কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় শুঁটকি গুঁড়া উল্লৎপাদন শুরু হয়েছে। চলছে কেনা-বেচা। দীর্ঘ ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে সমুদ্র সৈকতে মশারী বিছিয়ে আহরিত মাছ গুলো ধুয়ে রোদে শুকিয়ে তৈরি করছে শুঁটকি গুঁড়া। পরে, এগুলো বস্তা ভরে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ব্যবসায়ীদের এ শুঁটকি গুড়া বিক্রি করে। এতে ভোলা চিংড়ি, কাঁকড়া, কুঁচিয়া, চামিলা, টেকচাঁদাসহ নানা প্রজাতির মাছ ও পোকা-মাকড় রয়েছে।

তাদের তথ্য মতে, দশক আগে এসব শুঁটকি গুঁড়া উৎপাদন শুরু হয়। তবে, লাভজনক হওয়ায় স্থানীয় জেলে শ্রমিকেরা এ পণ্য উৎপাদনের দিকে ঝুঁকেছেন। এখন কুতুবদিয়ার শুঁটকি ৫০-৬০ টি মহলে এ পণ্য উৎপাদিত হয়।
জেলে শ্রমিকেরা জানিয়েছেন, সাগরে মাছের সঙ্গে জেলেদের জালে ভোলা চিংড়ি, কাঁকড়া, কুচিয়া, চামিলা, টেকচাঁদাসহ বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ ও পোকামাকড় পাওয়া যায়। এগুলো তাদের ব্যয় কমানোর জন্য উপকূলে এনে শুঁটকিতে পরিণত করে। পরে, আলাদা প্রজাতি সনাক্ত করে বিক্রি করা হয়। যা মাছ ও মুরগীর খাদ্য তৈরিতে ব্যবহার করে।

কুতুবদিয়ার শুঁটকি গুঁড়া ব্যবসায়ী উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের ফরিদ উদ্দিন এবং কৈয়ারবিল ইউনিয়নের রহিমুল্লাহ সহ অনেকেই জানিয়েছেন, কুতুবদিয়ায় কয়েক হাজার মানুষ শুঁটকি গুঁড়া উৎপাদন ও কেনা-বেচার সঙ্গে জড়িত। এখানে অন্তত ছোটোবড়ো ৫০-৬০টি মহলে শুঁটকি গুঁড়া উৎপাদন হয় এবং গোডাউনে মজুদ করে। পরে, সেখান থেকে শুঁটকি গুঁড়া বিক্রি করা হয়। তবে, এসব জেলে শ্রমিকেরা সরকারের কোন সহায়তা পায় না।