
কুতুবদিয়ার দ্বীপের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে বিশ্বব্যাংকের সহযোগী সংস্থা আরটিএমআই একটি ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স দেন। কিন্তু, ওই ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্সটির জ্বালানি ও জনশক্তির সংকটের কারণে অ-ব্যবহারে অযত্নে পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয়দের দাবি, জরুরি স্বাস্থ্য সেবায় দ্বীপবাসীর জন্য এই ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্সটি চালু করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুনজরের দাবি করেন। এদিকে, দ্বীপবাসীর সেবা বঞ্চিত একমাত্র ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্সটি বড়ঘোপ জেটিঘাটের উত্তর পাশে কাঁদা মাটিতে পুরোপুরি অকেজো হয়ে পড়ে আছে। রবিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্সটির এই বেহাল দশা চোখে পড়ে যায়।
সূত্রে জানা যায়, কুতুবদিয়ার ছয়টি ইউনিয়নের প্রায় দুই লাখ মানুষের বসবাস। তাদের জন্য একটি ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ১২ কমিউনিটি ক্লিনিক থাকলেও আধুনিক সুযোগ সুবিধা না থাকায় জেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে সাধারণ যাত্রীদের সাথে সাগরপাড়ী দিয়ে যেতে হয় মুমূর্ষু রোগীদের। এ দূর্দশা দূর করতে গত ২ বছর আগে একটি ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স দেয় আরটিএমআই। কিন্তু, কয়েক দিন ব্যবহার করার পর ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে নষ্ট হয়। পরে, সংস্কার করেও মুমূর্ষু রোগীদের জন্য এটি ব্যবহার হচ্ছে না। ফলে, বড়ঘোপ জেটিঘাটেই কাঁদা মাটিতেই বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। স্থানীয়দের দাবি এ ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্সটি কখনও জনসাধারণের সেবায় আসেনি। তেলের বরাদ্দ এবং জনবল না থাকায় ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্সের এমন বেহাল পরিস্থিতি বলছেন দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় জনসাধারণ বলেন, রোদ-বৃষ্টির মধ্যে নৌকায় পারাপারে সময় সুস্থ মানুষ অনেক সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন। রোগীদের দুর্ভোগের শেষ নেই। এ ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্সটি চালু হলে সঠিক সময়ে উন্নত স্বাস্থ্য সেবা মুমূর্ষু রোগীরা পাবে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রেজাউল হাসান বলেন, জ্বালানি তেলের সরকারি বরাদ্দ এবং জনবল না থাকায় ওয়াটার অ্যাম্বুুলেন্সটি অকেজো হয়ে পড়েছে। এ সমস্যার কারণে ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্সের সেবা পাচ্ছে না দ্বীপবাসী। তবে, উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা করলে এটি পুনরায় চালু করার কথা বলেন এই কর্মকর্তা।