মহান হাস্তীকে খোশরোজ শরীফ পালনের অনুমতি প্রদান করে তার ব্যক্তিত্ব এবং স্বাতন্ত্রকে অনুমোদন করেছিলেন,যার আলোয় এই জগতবাসী আলোকিত হয়েছে, অগণিত আল্লাহর বান্দারা হুজুর গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী (কঃ) 'র পবিত্র ত্বরিকা'র সামিয়ানার তলে সমবেত হতে পেরেছে । এই শোকরিয়া আদায়ের দিনে,বরকতময় দিনে হুজুর গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারীর কদমে সকলের হাজিরা কবুল করার জন্য আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করেন মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ, গাউসিয়া হক মনজিলের সম্মানিত সাজ্জাদানশীন রাহবারে আলম হযরত সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী (ম.) ।
তিনি গাউসুল আজম বিন বিরাসাত শাহসুফি সৈয়দ গোলামুর রহমান মাইজভাণ্ডারী (ক.) এবং অছি এ গাউসুল আজম শাহসুফি সৈয়দ দেলওয়ার হোসেন মাইজভাণ্ডারী (ক.) মাজার শরীফ জেয়ারত করেন।
ইতোমধ্যে বিশ্বঅলি শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক (ক.) ৩৭তম বার্ষিক ওরশ শরীফ উপলক্ষে দরবার শরীফ সহ আশপাশের এলাকা ভক্ত-জায়েরীনদের পদ চারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। দেশ-বিদেশ থেকে আগত হাজার হাজার ভক্ত অনুরক্ত রওজা শরীফ জেয়ারত করতে ভিড় করেছেন।
আগত আশেক-ভক্ত জায়েরীনরা নফল নামাজ, কুরান তেলাওয়াত, মিলাদ, দোয়া, মুনাজাতের মাধ্যমে নিজেদের মত করে মহান আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করছেন। ভক্তদের যাতায়াত নির্বিঘ্নে করতে আইন শৃংঙ্খলা রক্ষায় ফটিকছড়ি প্রশাসনসহ গাউসিয়া হক মনজিল বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।