আজঃ শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রামে স্কুল ও দোকানে আগুন

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানাধীন কলসি দিঘির পাড় উত্তর রেল গেট এলাকায় একটি কেজি স্কুল ও পাশের দোকানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার ভোরে হযরত শাহ আলী কেজি স্কুল ও দোকানে আগুন লাগে।

সিইপিজেড ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শাহাদাত হোসেন জানান, ভোরে খবর পেয়ে সোয়া ৬টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে। প্রায় ৪০ মিনিটের চেষ্টায় সকাল পৌনে ৭ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। তবে দ্রুত পদক্ষেপে প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে, তা জানা যায়নি।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মশা নিধনে আমেরিকান প্রযুক্তির লার্ভিসাইড বিটিআই ব্যবহার শুরু চসিকের।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন প্রথমবারের মতো মশা নিয়ন্ত্রণে আমেরিকান প্রযুক্তির লার্ভিসাইড বিটিআই ব্যবহারের কার্যক্রম শুরু করেছে। সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের নির্দেশক্রমে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় ৩৯ নং দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ড কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি শুরু হয়। কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব মো. আশরাফুল আমিন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মোঃ শরফুল ইসলাম মাহি, কীটতত্ত্ববিদ রাশেদ চৌধুরী এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) মশা নিয়ন্ত্রণে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করে নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর আগে গত ২৬ মার্চ নগরীর ১৭ নম্বর বাকলিয়া ওয়ার্ডের সৈয়দ শাহ রোডের সামনের খালে পরীক্ষামূলকভাবে বিটিআই লার্ভিসাইড প্রয়োগ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। অর্জিত অভিজ্ঞতার আলোকে আজ থেকে ওয়ার্ড পর্যায়ে বিটিআই প্রয়োগ শুরু করল চসিক।

চসিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত ফগিং, লার্ভিসাইড ছিটানো, নালা–নর্দমা পরিষ্কার, আবর্জনা অপসারণ এবং জনসচেতনতা কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে। নতুন প্রজন্মের আমেরিকান প্রযুক্তির বিটিআই ব্যবহারে মশার লার্ভা ধ্বংসে আরও কার্যকর ফল পাওয়া যাবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।

বিটিআই হলো একটি প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন ব্যাকটেরিয়াভিত্তিক লার্ভিসাইড, যা বিশেষভাবে মশা, ব্ল্যাক ফ্লাই ও ফাঙ্গাস গ্ন্যাটের লার্ভা দমনে ব্যবহৃত হয়। এটি পানিতে প্রয়োগ করার পর লার্ভা খাদ্যের সঙ্গে বিটিআই গ্রহণ করে এবং ব্যাকটেরিয়ার উৎপাদিত ক্রিস্টাল প্রোটিন টক্সিন লার্ভার পরিপাকতন্ত্রে কার্যকর হয়ে তাদের দ্রুত নিধন ঘটায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, বিটিআই মানুষের শরীর, গৃহপালিত প্রাণী, মাছসহ অন্যান্য পরিবেশবান্ধব প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর নয়; এমনকি উদ্ভিদ ও জলজ বাস্তুতন্ত্রেও কোনো বিষাক্ত প্রভাব ফেলে না। বিশ্বজুড়ে ডেঙ্গু, জিকা ও চিকুনগুনিয়ার মতো বাহক–বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে এটি একটি নিরাপদ ও বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত সমাধান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

স্মার্ট সড়ক বাতির আওতায় আসবে মহানগরের ৪১টি ওয়ার্ডের সড়কগুলো

চট্টগ্রাম মহানগরের ৪১টি ওয়ার্ডের প্রধান সড়কগুলো স্মার্ট সড়ক বাতির আওতায় আসছে।মহানগরীকে স্মার্ট ও নিরাপদ নগরে রূপান্তর করতে ৪১ ওয়ার্ডে স্মার্ট সড়ক বাতি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)।

এ জন্য ‘ইমপ্লিমেন্টেশন অফ স্মার্ট লাইটিং (সোলার/নন-সোলার) উইথ এআই বেইসড সিসিটিভি সার্ভেইল্যান্স সিস্টেম ইন চট্টগ্রাম সিটি এরিয়া ফর এনশিউরিং স্মার্ট অ্যান্ড সেফ সিটি’ শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে সংস্থাটি।চসিক সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পটির লক্ষ্য হচ্ছে নগরজুড়ে আধুনিক স্মার্ট লাইটিং ব্যবস্থা স্থাপন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভিত্তিক সিসিটিভি ক্যামেরা নেটওয়ার্ক স্থাপন করে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

চসিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, শহরের প্রধান সড়ক, মোড়, সেতু, জনবহুল ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে সোলার ও নন-সোলার প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট লাইট স্থাপনের পাশাপাশি উন্নতমানের নজরদারি ব্যবস্থা চালু করা হবে। এর ফলে অপরাধ দমন, যান চলাচল পর্যবেক্ষণ, দুর্ঘটনা ব্যবস্থাপনা এবং নগর নিরাপত্তায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল (ডিপিপি) প্রণয়নের উদ্দেশ্যে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত ১৯ নভেম্বর চসিকের সচিব মো. আশরাফুল আমিন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই কমিটি গঠন করা হয়।

অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে- চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু সাদাত মোহাম্মদ তৈয়ব কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। আর চসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম ও সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মো. সরওয়ার আলম খান কমিটির সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। এছাড়া নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মো. শাফকাত বিন আমিন সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

কমিটির কার্যপরিধির মধ্যে রয়েছে- প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় সব তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করা, প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় নীতিমালার জন্য সুপারিশ করা, সংগৃহীত তথ্য ও বিশ্লেষণের ভিত্তিতে খসড়া ডিপিপি প্রস্তুত করা, কমিটিকে আগামী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে মেয়র বরাবরে প্রতিবেদন দাখিল করা।

এ বিষয়ে চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আমার প্রতিশ্রুতির মধ্যে অন্যতম ছিল পরিবেশবান্ধব ও নিরাপদ নগর করা। ৪১ ওয়ার্ডে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভিত্তিক সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হলে নগরজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন ঘটবে। অন্যদিকে, পরিবেশবান্ধব সোলার সড়কবাতি স্থাপন করা হলে একদিকে যেমন বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে অন্যদিকে পরিবেশ দূষণ কমাবে।

চসিকের প্রধান প্রকৌশলী মো. আনিসুর রহমান সোহেল বলেন, সড়ক বাতির জন্য ইন্ডিয়ান এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে আমাদের একটি প্রজেক্ট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে প্রকল্পটি আর আলোর মুখ দেখেনি। আমরা নতুন করে একটি ডিপিপি প্রস্তুতের জন্য কাজ করছি। এর আওতায় নগরের ৪১টি ওয়ার্ডের প্রধান সড়কগুলো থাকবে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোও সিসিটিভি ও লাইটের আওতায় আসবে।

কমিটির সদস্য সচিব ও নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মো. শাফকাত বিন আমিন বলেন, সিটিটিভি ও লাইট বসানোর জন্য আমরা রোডের তালিকা প্রস্তুতের কাজ করছি। ইতোমধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ তালিকা সম্পন্ন হয়েছে। আমাদের পরিকল্পনা হচ্ছে নগরের ৪১ ওয়ার্ড কাভার করা। অর্থাৎ ৪১ ওয়ার্ডের প্রধান প্রধান সড়ক থাকবে। এরপর আমরা লেন ও বাইলেন কাভার করবো।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ