

খাস কালেকশান তথা সরকারি ব্যবস্থাপনায় চলছে বড়ঘোপ-দরবারঘাট টু মগনামা পারাপারঘাট। কিন্তু তার পরেও কমছেনা নৌকা ভাড়া। বর্তমানে জনপ্রতি ডেনিসবোটে ৩০ টাকা ও স্পীডবোটে ৮০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। মালামাল পরিবহনে নেয়া হচ্ছে ইচ্ছেমাফিক ভাড়া, যা নিয়ে সাধারণ যাত্রীরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
অভিযোগ রয়েছে, ঘাট দু’টি খাসকালেকশানে চললেও টাকাগুলো সরকারি কোষাগারে জমা হচ্ছে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে জনমনে। অন্যদিকে ঘাটের নিয়ন্ত্রণে থাকা পাটনিরা (ঘাট শ্রমিক) যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবাদ করলে যাত্রীদের অপদস্থ হতে হয় তাদের হাতে।
প্রতিবছর ১লা বৈশাখে ইজারা দেয়া হলেও চলতি বছর ইজারাদার না পাওয়ার অজুহাতে খাস কালেকশানে চলছে ঘাট দু’টি। অথচ আগের মতোই অতিরিক্ত ভাড়া আদায় অব্যাহত রয়েছে বলে অভিযোগ যাত্রী সাধারণের।
বড়ঘোপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কুতুবদিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আ.ন.ম. শহীদউদ্দিন ছোটন বলেন, হয় ডেনিসবোটের ভাড়া ২০ টাকা ও স্পীডবোটের ভাড়া ৬০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে, না হয় খাস কালেকশান বন্ধ করে নতুন ইজারাদার নিয়োগ দিতে হবে।” এ দাবি মানা না হলে ২০ টাকা ও ৬০ টাকা করে যাত্রী পারাপারের ব্যবস্থা করবে তাঁর পরিষদ।
এদিকে ইউএনও ক্যথোয়াইপ্রু মারমা জানিয়েছেন, পরপর ৩বার ইজারা আহবান করেও পাটনি না পাওয়ায় জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা মতোই চলছে ঘাট পারাপার।