আজঃ রবিবার ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫

দুর্গাপুর নানা আয়োজনে মুক্ত দিবস পালিত।

মোঃ নুর উদ্দিন মন্ডল দুলাল নেত্রকোণা।

৬ ডিসেম্বর দুর্গাপুর মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সনের এই দিনে বাংলার দামাল ছেলেদের এক রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী দুর্গাপুর উপজেলাকে মুক্ত করেছিলেন। এ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে, সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহনে নানা কর্মসুচীর মাধ্যমে এ দিবস পালিত হয়।এ উপলক্ষে সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে পায়রা উড়িয়ে দিবসের সুচনা করা হয়।

পরবর্তীতে এক বর্নাঢ্য র‌্যালি পৌরশহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বৃক্ষরোপন এবং উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফরোজা আফসানা এর সভাপতিত্বে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিনে’র সঞ্চালনায় পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ শেষে অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন- বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বিকাশ সরকার, সাখাওয়াত হোসেন সজিব, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন তালুকদার, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ, সিপিবি সভাপতি আলকাছ উদ্দীন মীর, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এডভোকেট এম এ জিন্নাহ্ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীগণ।

বক্তারা বলেন, পাকিস্তানি মেজর সুলতানের নেতৃত্বে বিরিশিরিতে একটি শক্তিশালী পাকসেনা ঘাঁটি গড়ে উঠেছিল। এখান থেকেই বাংলার কুখ্যাত দালাল, আলবদর, রাজাকারদের সহযোগিতায় নিয়ন্ত্রন করতো দুর্গাপুর ও কলমাকান্দার সীমান্ত এলাকা গুলো। সেইসাথে ওই এলাকার বুদ্ধিজীবিদের ধরে এনে রাতের আঁধারে বিরিশিরি’র বধ্যভূমিতে নৃশংসভাবে হত্যা করতো।

এদের মধ্যে সর্বপ্রথম যাদের হত্যা করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে নেত্রকোনা সরকারি কলেজের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক শহীদ আরজ আলী, এমকেসিএম পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল আওয়াল, দুর্গাপুরের তদানিন্তন এমএনএ গৌরাঙ্গ চন্দ্র সাহা, কুল্লাগড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন, শিক্ষক আশুতোষ সান্যাল, কাকৈরগড়া ইউনিয়নের শিক্ষক জালাল উদ্দিন তালুকদার, সমাজসেবক ধীরেন্দ্র নাথ পত্রনবীশ, সুসং ডিগ্রি কলেজের ছাত্র দিলদার হোসেন, বিল্লাল হোসেন, কৃষক ইমাম হোসেন ও ছোট্রনী সহ নাম অজানা অনেককেই।

এছাড়া গাঁওকান্দিয়া গ্রামে ১৯ জন মুক্তিযোদ্ধাকে এক সাথে গুলি করে হত্যা করেছিলো পাকসেনারা। নতুন প্রজন্মের কাছে এসকল তথ্যগুলো জানাতে সকলকে অনুরোধ জানানো হয়।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মহিলা ডিগ্রী কলেজ ভাঙ্গুড়ায় অভিভাবক সমাবেশ

পাবনা প্রতিনিধিঃ পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার পৌর সদরে- নারী শিক্ষায় পাবনা জেলায় অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ ভাঙ্গুড়া মহিলা ডিগ্রী কলেজে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ভাঙ্গুড়া মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ জনাব মোঃ মোস্তফা কামাল এর সভাপতিত্বে হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সিনিয়র প্রভাষক মোঃ লুৎফর রহমান এর সঞ্চালনায় শুরুতেই কোরআন ও গীতা পাঠের মধ্যে দিয়ে অধ্যক্ষ জনাব মোঃ মোস্তফা কামাল স্যারের স্বাগত বক্তব্য দিয়ে অভিভাবক সমাবেশ শুরু হয়।

প্রথমেই অভিভাবক কলেজ ছাত্রী ২য় বর্ষের মানবিক বিভাগের মোছাঃ রিয়া খাতুন এর মাতা দুলারি বেগম বলেন কলেজে প্রতি বিষয়ে প্রতি সপ্তাহে একটি করে টিউটোরিয়াল পরীক্ষা নিতে হবে,তবেই মেয়েরা পড়াশোনা বেশি বেশি করবে।

প্রথম বর্ষের মানবিক বিভাগের কৃতি ছাত্রী মোছা রিদনা আহমেদ এর পিতা মোঃ রাসেল আহমেদ বলেন প্রকৃত শিক্ষা তখনই হবে যখন মেয়েরা পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা দীক্ষা নিবে,যেমন প্রতিদিনের ক্লাসের পড়া ক্লাসে শেষ করবে,তারপর কলেজ ক্যাম্পাসে বার্ষিক খেলাধুলা, কম্পিউটার,লাইব্রেরিতে পড়াশোনা করবে,বার্ষিক শিক্ষা সফরের যাবে,এভাবেই প্রকৃত শিক্ষা লাভ করবে একজন শিক্ষার্থী।

১ম বর্ষ মানবিক, আফসনা খাতুন এর বাবা মোঃ আফসার আলী বলেন, পিতা-মাতার পরই ছাত্রীর অভিভাবক তার শিক্ষকমন্ডলীরা,কোন শিক্ষকই চায়না তার ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনা না করে।প্রত্যেক শিক্ষকই চায় সকল ছাত্র-ছাত্রীরা ভালো পড়াশোনা করে যেন মানুষের মত মানুষ হয়।

অভিভাবক সমাবেশে ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে লেখাপড়ার বিষয়ে বক্তব্য দেন অত্র কলেজের রসায়ন বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক আলহাজ্ব মোঃ মিজানুর রহমান,
ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা জন্য কলেজ এর বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে অভিভাবকদের অবহিত করেন যে প্রতিটা ছাত্রী প্রতিদিন যেন সকল বিষয়ে ভালো পড়াশোনা করে প্রতিদিন কলেজের ক্লাসে আসে এই বিষয়ে প্রত্যেক অভিভাবক খেয়াল করবেন,তখন অবশ্যই প্রত্যেক ছাত্রী ভালো পড়াশোনা করে ভালো জীবন গড়বে।

পরিশেষে অত্র কলেজের অধ্যক্ষ জনাব মোঃ মোস্তফা কামাল স্যার সকল ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবক সবার উদ্দেশ্যে একটি কথাই বলেন,যে অভিভাবক,ছাত্রী ও শিক্ষকমন্ডলী সবাই কে একসাথে লেখাপড়ার সকল বিষয়ে সতর্ক হয়ে একমত হতে হবে,তবেই ছাত্র-ছাত্রীরা প্রকৃত শিক্ষা পাবে।আরো উপস্থিত ছিলেন অত্র কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য মোঃ এহতেশান হায়দার মন্টু সহ অত্র কলেজের সকল শিক্ষক-কর্মচারী, ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকবৃনন্দ।

পাবনার ফরিদপুরে পরীক্ষা কেন্দ্রীক বিরোধে ‘মিডিয়া ট্রায়ালের’ স্বীকার যুবদল নেতা নয়ন কাজী; রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা অস্বীকার

ফরিদপুর উপজেলার বনওয়ারী নগর সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পরীক্ষা কেন্দ্রীক বিরোধ কে কেন্দ্র করে ঘটনার জেরে শিক্ষক রাজীব সরকার আহত হন। পরে তাকে ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে মাথায় চারটি সেলাই দেওয়া হয়।

অভিভাবকরা জানান, প্রাথমিক শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করায় সকালে পরীক্ষা দিতে এসে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের গেট থেকে ফিরে যায় বাড়ি। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা স্কুলের সামনে জড়ো হন। পরে ইউএনও’র নির্দেশে তড়িঘড়ি করে পরীক্ষা নেওয়া শুরু হলে আশপাশের শিক্ষকরা প্রতিবাদ জানাতে আসেন। পরিস্থিতি জটিল হওয়ার মুহূর্তে ভিড়ের মধ্যে অজ্ঞাত ব্যক্তি ইট নিক্ষেপ করলে তা শিক্ষক রাজীব সরকারের মাথায় লাগে।

আহত শিক্ষক রাজীব সরকার বলেন,
“কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত অমান্য করে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছিল। আমরা আপত্তি জানাতে গেলে হঠাৎ করেই অজ্ঞাত কিছু লোকজন ইট ছুড়ে মারে। এতে আমার মাথা ফেটে যায়। এখানে কোনো রাজনৈতিক দলের কেউ ছিল—এমন কথা আমি কোথাও বলিনি। যদি কোনো সংবাদ কর্মী নিজ দায়িত্বে রাজনৈতিক দলের নাম জুড়ে থাকে, সেটার দায় সে-ই নেবে। আমার ঘটনার সঙ্গে জামায়াত বা বিএনপির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।”

ঘটনায় নাম আসায় উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নয়ন কাজী অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন,
“সহকারী শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের আটকে রেখেছেন—এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে যেয়ে দেখি শিক্ষক রাজীব সরকার কে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। অথচ কিছু গণমাধ্যম আমাকে এবং যুবদলকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করেছে। এ ধরনের ভিত্তিহীন প্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।”

ফরিদপুর থানার ওসি বলেন, “এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ