আজঃ মঙ্গলবার ১১ নভেম্বর, ২০২৫

কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্কে নিবেদন করে জাতীয় কবিতা পরিষদের অনন্য এক আয়োজন ।।

রিপন শান

দ্রোহ, প্রেম ও প্রতিবাদের কবি, জাতীয় কবিতা পরিষদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্’র ৬৯তম জন্মদিনকে নিবেদন করে গত ২১ অক্টোবর২০২৫ মঙ্গলবার বিকেলে৫টায়, রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেন রোডের ‘কাজল মিলনায়তন’-এ অনুষ্ঠিত হয়েছে জাতীয় কবিতা পরিষদের ৫১তম কবিতাপাঠ ও আলোচনা অনুষ্ঠান।

কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ’র ঘনিষ্ঠ বন্ধু, জাতীয় কবিতা পরিষদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান সভাপতি কবি মোহন রায়হানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে কবিকে নিয়ে আলোচনা করেন অ্যাটর্নী জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ’র ছোট ভাই চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. সাইফুল্লাহ, আসাদুজ্জামানের স্ত্রী শিরিন সুলতানা এবং রুদ্র’র আরেক বন্ধু কবি ও লেখক তুষার দাশ। কন্ঠশিল্পী পারহান উদ্দিনের কন্ঠে রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ’র লেখা ‘ভালো আছি ভালো থেক, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখ’ এবং শিল্পী মিশু দাসের কন্ঠে প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের ‘আমি বাংলায় গান গাই’ সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।

সূচনা বক্তব্যে কবি মোহন রায়হান বলেন, জাতীয় কবিতা পরিষদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা রুদ্রের অনেক কীর্তি । সে কবিতা লিখেছে, গান লিখেছে, গল্প লিখেছে, নাটক লিখেছে, অভিনয় করেছে, সাড়া জাগানো প্রেম করেছে, লড়াই লড়েছে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে। বাংলাদেশের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য যে দুটি ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক প্লাটফর্ম ‘সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও ‘জাতীয় কবিতা পরিষদ’-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিল রুদ্র। রুদ্র তৎকালীন পাকিস্তানী শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছিল তাঁর উপনিবেশ বিরোধী চেতনার জাগরণের মধ্য দিয়ে। রুদ্র ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল। রুদ্র ছিল আমার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তাঁর সঙ্গে অনেক দুঃখ-বেদনা-বিরহ, আনন্দ ও সুখের স্মৃতি রয়েছে। তাঁর জন্মদিনকে স্মরণ করে আজকের অনুষ্ঠানটি আয়োজন করতে পেরে খুব ভালো লাগছে। আজ রুদ্রকে নিয়ে বলার জন্য ব্যতিক্রমী এক মানুষকে আমরা আমন্ত্রণ জানিয়েছি, বাংলাদেশের সম্মানীয় অ্যাটর্নী জেনারেল ও বিশিষ্ট লেখক আইনজীবী মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানকে। তাঁর জীবনও বৈচিত্রময়, আন্দোলনমুখর এবং সংগ্রামে উত্তাল। মেধাবী আসাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তুখোড় ছাত্রনেতা ছিল। আমার অত্যন্ত স্নেহভাজন আসাদ একসময় আমার সহযোদ্ধা ছিল। সেই সময় অবৈধ ক্ষমতার দখলদার সামরিক স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আসাদ অত্যন্ত সাহসী ভূমিকা পালন করেছে।
অনুষ্ঠানে কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্‌কে নিয়ে অ্যাটর্নী জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, আমার জীবনের প্রথম প্রেম রাজনীতি এবং শেষ প্রেমও রাজনীতি। এই রাজনৈতিক জীবনের ভাঙা-গড়া, উত্থান-পতন রয়েছে। এই ক্ষেত্রে যাঁরা অবদান রেখেছেন, উৎসাহ যুগিয়েছেন তাদের মধ্যে কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ও কবি মোহন রায়হান অন্যতম ভূমিকা রেখেছেন। আমি ক্লাস এইটের যখন ছাত্র তখন কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর ‘বাতাসে লাশের গন্ধ’ কবিতাটি আমার রক্তে আগুন জ্বেলে দেয়। কবি মোহন রায়হানের রাউফুন বসুনিয়াকে নিয়ে লেখা কবিতাটিও আমাকে ভীষণভাবে আন্দোলিত করে। রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ ও মোহন রায়হানকে অনুসরণ করতে পেরে এবং মোহন রায়হানকে নেতা হিসেবে পেয়ে আমার রাজনৈতিক অগ্রযাত্রায় কবিতার প্রতি একটা মোহ জন্ম নেয়। চলছি চলছি হঠাৎ প্রেমে পড়ে গেলাম। নাম তার মাধবী। তাকে প্রথম যখন প্রেমের কথা বলি, তখন কবি রুদ্রের কাছ থেকে ধার করে নিয়ে বলেছিলাম-‘অভিলাষী মন চন্দ্রে না পাক, জ্যোৎস্নায় পাক সামান্য ঠাঁই।’ তাকে মুগ্ধ করার অন্য কোনো পন্থা ছিল না আমার, রাজনীতির প্রেমে যখন আমি মগ্ন তখন একজন নারীকে কীভাবে আকৃষ্ট করা যায় তার জন্য আমি রুদ্রের কাছে ফিরে গিয়েছিলাম। আমি নিজেকে রাজনৈতিকভাবে শাণিত করার জন্য রুদ্রের কাছ থেকে সাহস ধার করেছিলাম।

অনুষ্ঠানে কবিতাপাঠ করেন কবি মোহন রায়হান, কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন, কবি তুষার দাশ, কবি লিলি হক, কবি গোলাম শফিক, কবি মনজুরুর রহমান, কবি কামার ফরিদ, কবি শ্যামল জাকারিয়া, কবি এবিএম সোহেল রশিদ, কবি নূরুন্নবী সোহেল, কবি তপন রায়, কবি আমিনুল ইসলাম, কবি মাহবুব শওকত, কবি ক্যামেলিয়া আহমেদ, কবি আসাদ কাজল, কবি দীরাজ মাহমুদ, কবি ইউসূফ রেজা, কবি জামিল জাহাঙ্গীর, কবি রোকন জহুর, কবি মনিরুজ্জামান রোহান, কবি শিমুল পারভীন, কবি আফিয়া রুবি, কবি শাহীন চৌধুরী, কবি কাব্য রাসেল, কবি মিঠু কবির, কবি সবুজ মনির, কবি জয়নুল আবেদীন জয়, কবি শ্যাম সুন্দর কুণ্ডু, কবি মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান , কবি কাওসার জসিম, কবি আব্দুর রাজ্জাক, কবি এম, এ, করিম, কবি মিলি হক, কবি রানা হামিদ, কবি টিমুনী খান রীনো, কবি মেহেদী হোসেন, কবি মনিরুজ্জামান পলাশ, কবি শরীফ খান দীপ, কবি মোহাম্মদ জহুরুল ইসলাম মনজু, কবি নীপা চৌধুরী, কবি সফিকুর রহমান, কবি শেখ সাদী মারজান, কবি ফরিদুজ্জামান, কবি ইলোরা সোমা, কবি সাইদুর রহিম বিটুল, কবি শিশির বিন্দু বিশ্বাস, কবি শাজু শাহজাহান, কবি উত্তম চক্রবর্তী, কবি ইসরাত ঝিমি, কবি কামরুজ্জামান কায়েম, কবি প্রভাবতী চক্রবর্তী, কবি আবীর বাঙালি, কবি ইমরুল কায়েস, কবি কৌমুদী নার্গিস, কবি সাবিনা ইয়াসমিন, কবি আউয়াল খন্দকার, কবি মো. মাহবুবুর রহমান, কবি আতিকুজ্জামান খান, কবি মোস্তাক মুকুল, কবি জামসেদ ওয়াজেদ, কবি মেসবাউর রহমান, কবি মেজবাহ মুকুল, কবি তাসকিনা ইয়াসমিনসহ সত্তর জন কবি । রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ’র কবিতা আবৃত্তি করেন- বাচিক শিল্পী মেহেদী হাসান, কবি মনিরুজ্জামান পলাশ, অনন্যা মাহমুদ ও ইশরাত ঝিমি। রুদ্রকে লেখা তসলিমার চিঠি পাঠ করেন কবি শিমুল পারভীন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন কবি মনিরুজ্জামান রোহান ও কবি শিমুল পারভীন। গান, কবিতা, বাঁশি, আবৃত্তি, কথামালা আর ‘অয়েল ফ্রি’ স্বাস্থ্যসম্মত সুস্বাদু খাবারের আপ্যায়ন সবমিলিয়ে জাতীয় কবিতা পরিষদের রুদ্র স্মারক অনুষ্ঠানটি ছিল হৃদয়গ্রাহী ও জমজমাট ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

পল্লবীতে ‘সখী বাহিনী’র পতন: কুখ্যাত ডাকাত সখী হোসেনসহ পাঁচজন আটক, স্বস্তি ফিরেছে এলাকায়।

রাজধানীর পল্লবী থানা এলাকায় অবশেষে পর্দা নামলো দীর্ঘদিনের আতঙ্ক ‘সখী বাহিনী’র। ভয়ঙ্কর অপরাধচক্রটির মূল হোতা সখী হোসেনসহ পাঁচ সদস্যকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার গভীর রাতে মিল্লাত ক্যাম্প এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানে যায় পল্লবী থানা পুলিশ। অভিযানের একপর্যায়ে সখী বাহিনীর সদস্যরা পালানোর চেষ্টা করলে ধাওয়া করে পাঁচজনকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র, ছুরি, চাবি কাটার সরঞ্জাম ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—সখী হোসেন, চক্রের মূল হোতা; যার নামে একাধিক ডাকাতি, অস্ত্র ও মাদক মামলা রয়েছে।২,সাবির হোসেন সজিব (২৪), রূপনগর থানার মাদক মামলার আসামি।৩.রাজু ওরফে বাদল,
৪.জুয়েল,৫.আসিফ হোসেন।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই চক্রটি পল্লবী, রূপনগর ও মিরপুর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সংঘবদ্ধভাবে ডাকাতি, ছিনতাই ও মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। সখী নিজেকে স্থানীয় ‘ডন’ হিসেবে পরিচয় দিত এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করতো।

পল্লবী থানার এক কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। পুলিশের ধারণা, তাদের পেছনে আরও বড় নেটওয়ার্ক সক্রিয় ছিল।স্থানীয়দের ভাষায়, “রাতের বেলা ঘর থেকে বের হওয়া দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠেছিল। সখী বাহিনী ধরা পড়ার পর এলাকায় এখন শান্তি ফিরেছে।”
পুলিশ জানিয়েছে, এই চক্রের পলাতক সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

পল্লবীতে মাদকবিরোধী অভিযানে সংবাদ সংগ্রহকালে অসুস্থ সাংবাদিক এস. এম. রফিক

রাজধানীর পল্লবী থানায় চলমান মাদকবিরোধী অভিযানের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন সাংবাদিক এস. এম. রফিক। থানার ১১ নম্বর সেকশনে অভিযান চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অভিযান চলার সময় হঠাৎ মাথা ঘোরা ও শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন সাংবাদিক এস. এম. রফিক। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। পরে উপস্থিত পুলিশ সদস্য ও সহকর্মী সাংবাদিকরা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে কাছের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।
চিকিৎসকরা জানান, অতিরিক্ত ধোঁয়া ও ক্লান্তির কারণে তিনি সাময়িকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। বর্তমানে তিনি ওষুধ গ্রহণের পর শারীরিকভাবে অনেকটাই সুস্থ আছেন।
পল্লবী থানার অফিসার তদন্ত (ওসি) বলেন,
সম্প্রতি পল্লবী থানা এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান জোরদার করা হয়েছে। গত এক সপ্তাহের ধারাবাহিক অভিযানে গ্রেফতার হয়েছে বেশ কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী এবং উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ