বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালায় অ্যাগ্রিভোলটাইকস বা কৃষিবিদ্যুৎ অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে আইএসডিই বাংলাদেশ, কোস্টাল লাইভলিহুড অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাকশন নেটওয়ার্ক এবং বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট চান্দগাঁও চট্টগ্রামে সোমবার প্রচারাভিযানের আয়োজন করা হয়। প্রচারাভিযানে বক্তরা বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য শক্তি নীতিতে অ্যাগ্রিভোলটাইকস ব্যবহার বৃদ্ধি করা এবং ওঊচগচ তে-অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান।
অ্যাগ্রিভোলটাইকস ব্যবস্থায় একই জমিতে কৃষি ও সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন একসাথে করা সম্ভব, ফলে কৃষকরা একদিকে ফসল উৎপাদন চালিয়ে যেতে পারেন, অন্যদিকে সৌরবিদ্যুৎ বিক্রি করে অতিরিক্ত আয় করতে পারেন। এতে কৃষকদের আর্থিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে, পাশাপাশি জমির উৎপাদনশীলতা ও পরিবেশের ভারসাম্যও রক্ষা পাবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একদিকে নবায়নযোগ্য জ্বালানির অংশ বৃদ্ধি পাবে, অন্যদিকে গ্রামীণ কৃষকরা বিদ্যুৎ উৎপাদনের অংশীদার হতে পারবেন।
পাশাপাশি নেট মিটারিং নীতিতে অ্যাগ্রিভোলটাইকস অন্তর্ভুক্ত হলে কৃষকরা নিজেদের ব্যবহারের অতিরিক্ত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করে বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয় ও অতিরিক্ত আয় করতে পারবেন।
ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও আইএসডিই বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক এস এম নাজের হোসাইন বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানী নীতিতে কৃষিবিদ্যুৎ এর অন্তর্ভুক্তি দেশের শক্তি নিরাপত্তা ও গ্রামীণ অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অ্যাগ্রিভোলটাইকস ব্যবস্থায় সৌর প্যানেলের নিচে ছায়ায় আর্দ্রতা কিছুটা বেশি থাকে, যা অনেক ফসলের উৎপাদনে সহায়ক।
এটি জমির গরম হওয়া কমায়, মাটির পানি ধরে রাখে, এবং তাপপ্রবাহের ক্ষতি থেকে ফসলকে রক্ষা করে। ফলে কৃষি উৎপাদন ও পরিবেশ দু’দিকেই লাভবান হয়। অ্যাগ্রিভোলটাইকস ব্যবস্থা পরিবেশবান্ধব এবং টেকসই। এটি মাটির আর্দ্রতা ধরে রাখে, ফসলকে তাপ ও অতিরিক্ত সূর্যের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং কার্বন নিঃসরণ কমায়। কৃষি ও বিদ্যুতের এই সমন্বয় বাংলাদেশে সবুজ, টেকসই এবং লাভজনক কৃষি ব্যবস্থার পথ খুলে দিচ্ছে, যা কৃষকের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি দেশের নবায়নযোগ্য শক্তির সম্ভাবনাকেও বাড়াবে।
প্রচারাভিযানে অন্যান্যদের মধ্যে এডাব চট্টগ্রামের সাবেক সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, বাংলাদেশ ফ্রুটস অ্যান্ড ভেজিটেলস এক্সপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশন এর কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সেলিম জাহাঙ্গীর, জেলা সামাজিক উদ্যোক্তা পরিষদের যুগ্ন সম্পাদক মোহাম্মদ জানে আলম, অধিকার চট্টগ্রামের সমন্বয়ক ওসমান জাহাঙ্গীর, যুব ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের আবরারুল করিম নেহাল, সিরাতুল মুনতাহা, প্রমুখ সংহতি প্রকাশ করেন। অংশগ্রহণকারীদের অভিজ্ঞতা এবং প্রতিজ্ঞা প্রচারাভিযানকে আরও শক্তিশালী করে তোলে এবং ভবিষ্যতে জলবায়ু সুবিচারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।