আজঃ শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

বিদেশিদের ইজারা দেয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে চট্টগ্রাম বন্দরের সব প্রবেশমুখে অবরোধ করবে স্কপ

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন স্থাপনা বিদেশিদের ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে আগামী বুধবার (২৬ নভেম্বর) বন্দরের সব প্রবেশমুখে অবরোধের ডাক দিয়েছে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)। শনিবার দুপুরে স্কপের শ্রমিক কনভেনশন থেকে বিভাগীয় শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক ও বন্দর সিবিএ’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহার এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।


চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ‘জুলাই বিপ্লব স্মৃতি হলে’ দিনব্যাপী এ কনভেশনে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের জাতীয় ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।জানা গেছে, গত ১৭ নভেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরের লালদিয়া চরে টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য ডেনমার্কের এপিএম টার্মিনালস নামে একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ৩৩ বছরের চুক্তি করেছে সরকার।

এই মেয়াদ আরও ১৫ বছর বাড়ানোর সুযোগ আছে চুক্তিতে। একইদিন কেরাণীগঞ্জের পানগাঁও নৌ টার্মিনাল ২২ বছর মেয়াদে পরিচালনার জন্য সুইজারল্যান্ডের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। এছাড়া বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালও (এনসিটি) বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত আছে সরকারের।

সরকারের বন্দর নিয়ে কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় ডাকা কনভেনশনে কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহার বলেন, হাইকোর্টের বিচারপতিরা স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) বিষয় নিয়ে আর অগ্রসর হওয়া যাবে না। তারা (সরকার) কিন্তু হাইকোর্টের কথাও মানছে না। আমরা শুনেছি, আগামী ২৫, ২৬, ২৭ নভেম্বর ঢাকায় বৈঠক ডাকা হয়েছে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল নিয়ে ডিপি ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে চুক্তি করার জন্য। ২৬ তারিখ ভেটিং করবে, ২৭ তারিখ চুক্তি করবে- এরকম কথা শোনা যাচ্ছে।


আমরা চট্টগ্রামের নেতারা বসেছিলাম। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামী ২৬ তারিখ (নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরের এন্ট্রি পয়েন্ট যেগুলো আছে- আগ্রাবাদ, বড়পোল এবং মাইলের মাথা, এ তিনটি জায়গায় সর্বাত্মক অবরোধ হবে। আমি সমস্ত শ্রমিক-কর্মচারী ভাইদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নেমে সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার এ চক্রান্ত প্রতিহত করার আহ্বান জানাচ্ছি।এছাড়া বন্দর রক্ষা ও শ্রমিক অধিকার আদায়ে স্কপের ৯ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে থেকে জেলায়-জেলায় বিক্ষোভের কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়েছে।

কনভেনশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ্রম সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর বিরাষ্ট্রীয়করণ, পাটকল ইজারা দেওয়া, বিক্রি করে দেওয়া, সরকারি কলকারখানা বন্ধ করে দেওয়া, শ্রমিকদের অধিকারের বিভিন্ন দাবিদাওয়া- এগুলো সবকিছু নিয়ে আমাদের একটা জাতীয় ইশতেহারের মতো করতে হবে। আর চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে এই আন্দোলনে ব্যবসায়ীদেরও এগিয়ে আসতে হবে। বন্দর রক্ষা করার দায়িত্ব ব্যবসায়ীদেরও আছে। যখন রাস্তায় আন্দোলনের প্রশ্ন আসে তখন শ্রমিকদের দায়িত্ব আর যখন আন্দোলন শেষ হয়ে যাবে তখন ব্যবসা করা ব্যবসায়ীদের দায়িত্ব- এটা হতে পারে না।

আমি আহ্বান জানাই, ২৬ তারিখের অবরোধ কমর্সূচির পর আসেন আমরা একবার সবাই মিলে ঢাকায় বসি। সেখানে ব্যবসায়ীদেরও আসতে হবে। আমাদের লড়াই জারি রাখতে হবে। সকল শ্রমিক সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এক ছাতার নিচে আসতে হবে। স্কপ যে উদ্যোগটা নিয়েছে আমি সাধুবাদ জানাই। শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের সকল ইস্যুতে সবাইকে একমত থাকতে হবে এবং দীর্ঘমেয়াদী লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক ও বন্দর সিবিএ’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহারের সভাপতিত্বে কনভেনশনে আরও বক্তব্য রাখেন স্কপের যুগ্ম সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি আব্দুল কাদের হাওলাদার, জাতীয় শ্রমিক জোটের সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, জাতীয় শ্রমিক জোট-বাংলাদেশের সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা,

শ্রম সংস্কার কমিশনের সদস্য ও বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সহ-সভাপতি তপন দত্ত, স্কপের যুগ্ম সমন্বয়ক ও সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এ এ এম ফয়েজ হোসেন এবং জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রাম ও চাঁদপুরে অভিযানে তিনমাসে ২৬২১টি কচ্ছপ উদ্ধার

ছবি-১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম থেকে একের পর এক পাচার হচ্ছে ‘প্রকৃতির ঝাড়ুদার’ কচ্ছপ। চট্টগ্রাম মহানগরের রিয়াজউদ্দিন বাজার কচ্ছপ পাচারের ট্রানজিট পয়েন্ট। বিশেষ করে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে কচ্ছপের মাংস ও স্যুপ জনপ্রিয় এবং বিলাসবহুল খাবার হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। কচ্ছপের মাংসের চড়া দাম থাকায় পাচারকারীরা আর্থিক লাভের আশায় বাংলাদেশ থেকে কচ্ছপ সংগ্রহ করে। বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া কচ্ছপের গন্তব্য চীন, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, হংকং এবং সিঙ্গাপুর। সবচেয়ে বড় বাজার চীনে।

খাবার ছাড়াও চীনে কচ্ছপের মাংস ও খোলস দিয়ে বিভিন্ন ধরনের টনিক বা ওষুধ তৈরি করা হয় বলে সূত্রে জানা গেছে। এদিকে গত তিনমাসে ২৬২১টি বিভিন্ন প্রজাতির কচ্ছপ উদ্ধার করেছে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট। এরমধ্যে নভেম্বর মাসে ৫৭২, অক্টোবরে ৪০৯ ও সেপ্টেম্বরে ১৬৪০টি।জানা গেছে, ‘বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২’ অনুযায়ী কচ্ছপ শিকার, হত্যা, বিক্রি ও পাচার দণ্ডনীয় অপরাধ। এই অপরাধে জেল ও জরিমানার বিধান রয়েছে। পাচারকারী চক্র বিপন্ন করে তুলছে কচ্ছপের জীবনচক্র।

বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, গত তিনমাসে চট্টগ্রাম ও চাঁদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৬২১টি কচ্ছপ উদ্ধার করেছে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট। এরমধ্যে গত ২৫ নভেম্বর মিরসরাই বড় তাকিয়া বাজার এলাকা থেকে ১৭ কেজি, মিরসরাই বাজার থেকে ২২টি, বড় তাকিয়া বাজার থেকে ২৯ কেজি, মিরসরাই হাদি ফকিরহাট থেকে ৫২টি, ২৬ নভেম্বর মিরসরাই মিঠাছড়া বাজার থেকে ১৯ কেজি, নয় দুয়ারিয়া বাজার থেকে ২১ কেজি, বাঁশখালীর বাণীগ্রাম থেকে ৩৪টি, ১৯ নভেম্বর চাঁদপুরের দোয়াভাঙ্গা এলাকা থেকে ২৫কেজি, শাহরাস্তি সূচিপাড়া থেকে ৫০ কেজি, ১৮ নভেম্বর মিরসরাই হাদী ফকির হাট থেকে ২ কেজি, বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ২০ কেজি, চাঁদপুর সদর বড় মসজিদ এলাকা থেকে ৪২টি, চট্টগ্রাম থেকে নেয়ার পথে কুমিল্লা এলাকা বাস থেকে ৪০ কেজি, ২১ অক্টোবর চাঁদপুর সদর বড় মসজিদ এলাকা থেকে ৪২টি, ১৪ অক্টোবর চাঁদপুরের শাহরাস্তির শিতোশী এলাকা থেকে ২০ কেজি, ১৫ অক্টোবর চাঁদপুর রেলস্টেশন এলাকা থেকে ১০০ কেজি, ১৩ অক্টোবর নোয়াখালীর সূবর্ণচর এলাকা থেকে ৩০ কেজি, ৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা থেকে পাচার করার সময় যাত্রাবাড়ি ও ফরিদপুরের ভাঙ্গা এলাকায় বাস থেকে ১২ কেজি কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার করা কচ্ছপের মধ্যে সুন্ধি প্রজাতির কচ্ছপের সংখ্যা বেশি। ধুম ও কড়ি প্রজাতির কচ্ছপের সংখ্যাও রয়েছে। এর আগে পাচারের সময় গত ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকা শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক যাত্রীর লাগেজ থেকে ৯২৫টি কচ্ছপ উদ্ধার করে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট। কচ্ছপগুলো মালেয়েশিয়া নেয়া হচ্ছিল।

বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট কর্মকর্তারা জানান, দেশের সীমানা পেরিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত চীন, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, হংকং এবং সিঙ্গাপুর যাচ্ছে কচ্ছপের চালান। দেশে খাল-বিল ও হাওড়ে প্রচুর পরিমাণ মিঠাপানির কচ্ছপ দেখা যায়। এর মধ্যে ‘সুন্ধি’ কচ্ছপ অন্যতম। অবাধ শিকার ও আন্তর্জাতিক পাচারকারী চক্রের কারণে প্রাণীটি বিপন্ন হয়ে পড়েছে। কচ্ছপকে বলা হয় ‘প্রকৃতির ঝাড়ুদার’। এরা মরা মাছ ও পচা আবর্জনা খেয়ে পানি পরিষ্কার রাখে। কচ্ছপ হারিয়ে গেলে জলজ বাস্তুতন্ত্র ভেঙে পড়বে এবং পানির গুণাগুণ নষ্ট হবে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে কচ্ছপের চালান প্রথমে অবৈধভাবে ভারতে পাচার হয়। বিশেষ করে যাশোর (বেনাপোল), সাতক্ষীরা(ভোমরা) আগরতলা এবং সিলেটের সীমান্ত এলাকা দিয়ে পাচার হয়। ভারতে পৌঁছানোর পর সেখান থেকে আন্তর্জাতিক পাচারকারী চক্রের মাধ্যমে মিয়ানমার বা নেপাল হয়ে কচ্ছপগুলো চীন ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে পাঠানো হয়। বাংলাদেশে প্রায় ২৫-৩০ প্রজাতির কচ্ছপ ও কাছিম রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাচার হয় সুন্ধি কচ্ছপ। এটি আকারে ছোট এবং সহজলভ্য হওয়ায় এর পাচার হয় সবচেয়ে বেশি। খোলসের চাহিদার কারণে কড়ি কচ্ছপ ও মাংসের জন্য পাচার হয় ধুম কচ্ছপ। চট্টগ্রামে যেসব এলাকা থেকে কচ্ছপ পাচার করা হয় তা হলো, বান্দরবান ও রাঙামাটি সীমান্তবর্তী এলাকা, ফটিকছড়ি, বাঁশখালী এবং মিরসরাই।

নগরীর রিয়াজ উদ্দিনবাজার কচ্ছপ পাচারের ট্রানজিট পয়েন্ট হিসাবে ব্যবহার হয়।বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক অসীম মল্লিক জানান, অক্টোবর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত কচ্ছপ পাচারের মৌসুম। ডোবা, পুকুর কিংবা নদীতে এ সময় পানি কম থাকায় পাচারকারীরা সক্রিয় হয়ে উঠে। চট্টগ্রামের রিয়াজউদ্দিন বাজার কচ্ছপ পাচারের ট্রানজিট পয়েন্ট। দেশে ২৫ থেকে ৩০ ধরনের কচ্ছপ রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি পাচার হয় সুন্ধি কচ্ছপ। কড়ি ও ধুম কচ্ছপও মাঝে মাঝে পাচার হয়। অসীম মল্লিক আরো জানান, সাম্প্রতিক সময়ে চট্টগ্রামে আমরা বেশ কয়েকটি অভিযান চালিয়েছি। ঢাকা থেকে গিয়ে অভিযান চালানো অনেকটা সময় সাপেক্ষ। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি বন্যপ্রাণী রক্ষা করতে।

এফ. এ. ক্রিয়েটিভ ফার্মের যুগপূর্তি উদযাপন নিরবিচ্ছিন্ন সেবা পাচ্ছে প্রায় ১ হাজারেরও অধিক গ্রাহক —–

দেশের অন্যতম জনপ্রিয় সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এফ. এ. ক্রিয়েটিভ ফার্ম লিমিটেড তাদের প্রতিষ্ঠার এক যুগপূর্তি উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কাস্টমার মিটআপ ও যুগপূর্তি অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে।


গত রোববার সকালে আগ্রাবাদ আকতারুজ্জামান সেন্টারে কোম্পানির কর্পোরেট অফিসে খতমে কোরআন এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় এবং পরবর্তীতে কেক কাটার মধ্য দিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রথম দিন কেক কেটে যুগপূর্তি উৎসবের শুভ সূচনা করেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট কাজী আবুল মনছুর।


এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন দৈনিক চাঁটগার চোখ এর সম্পাদক ও প্রকাশক একে এম জহুরুল ইসলাম,সাপ্তাহিক পূর্ববাংলা এর সম্পাদক ও প্রকাশক এম আলী হোসেন, দৈনিক গিরিদর্পণ এর পরিচালনা সম্পাদক এম কে মোমিন, বাংলাদেশ টেলিভিশন বিটিভি’র অনুষ্ঠান পরিচালক ও মোনালিসা মিউজিক এর কর্নধার ফরিদ বঙ্গবাসী, সাপ্তাহিক আজকের সত্যসংবাদ এর সম্পাদক ও প্রকাশক হারুন অর রশিদ, কর্ণফুলি নিউজ সম্পাদক ও প্রকাশক সাইফুল ইসলাম, অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি, রেয়াজউদ্দিন বাজার শাখার ব্যবস্থাপক আনিসুল মোস্তাফা, নকশায়ন প্রোপার্টিস এর চেয়ারম্যান ইঞ্জিয়ার স্নেহশীস দে, গ্রীণ ইন্টারন্যাশনাল এর সিইও বেলাল হোসেন, এমটিআই ট্রাভেল ইন্টারন্যাশনাল এর প্রোপ্রাইটর তাহিদ আলাল, স্যাম শিপিং এজেন্সি ও ইন্টারমেরিন শিপ সার্ভিস এর ব্যবস্থাপনা অংশীদার ইমরানুল হকসহ অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দ।


দ্বিতীয় ও সমাপনী দিনে কেক কেটে সবার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন দৈনিক দিনকাল এর চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান হাসান মুকুল।এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক ভোরের আকাশ আবাসিক সম্পাদক কামাল পারভেজ, সনাতনী দর্পণ এর সম্পাদক ও প্রকাশক নিতাই ভট্টাচার্য, দৈনিক একত্তর বাংলাদেশ সম্পাদক ও প্রকাশক শেখ সেলিম, দৈনিক ঘোষণা এর ব্যুরো প্রধান মুজিব উল্লাহ তুষার,
দৈনিক রূপালী বাংলাদেশ এর স্টাফ রিপোর্টার সাহাবউদ্দিন, ভয়েস চট্টগ্রাম এর চেয়ারম্যান ফরমান উল্যাহ, অফিসার ইউনিয়ন ব্যাংক রকিবুল ইসলাম সায়েম, কায়সার মাহমুদ, সহকারি পরিচালক সিল্ক রোড় ট্রেডিং এন্ড ম্যানুফ্যাকচারিং লি: সহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

এফ. এ. ক্রিয়েটিভ ফার্ম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরহাদ আমিন ফয়সল বলেন, দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে দেশ-বিদেশের গ্রাহকদের রেগুলার ও কাস্টম সফটওয়্যার নির্মাণ, শতাধিক স্বনামধন্য পত্রিকা ও প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপ ডিজাইন-ডেভেলপমেন্ট এবং ডোমেইন–হোস্টিংসহ বিভিন্ন আইটিইএস সেবা দিয়ে আসছে এফ. এ. ক্রিয়েটিভ ফার্ম লিমিটেড। ২০২৬ সালের মধ্যে আমরা মধ্যম আয়ের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য নামমাত্র সাবস্ক্রিপশনে একটি ঝগঊ SME Application আনতে যাচ্ছি, যাতে প্রযুক্তি সেবার বাইরে থাকা ব্যবসায়ীরাও সহজে প্রযুক্তির সুবিধা নিতে পারেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে প্রায় ১ হাজারেরও অধিক গ্রাহককে নিরবিচ্ছিন্ন সেবা দিয়ে আসছে আমাদের প্রতিষ্টান, আগামীতেও আরও উন্নত ও মানসম্মত গ্রাহকসেবা প্রদানে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।দুই দিনের এই আয়োজনে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারী, গ্রাহক, গণমাধ্যমকর্মী এবং সম্মানিত আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ